ভাব সম্মিলন কবিতা কবি পরিচিতি, বিষয়বস্তু ও নামকরণ একাদশ শ্রেণি | Vab sommilon kobita class 11

ভাব সম্মিলন কবিতা কবি পরিচিতি, বিষয়বস্তু ও নামকরণ

ভাব সম্মিলন কবিতা কবি পরিচিতি, বিষয়বস্তু ও নামকরণ
ভাব সম্মিলন কবিতা কবি পরিচিতি, বিষয়বস্তু ও নামকরণ

ভাব সম্মিলন কবিতার কবি পরিচিতি

জন্ম ও পারিবারিক জীবন: চৈতন্য-পূর্ব যুগের বৈষ্ণব পদাবলির আদি কবি এবং মধ্যযুগের প্রেম ও সৌন্দর্যের ‘কবি সার্বভৌম’ বিদ্যাপতি আনুমানিক ১৩৫২ খ্রিস্টাব্দে (চতুর্দশ শতাব্দীর শেষার্ধে) বিহারের দ্বারভাঙা জেলার মিথিলার অন্তর্গত বিসফী গ্রামে প্রসিদ্ধ এক ব্রাহ্মণ বংশে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম গণপতি ঠাকুর এবং তাঁদের পরিবারিক উপাধি ছিল ঠক্কর বা ঠাকুর। বংশ পরম্পরায় তাঁরা মিথিলার রাজপরিবারে উচ্চপদের চাকরি করতেন। বিদ্যাপতি নিজেও বেশ কয়েকজন বিদ্যোৎসাহী রাজার (কীর্তিসিংহ, দেবসিংহ, শিবসিংহ পদ্মসিংহ প্রমুখ) রাজসভা অলংকৃত করেছিলেন।

কর্ম ও সাহিত্যজীবন: বিদ্যাপতি মৈথিলি, অবহট্ট, সংস্কৃত ও ব্রজবুলি ভাষায় বহু পদ ও গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। তবে ব্রজবুলি ভাষায় রচিত রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক পদগুলিই তাঁর শ্রেষ্ঠ কীর্তি। সুমধুর এই বৈষ্ণব পদাবলির জন্যই তিনি বাংলা সাহিত্যে অমর হয়ে আছেন। কবি জয়দেব রচিত ‘শ্রীগীতগোবিন্দম্’ কাব্যে বর্ণিত রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলার আদলে বিদ্যাপতি তাঁর রাধাকৃষ্ণ-লীলা বিষয়ক পদাবলি রচনা করেন। তবে জয়দেবকে অনুসরণ করলেও তা প্রকাশ করলেন অভিনব এক ভাষায়, যার নাম ব্রজবুলি। এই ব্রজবুলি কোনো মৌখিক ভাষা নয়-এই ভাষা একটি কৃত্রিম ভাষা, বাংলা ও মৈথিলি ভাষার মিশ্রণে তৈরি এক সংকর ভাষা। এ ভাষার শ্রেষ্ঠ নির্মাতা বিদ্যাপতি। তাই পরবর্তীকালে বিদ্যাপতির অনুকরণে ব্রজবুলি ভাষায় পদ রচনা করে প্রশংসনীয় হয়ে উঠেছিলেন গোবিন্দদাস, জ্ঞানদাস, বলরাম দাস, রায়শেখর এবং আধুনিক কালে কবি ঈশ্বরগুপ্ত, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রমুখ।

সাহিত্যসম্ভার: প্রাক্-চৈতন্য যুগের বৈষুব পদাবলির জনপ্রিয় কবি বিদ্যাপতির রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হল- ‘কীর্তিলতা’, ‘কীর্তিপতাকা’, ‘ভূপরিক্রমা’, ‘পুরষ পরীক্ষা’, ‘গঙ্গাবাক্যবলী’, ‘দানবাক্যবলি’, ‘শৈবসর্বস্বহার’, বিভাগসার’, ‘দুর্গাভক্তিতরঙ্গিণী’, ‘লিখনাবলী’ প্রভৃতি। এ ছাড়া তিনি শিব, গণেশ, কালী, গঙ্গা, প্রমুখ দেবদেবীর বন্দনামূলক বহু পদ রচনা করলেও রাধাকৃষ্ণ লীলা বিষয়ক পদ রচনায় সর্বাধিক জনপ্রিয়। তাঁর সৃষ্টি রাধাকৃষ্ণ-লীলা বিষয়ক পদগুলির মধ্যে সর্বকালের, সর্বদেশের নরনারীর প্রেমের রূপটি প্রতিফলিত হয়েছে-যা অ-বাঙালি কবিকে বাঙালির প্রাণের প্রিয় কবিতে পরিণত করেছে।

সাহিত্যে প্রভাব: মিথিলার অধিবাসী কবি বিদ্যাপতি বাঙালি ছিলেন না এবং বাংলা ভাষায় একটিও পদ রচনা না করলেও বাংলা সাহিত্যভূমি থেকে তাঁকে দূরে সরিয়ে রাখা যায় না। কেন-না প্রাচীন বাংলা সাহিত্যে যে সকল অ-বাঙালি কবিদের প্রভাব পড়েছে, তাঁদের মধ্যে বিদ্যাপতিই সর্বপ্রধান। তিনি ছিলেন বাঙালি বৈয়ব কবিদের গুরুস্থানীয়। এমনকি মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেব বিদ্যাপতির পদ শুনতে খুব ভালোবাসতেন। আর তাই চৈতন্য বা বৈষুব সম্প্রদায়ের সকলেই বিদ্যাপতির একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন।

মৃত্যু: মৈথিল কোকিল বিদ্যাপতি আনুমানিক পঞ্চদশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে অর্থাৎ ১৪৪৮ খ্রিস্টাব্দে ইহলোক ত্যাগ করেন।

ভাব সম্মিলন কবিতার উৎস

পাঠ্য ‘ভাব সম্মিলন’ নামক বৈষ্ণব পদাবলি সাহিত্যের চৈতন্য-উত্তর যুগের কবি বিদ্যাপতির বিপ্রলম্ভ শৃঙ্গারের ভাবোল্লাস বা ভাব সম্মিলন পর্যায়ের অন্তর্গত।

ভাব সম্মিলন কবিতার পটভূমি/প্রেক্ষাপট

বৈষ্ণব পদাবলিতে রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলার অভ্যন্তরে মূলত ভক্তিবাদের প্রকাশ ঘটেছে। তাই বৈষ্ণব পদাবলিতে কৃষ্ণের শুধুমাত্র রাধিকার সঙ্গে প্রেমলীলা করার জন্য মর্ত্যে আগমন ঘটেনি; কৃষ্ণ ছিলেন ভগবান বিষ্ণুর অবতার। শ্রীকৃষ্ণের মর্ত্যে আগমনের প্রধান হেতু ছিল মথুরারাজ নিষ্ঠুর কংসের হাত থেকে মর্ত্যবাসীকে রক্ষা করা। কংসকে বধ করার জন্য কৃষ্ণ একসময় শ্রীরাধা ও বৃন্দাবনবাসীকে ছেড়ে মথুরা চলে যান। কৃষ্ণ রাধাকে ছেড়ে চলে গেলে রাধার হৃদয় বিরহ-বেদনায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। বৈষুব পদাবলির ‘মাথুর’ পর্যায়ের পদে বৈষ্ণব কবিরা এর বর্ণনা তুলে ধরেছেন। বাস্তব জগতে যখন রাধাকৃষ্ণের মিলন সম্ভব হল না, তখন বৈষ্ণব কবিরা ভাবের জগতে কৃষ্ণের সঙ্গে শ্রীরাধার মিলন ঘটিয়ে কিছু পদ রচনা করেছেন। এই পর্যায়ের পদগুলিই হল ভাবোল্লাস বা ভাব সম্মিলন। আমাদের পাঠ্য বিদ্যাপতির ‘ভাব সম্মিলন’ নামক পদটিও বৈষ্ণব পদাবলি সাহিত্যের ভাবোল্লাস বা ভাব সম্মিলন পর্যায়ের প্রেক্ষাপটে রচিত।

একনজরে

১। পদ: ‘ভাব সম্মিলন’

২। পদকর্তা: কবি বিদ্যাপতি

৩। পদকর্তা উপাধি: মৈথিল কোকিল, অভিনব জয়দেব।

৪। সময়কাল: প্রাক্-চৈতন্যযুগ

৫। সাহিত্য: বৈষ্ণব পদাবলি

৬। পর্যায়: ভাবোল্লাস বা ভাব সম্মিলন

৭। ভাষা : ব্রজবুলি

৮। মূল বিষয়: কৃষ্ণ বৃন্দাবন ছেড়ে মথুরায় চলে গেলে, কৃষ্ণকে কাছে না পেয়ে ভাবের বা কল্পনার জগতে রাধা তাঁর সঙ্গে মিলিত হয়েছেন। এ কথা রাধা তাঁর সখীকে আনন্দের সঙ্গে জানিয়েছেন। কবি বিদ্যাপতি শিল্পীর মতো অসামান্য দক্ষতার সঙ্গে তাঁর ‘ভাব সম্মিলন’ পর্যায়ের পদটিকে চিত্রিত করেছেন।

ভাব সম্মিলন কবিতার বিষয়সংক্ষেপ

‘ভাব সম্মিলন’ কবিতাটি কবি বিদ্যাপতির ভাবোল্লাস বা ভাব সম্মিলন পর্যায়ের অন্তর্গত। সূক্ষ্মবিচারে ভাবোল্লাস বা ভাব সম্মিলন হল সম্ভোগ শৃঙ্গারের বিষয়। পদটিতে রাধা কৃষ্ণকে প্রকৃতপক্ষে কাছে না পেয়ে ভাবে বা কল্পনায় তাঁর প্রাণপ্রিয় কৃষ্ণের সঙ্গে মিলিত হয়ে চরম আনন্দ উপভোগ করেছেন। তাই রাধা তাঁর সখীকে সম্বোধন করে বলেছেন যে, তাঁর আনন্দের সীমা নেই। কারণ মাধব অর্থাৎ তাঁর প্রাণপ্রিয় কৃষ্ণ চিরদিন বা সর্বদা তাঁর মন্দির অর্থাৎ গৃহে অবস্থান করছেন। রাধা যখন কৃষ্ণ বিরহে কাতর, সেই বিরহের সময় আকাশের চাঁদ ও তার হাসি রাধাকে আরও বেশি দুঃখ যন্ত্রণা দিয়েছে। কিন্তু আজ প্রিয়মুখ অর্থাৎ কৃষ্ণমুখ দর্শনে তিনি ততই সুখ, আনন্দ লাভ করলেন। তাই রাধাকে যদি কেউ আঁচল ভরে অনেক মহারত্ন বা অর্থ-ও দান করে, তবুও রাধা তাঁর প্রিয়তম কৃষ্ণকে আর অন্যত্র দূরদেশে বা তাঁর চোখের আড়াল করবেন না। কৃষ্ণের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কৃষ্ণ ছাড়া রাধার অস্তিত্ব রক্ষা অসম্ভব। রাধা জানিয়েছেন যে, তাঁর কাছে কৃষ্ণ শীতের ওড়না বা চাদর, গ্রীষ্মের স্নিগ্ধ বাতাস, বর্ষাকালের ছাতা এবং অসীম সমুদ্রের নৌকার মতো গুরুত্বপূর্ণ। তাই কৃষ্ণের প্রতি রাধার যে প্রেম তা কেবল ভাববিলাস বা কল্পনামাত্র নয়, তাঁর অস্তিত্ব রক্ষার প্রয়োজন। কৃষ্ণ বিনা রাধার জীবনযাপন অসম্ভব। কবি বিদ্যাপতি তাই শ্রীরাধিকাকে ‘বরনারি’ অর্থাৎ নারীশ্রেষ্ঠ সম্বোধন করে জানিয়েছেন যে, ভালো বা মহৎ মানুষের জীবনে দু-চার দিনের দুঃখ আসলেও তা আবার চলে যায়। এই দুঃখ চিরস্থায়ী হয় না।

ভাব সম্মিলন কবিতার ভাববস্তু

বৈষ্ণব পদাবলি সাহিত্যে মাথুর পর্যায়ের পর আসে ‘ভাবোল্লাস’ পর্যায়। মাথুর পর্যায়ে কৃষ্ণ কংসকে বধ করার জন্য রাধা, অন্যান্য সখীদের সর্বোপরি বৃন্দাবনবাসীকে ছেড়ে মথুরা চলে আসেন। এরপর কৃষ্ণ আর কোনোদিনই বৃন্দাবনে ফিরে আসেননি। কিন্তু পদাবলি সাহিত্য তথা ভারতীয় রসসাহিত্য মিলনাত্মক। কবি বা পদকর্তারা যদি কৃষ্ণকে সশরীরে বৃন্দাবনে ফিরিয়ে এনে রাধাকৃষ্ণের মিলন দেখান তাহলে তা বাস্তবতাকে খণ্ডন করা হবে। তাই পদকর্তারা এক অভিনব পর্যায় রচনা করলেন-ভাবোল্লাস বা ভাব সম্মিলন অর্থাৎ ভাবে উল্লাস বা ভাবে মিলন। কৃষ্ণয় সশরীরে বৃন্দাবন এলেন না কিন্তু রাধা তাঁর ভাবে বা কল্পনায়, অন্তরে কৃষ্ণকে উপলব্ধি করতে পারলেন এবং তাদের মিলন সম্ভব হল। অন্যদিকে বৈষুব তত্ত্বানুসারে রাধা, কৃষ্ণের হ্লাদিনী শক্তি। তাই রাধা ও কৃষ্ণের মিলন দিয়েই পদাবলি সাহিত্যের সমাপ্তি। সূক্ষ্ম বিচারে ভাবোল্লাস বা ভাব সম্মিলন হল সম্ভোগ শৃঙ্গারের বিষয়। এই ভাবেরই সার্থক প্রকাশ ঘটেছে আলোচ্য বিদ্যাপতির পদটিতে। রাধার একাগ্র-একান্ত তন্ময় কৃষ্ণপ্রেমের অপূর্ব ব্যাখ্যা, ভাবসম্মিলনের এই পদটিকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করে তুলেছে। তাই কৃষ্ণ প্রেম রাধার কাছে কেবলমাত্র ভাববিলাস নয়, তা তাঁর অস্তিত্বরক্ষার অপরিহার্য সম্পদ হয়ে উঠেছে।

ভাব সম্মিলন কবিতার নামকরণ

সাহিত্যের নামকরণ অতি গুরত্বপূর্ণ বিষয়। এই নামকরণের মধ্য দিয়ে রচনার বিষয়বস্তুর প্রতি যেমন ধারণা পাওয়া যায়, ঠিক তেমনই রচয়িতার দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় ফুটে ওঠে। তাই সাহিত্যের নামকরণের জন্য নির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। নামকরণের এই পদ্ধতিগুলি হল- (১) ঘটনাকেন্দ্রিক (২) চরিত্রকেন্দ্রিক (৩) ব্যঞ্জনা বা রূপকধর্মী। এবার আলোচনা করে দেখা যাক্ আমাদের পাঠ্য কবি বিদ্যাপতির ‘ভাব সম্মিলন’ পদ বা কবিতাটির নামকরণ কোন্ পদ্ধতি অবলম্বনে করা হয়েছে এবং তা কতটা সার্থক বা যথাযথ হয়েছে।

বৈষ্ণব পদাবলি সাহিত্যের বিভিন্ন রসপর্যায়ের মধ্যে ভাব সম্মিলন মাথুর পর্যায়ের ঠিক পরবর্তী একটি পর্যায়। সমগ্র বৈষুব পদাবলি সাহিত্যে পদকর্তাগণ রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলার পাশাপাশি ধর্মীয় ভাবধারা বা ভক্ত- ভগবানের সম্পর্কের প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন। তাই শ্রীকৃষ্ণ কেবলমাত্র রাধার প্রেমিক নন, তিনি মূলত ভক্তের ভগবান, বিষ্ণুর অবতার। নিষ্ঠুর কংসের অত্যাচারের হাত থেকে মথুরাবাসীকে রক্ষা ও কংসকে ধ্বংসের জন্য কৃষ্ণ শ্রীরাধা ও বৃন্দাবনবাসীকে চিরদিনের মতো ত্যাগ করে মথুরায় চলে যান-বৈষুব সাহিত্যে এই ঘটনা মাথুর নামে পরিচিত। এরপর শ্রীরাধা তাঁর প্রাণপ্রিয় কৃষ্ণের অদর্শনে বিরহে কাতরা হয়ে শেষে ভাবে বা কল্পনায় শ্রীকৃষ্ণের দর্শন পান এবং মিলিত হয়ে চরম সুখ ও আনন্দ লাভ করেন। দীর্ঘ বিরহের পর ভাবে বা কল্পনায় রাধার কৃষ্ণ মিলনের তৃপ্তি ও হৃদয়ানুভূতির প্রসঙ্গ বৈষ্ণব কবিরা তাঁদের পদে বা কাব্যে তুলে ধরে নাম দিয়েছেন ‘ভাব সম্মিলন’ বা ‘ভাবোল্লাস’। আমাদের পাঠ্য ‘ভাব সম্মিলন’ নামক পদটির মধ্যেও এই একই বক্তব্য কবি বিদ্যাপতি দক্ষ শিল্পীর মতো চিত্রিত করে পাঠক হৃদয়ে দাগ কেটেছেন। সমগ্র পদটির মধ্যে ভাবজগতে বা কল্পনায় শ্রীরাধার কৃষ্ণ প্রেম ও কৃষ্ণ মিলনের প্রসঙ্গ কবি বিদ্যাপতি সহজ-সরল ভাষায় বিভিন্ন উপমা-রূপকের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন। সুতরাং, পদটির ঘটনাকেন্দ্রিক বা বিষয়মুখী নামকরণ ‘ভাব সম্মিলন’ যথাযথ ও সার্থক হয়েছে।

আরও পড়ুন – বই কেনা প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর

একাদশ শ্রেণির কলা বিভাগের যে কোনো প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন। কোনো উত্তর না পেলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানান।

Leave a Comment