বাংলা সাময়িকপত্রের ধারায় ‘কল্লোল’ পত্রিকার বৈশিষ্ট্য সংক্ষিপ্তাকারে আলোচনা করো

বাংলা সাময়িকপত্রের ধারায় ‘কল্লোল’ পত্রিকার বৈশিষ্ট্য সংক্ষিপ্তাকারে আলোচনা করো

বাংলা সাময়িকপত্রের ধারায় 'কল্লোল' পত্রিকার বৈশিষ্ট্য সংক্ষিপ্তাকারে আলোচনা করো
বাংলা সাময়িকপত্রের ধারায় ‘কল্লোল’ পত্রিকার বৈশিষ্ট্য সংক্ষিপ্তাকারে আলোচনা করো

সম্পাদক ও প্রকাশকাল

‘কল্লোল’ পত্রিকাটি ১৯২৩ সালে (১৩৩০ বঙ্গাব্দের ১ বৈশাখ) গোকুলচন্দ্র নাগ ও কবি দীনেশরঞ্জন দাশের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়।

বৈশিষ্ট্য

‘কল্লোল’ একটি মাসিক পত্রিকা। এই পত্রিকার বৈশিষ্ট্যগুলি হল-

  • ‘কল্লোল’ পত্রিকা প্রকাশের মধ্য দিয়ে বাংলা সাময়িকপত্র আধুনিকতার স্পর্শ লাভ করে।
  • এই পত্রিকায় প্রকাশিত সাহিত্যকার্যের মধ্য দিয়ে সবরকম পশ্চাৎপদতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ঘোষণা করা হয়।
  • বিদেশি ভাবাদর্শকে দেশীয় ঐতিহ্যের সঙ্গে সংযুক্ত করে, নতুন ধরনের সাহিত্যসৃষ্টির প্রচেষ্টা করা হয়।
  • রবীন্দ্রনাথের রোমান্টিক প্রেমচেতনার আদর্শকে এই পত্রিকায় তীব্র বিরোধিতা করা হয়।
  • পত্রিকাটিতে প্রকাশিত বিভিন্ন রচনায় তরুণ, উদ্ধত যৌবনের প্রকাশ লক্ষ করা যায়।
  • কল্পিত ভাবের জগৎ থেকে সরে এসে সাহিত্যের পাতায় কঠিন বাস্তব চিত্রণের সূচনা হয় এই পত্রিকার হাত ধরেই।

এই পত্রিকার পাতায় কলম ধরেছিলেন প্রেমেন্দ্র মিত্র, বুদ্ধদেব বসু, অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত, মোহিতলাল মজুমদার, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, কাজী নজরুল ইসলাম, যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত, জীবনানন্দ দাশ, শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়, মনীশ ঘটক, প্রবোধকুমার সান্যাল, অজিত দত্ত প্রমুখ সাহিত্যিকগণ। এই পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল বুদ্ধদেব বসুর ‘বন্দীর বন্দনা’, প্রেমেন্দ্র মিত্রের ‘প্রথমা’, জীবনানন্দ দাশের ‘ঝরা পালক’ প্রভৃতি রচনাসমূহ।

আরও পড়ুন – বই কেনা প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর

একাদশ শ্রেণির কলা বিভাগের যে কোনো প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন। কোনো উত্তর না পেলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানান।

Leave a Comment