নৈতিক প্রত্যয়সমূহ প্রশ্ন উত্তর Class 11

সূচিপত্র

নৈতিক প্রত্যয়সমূহ প্রশ্ন উত্তর

নৈতিক প্রত্যয়সমূহ প্রশ্ন উত্তর
নৈতিক প্রত্যয়সমূহ প্রশ্ন উত্তর

অভ্যাসজাত ক্রিয়ার উদাহরণ দাও। এগুলিকে কি নৈতিক বলা যায়?

অভ্যাসজাত ক্রিয়া

যেসকল ক্রিয়ায় প্রাত্যহিক অনুশীলনের ফলে অথবা বারবার সম্পাদনের ফলে আমরা অভ্যস্ত হয়ে যাই সেগুলির ক্ষেত্রে কোনো বিশেষ প্রয়াস বা প্রচেষ্টার প্রয়োজন হয় না তাকে অভ্যাসজাত ক্রিয়া বলে। এ ধরনের ক্রিয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো ভাবনা চিন্তা আমরা করি না। আরও দেখা যায় যে এই অভ্যাসজাত ক্রিয়াগুলির প্রতি বিশেষ মনোযোগী না হলেও চলে। অন্য কাজ করতে করতে আমরা অনায়াসে অভ্যস্ত ক্রিয়াগুলি করে ফেলি। যেমন- সাঁতার কাটা, গাড়ি চালানো এগুলি সবই অভ্যাসজাত ক্রিয়া।

অনেক সময় দেখা যায় কোনো মহিলা যিনি সবসময় উল বুনতে অভ্যস্ত, বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করতে করতে উল বুনে চলেন। তার ঘরের গোলমাল হয় না বা কোনো অসুবিধা হয় না। এজন্য অভ্যসজাত ক্রিয়া অনেকটা অনৈচ্ছিক ক্রিয়ার মতো। তাই মনে হয় এরূপ ক্রিয়া অনৈতিক। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে অভ্যাসজাত ক্রিয়া প্রাথমিক অবস্থায় ঐচ্ছিক থাকে। ঐচ্ছিক ক্রিয়া বারবার সম্পাদনের ফলে অভ্যাসে পরিণত হয়। তাই এইরূপ ক্রিয়াকে নৈতিক বলা হয়। যেমন- ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস নৈতিক দিক থেকে ভালো। আর ধূমপানের অভ্যাস নৈতিক দিক থেকে মন্দ।

জড়বস্তুর ক্রিয়া, শিশু ও উন্মাদ ব্যক্তির ক্রিয়া এবং বাধ্যতামূলক ক্রিয়া-এগুলি নৈতিক নাকি অনৈতিক?

জড়বস্তুর ক্রিয়া

জড়বস্তুর ক্রিয়া নৈতিক বিচারের বিষয় হতে পারে না। কেন-না জড় বস্তু অচেতন। চেতন কোনো ক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে না বলে ইচ্ছার কোনো ভূমিকা থাকে না। পাহাড়ের উপর থেকে একটি পাথর গড়িয়ে পড়ে যখন একাধিক লোক মারা যায় তাকে আমরা অনৈতিক বলতে পারি না। একইভাবে বন্যা, ঝড়, ভূমিকম্প প্রভৃতি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে প্রাণহানি হয়, ধনসম্পত্তি নষ্ট হয়। কিন্তু এ ধরনের ক্রিয়াকে আমরা নৈতিক দিক থেকে মন্দ বলতে পারি না। জড় প্রকৃতির নিয়মে যা ঘটে তার মূলে কোনো সচেতনতা থাকে না।

শিশু ও উন্মাদ ব্যক্তির ক্রিয়া

শিশু ও উন্মাদের কার্যও অনৈতিক। এসব ক্রিয়া নৈতিক বিচারের বিষয় নয়। শিশুদের বিচারবুদ্ধির ক্ষমতা সীমিত। নৈতিক দিক থেকে কাজটি ভালো কিনা ভেবে তারা ঐ কাজ করে না। উন্মাদ ব্যক্তি পরিণত বয়স্ক হলেও যেহেতু তার মানসিক গঠন স্বাভাবিক নয়, তার ক্রিয়াও নৈতিক বিচারের বিষয় নয়। মনুষ্যেতর প্রাণীও মূলত সহজাত প্রবৃত্তিগত প্রকৃতি অনুযায়ী কাজ করে। তাদের কাজের উপর ইচ্ছার নিয়ন্ত্রণ থাকে না। তাই তাদের ক্রিয়াও অনৈতিক।

বাধ্যতামূলক ক্রিয়া

বাধ্যতামূলক ক্রিয়াকেও নৈতিক বিচারের বিষয় বলা যায় না। ব্যক্তিকে যদি তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো কাজ জোর করে করানো হয় তাহলে সেই ক্রিয়াও নৈতিক বিচারের বিষয় হতে পারে না।

নিম্নলিখিত বাক্যগুলির মধ্যে কোন্টি নৈতিক বাক্য এবং কেন?এই কলমটি ভালো, তোমার উত্তর ঠিক, মিথ্যা কথা বলা ভালো নয়, কথা দিয়ে কথা রাখা উচিত।

এই কলমটি ভালো’ এটি নৈতিক বাক্য নয়। ‘ভালো’ যদিও একটি নৈতিক বিশেষণ। কিন্তু এখানে ‘ভালো’ পদটি দ্বারা কলমটি দিয়ে ভালো লেখা যায়-এটাই বোঝানো হয়েছে।

‘তোমার উত্তর ঠিক’- এখানে ‘ঠিক’ শব্দটি নির্ভুল অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। নৈতিক গুণ হিসেবে নয়। তাই এটি নৈতিক বাক্য নয়।

‘মিথ্যা কথা ভালো নয়’- বাক্যটি নৈতিক। কারণ একটি আচরণ যা নৈতিক দিক থেকে মন্দ, সেকথা এখানে বলা হয়েছে।

‘কথা দিয়ে কথা রাখা উচিত’-এই বাক্যটি নৈতিক। এই বাক্যে এমন একটি ক্রিয়ার কথা বলা হয়েছে যা ঐচ্ছিক। ‘উচিত’ শব্দটির দ্বারা একটি নীতি বা আদর্শ প্রকাশিত হয়েছে। তাই এটি একটি নৈতিক বাক্য।

নীতিবহির্ভূত ও নীতিগর্হিত ক্লিয়ার মধ্যে পার্থক্য কী? অথবা, নীতিবর্হিভূত ক্রিয়াকে কি অনৈতিক বলা যায়? অথবা, নীতিগর্হিত ক্রিয়াকে নৈতিক বলা হয় কেন?

নীতিবহির্ভূত’ ক্রিয়া বলতে সেই সব ক্রিয়াকে বোঝায় যে ক্রিয়াগুলি নৈতিক গুণবর্জিত। অর্থাৎ যে ক্রিয়াগুলিকে ভালো বা মন্দ কোনোটাই বলা যায় না। এইসব ক্রিয়া অনৈচ্ছিক। অর্থাৎ এই ক্রিয়াগুলির উপর আমাদের ইচ্ছার কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। এ ধরনের ক্রিয়ায় ব্যক্তির ইচ্ছার স্বাধীনতা থাকে না বলে এইরূপ ক্রিয়া ‘নীতিবর্হিভূত’। অনৈচ্ছিক ক্রিয়া বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। যেমন- স্বতঃসঞ্জাত ক্রিয়া, প্রতিবর্ত ক্রিয়া, প্রবৃত্তিজাত ক্রিয়া, অনুকরণশীল ক্রিয়া, ভাবজ ক্রিয়া, আকস্মিক ক্রিয়া। এইরূপ ক্রিয়ার ক্ষেত্রে আমাদের কোনো পরিকল্পনা থাকে না বা কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য সিদ্ধ করার ব্যপারও থাকে না। এ জাতীয় ক্রিয়া মূলত কোনো বাহ্যিক প্রভাবের ফলে বা নিজের দেহের ভিতরের কোনো কিছুর ফলে ঘটে থাকে। এইরূপ ক্রিয়ার কোনো নৈতিক বিচার সম্ভব নয়। তাই অনৈচ্ছিক ক্রিয়া হল নীতিবর্হিভূত এবং অনৈতিক।

অপরপক্ষে নীতিগর্হিত ক্রিয়া হল নৈতিক ক্রিয়া। নীতিগর্হিত ক্রিয়া বলতে সেই সব ক্রিয়াকে বোঝায় যেগুলি নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে মন্দ। অর্থাৎ যে ক্রিয়াগুলির ক্ষেত্রে নৈতিক বিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে। ব্যাপক অর্থে নৈতিক ক্রিয়া বলতে যেহেতু ভালো-মন্দ উভয়প্রকার ক্রিয়াকে – বোঝানো হয়েছে, সেহেতু এই ক্রিয়াগুলিও নৈতিক। ‘গর্হিত’ শব্দটির অর্থ • যে ক্রিয়া অন্যায়, মন্দ,

আর ‘বহির্ভূত’ শব্দটির অর্থ হল যা নৈতিক বিচারের বাইরে। তাই নীতিগর্হিত ক্রিয়াকে মন্দ বলা গেলেও নীতিবহির্ভূত ক্রিয়াকে ভালো-মন্দ কিছুই বলা যায় না। নীতিগর্হিত ক্রিয়া ঐচ্ছিক এবং নৈতিক। আর নীতিবহির্ভূত ক্রিয়া হল অনৈচ্ছিক ও অনৈতিক।

উদ্দেশ্য বলতে কী বোঝায়?

মানুষের ঐচ্ছিক ক্রিয়ার মানসিক স্তরের একটি অন্যতম উপস্তর হল উদ্দেশ্য। উদ্দেশ্য হল একটি চালিকা শক্তি যা আমাদের কর্মে প্রবৃত্ত করে। ‘উদ্দেশ্য’ শব্দের একাধিক অর্থ হতে পারে। বিভিন্ন দার্শনিক বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার করেছেন। যেমন-মিল ও বেথাম বলেন- অভাবজনিত দুঃখের অনুভূতি হল উদ্দেশ্য, যা মানুষকে কর্মে প্রবৃত্ত করে।

বুদ্ধিবাদীরা বলেন, ইতর প্রাণীর ক্ষেত্রে দুঃখের অনুভূতি কর্মের প্রেরণা যোগায়, কিন্তু মানুষ বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন জীব, তাই সে অন্ধ। অনুভূতির দ্বারা চালিত না হয়ে তার শুভবুদ্ধি তার কর্মকে নিয়ন্ত্রণ করে। এক্ষেত্রে প্রথমে অনুভূতির দ্বারা চালিত হলেও শেষে চিন্তার দ্বারা কর্ম নিয়ন্ত্রিত হয়। যেমন- পিতা পুত্রের অন্যায় কাজের জন্য যখন তিরস্কার করেন তখন পিতা অসন্তুষ্টির জন্য নয়; বরং সুশিক্ষার জন্য উক্ত কর্ম করে থাকেন। ম্যাকেঞ্জি এই কারণে বলেন যে, নৈতিক আচরণ উদ্দেশ্যমূলক। এক্ষেত্রে আচরণের মূলে কেবলমাত্র অনুভূতি থাকে না, উদ্দেশ্যের মূলে থাকে একটা লক্ষ্য।

ম্যুরহেড বলেন, ব্যক্তির অভাববোধ দূর করার জন্য যে কামনার সৃষ্টি হয়, সেখানে দুটি কামনার দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এই দ্বন্দ্বের মধ্যে যে কামনাটি চরিতার্থ করার জন্য ব্যক্তি নির্বাচন করে তাকেই উদ্দেশ্য বলে।

‘উদ্দেশ্য’ পদটির বিভিন্ন অর্থ বিশ্লেষণ করো।

উদ্দেশ্য পদটির বিভিন্ন অর্থ

বিভিন্ন নীতিবিজ্ঞানী বিভিন্ন অর্থে উদ্দেশ্য শব্দটি ব্যবহার করেছেন-

(1) প্রথম অর্থ: মিল, বেথাম, হিউম তাদের উদ্দেশ্যমুখী নীতিতত্ত্বে ‘উদ্দেশ্য’ বলতে কাজের পরিণামকে বুঝিয়েছেন। তাদের উপযোগবাদ হল পরিণতিবাদ (Consequentialism)। তারা ছিলেন সুখবাদী। তাই সুখের অনুভূতিকে তারা নৈতিক আচরণের উদ্দেশ্য বলে মনে করেছেন। এই অনুভূতি তাদের কাজে প্রবৃত্ত করে।

(2) দ্বিতীয় অর্থ: ম্যাকেঞ্জিও বলেন, নৈতিক আচরণ যেহেতু উদ্দেশ্যযুক্ত আচরণ, তাই এই জাতীয় আচরণের পিছনে শুধু অনুভূতি নিহিত থাকে না। এর পিছনে কোনো একটি লক্ষ্যবস্তুর ধারণা নিহিত থাকে। কাজেই কাম্যবস্তুর ধারণা মানুষকে কাজে প্রবৃত্ত করার উদ্দেশ্য।

(3) তৃতীয় অর্থ: ম্যুরহেড বলেন, উদ্দেশ্য হল সেই লক্ষ্যবস্তুর ধারণা যা মন নিজেই নির্ধারণ করে। একাধিক লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে যখন বিরোধিতা দেখা দেয়, তখন মনই তাদের মধ্যে থেকে একটিকে বেছে নিয়ে, অন্যগুলিকে বাদ দেয় বা বাতিল করে।

(4) চতুর্থ অর্থ: হেনরি স্টিফেন মনে করেন যে উদ্দেশ্য কথাটিকে বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার করা যায়-

  • উদ্দেশ্য কথাটির দ্বারা কোনো কিছুর অভাববোধকে বোঝাতে পারে।
  • কাম্যবস্তুর ধারণাকে বোঝাতে পারে।
  • কাম্যবস্তু লাভের আকুতি বা আকাঙ্ক্ষাকে বোঝাতে পারে।

অতএব, আমরা বলতে পারি কোনো কিছুর জন্য অভাববোধ এবং ঐ অভাববোধ দূর করতে পারে যে কাম্যবস্তু -এই ধারণা দুটি মিলে যে জটিল মানসিক অবস্থার সৃষ্টি করে এবং যা মানুষকে কোনো কাজে প্রবৃত্ত করে, তাকে উদ্দেশ্য অর্থে নীতিবিজ্ঞানে ব্যবহার করা হয়।

অভিপ্রায়ের ধারণাটি কী?

নীতিবিদ্যায় অভিপ্রায়ের ধারণাটি ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হয়। অভিপ্রায় হল উদ্দেশ্য, উদ্দেশ্যসাধনের উপায় এবং উদ্দেশ্যসাধনের পরিণাম বা ফলাফল এই সকল কিছুর সমষ্টি। উদাহরণের সাহায্যে – অভিপ্রায়ের ধারণাটি বোঝা যাক। পরাধীন ভারতবর্ষকে স্বাধীন করার জন্য  দেশপ্রেমিকের দল চুরি, ডাকাতি, নরহত্যা করেছিল। এক্ষেত্রে দেশ স্বাধীন হওয়া হল উদ্দেশ্য। চুরি, ডাকাতি, নরহত্যা ইত্যাদি হল উদ্দেশ্যসাধনের উপায়। আর এর ফলস্বরূপ তাদের কারাদণ্ড, মৃত্যুদণ্ড ইত্যাদিও হয়েছিল- – এসবই অভিপ্রায়ের অন্তর্ভুক্ত।

অভিপ্রায় বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। যেমন-তাৎক্ষণিক ও দূরবর্তী অভিপ্রায়, বাহ্য ও আন্তর অভিপ্রায়, আকারগত ও বিষয়গত অভিপ্রায়, চেতন ও নিজ্ঞান অভিপ্রায় ইত্যাদি।

উদ্দেশ্য ও অভিপ্রায়ের মধ্যে পার্থক্য কী?

সাধারণত আমরা উদ্দেশ্য এবং অভিপ্রায়- এই দুটি শব্দকে এক অর্থে ব্যবহার করে থাকি। নীতিবিজ্ঞানে এই দুটি শব্দ বিশেষ পারিভাষিক অর্থে ব্যবহৃত।

(1) প্রথমত:  উদ্দেশ্য হল অভিপ্রায়ের অন্তর্গত একটি উপাদান। কিন্তু ‘অভিপ্রায়ের মধ্যে আছে উদ্দেশ্য ছাড়াও আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সেই দুটি উপাদান হল উদ্দেশ্য সাধনের পন্থা বা উপায় এবং কাজটির পরিণাম বা ফলাফল।

(2) দ্বিতীয়ত:  অভিপ্রায়ের ক্ষেত্রে কাজটির বাহ্যিক দিকের প্রতি বেশি গুরুত্ব থাকে, আর উদ্দেশ্যর ক্ষেত্রে মানসিক দিকের প্রতি প্রাধান্য দেওয়া হয়। কেন-না উদ্দেশ্য মূলত লক্ষ্য বা অভীষ্টকে নির্দেশ করে, যার স্থান হল ব্যক্তির মনে। কিন্তু অভিপ্রায়ের ক্ষেত্রে সেই উদ্দেশ্য লাভের পন্থা এবং সেটি লাভের পরিণতি কী এই বিষয়গুলিও অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়।

(3)তৃতীয়ত:  ম্যাকেঞ্জির মতে, উদ্দেশ্য হল তাই যার জন্য আমরা কাজটি সম্পাদন করি এবং অভিপ্রায় হল সেই উদ্দেশ্য যার জন্য আমরা কাজটি করেছি এবং তার অতিরিক্ত আরও কিছু, যা উদ্দেশ্য নয়।

(4) চতুর্থত: বেথামের মতে, উদ্দেশ্য হল তাই যার জন্য কাজটি সম্পাদিত হয় (for the sake of which) কিন্তু অভিপ্রায় হল যার জন্য এবং যেটি ছাড়া অন্য কারণেও (for the sake of which and inspite of which) কাজটি সম্পাদিত হয়।

(5) পঞ্চমত:  লিলির মতে, অভিপ্রায় কেবলমাত্র উপায়কে নয়, প্রত্যাশিত ফলাফলের জগৎকেও বোঝায়। উদ্দেশ্য কাজের ফলাফলের তুলনায় কী মনোভাব নিয়ে কাজটি করা হচ্ছে তাকে বোঝায়।

উদ্দেশ্য ও অভিপ্রায় ঐচ্ছিক ক্রিয়ার কোন্ স্তরের অন্তর্গত?

নীতিবিজ্ঞানীরা ঐচ্ছিক ক্রিয়ার তিনটি স্তরের কথা বলে থাকেন। যথা- মানসিক স্তর দৈহিক স্তর এবং দেহবহির্ভূত স্তর বা বাহ্যস্তর। মানসিক স্তরে আবার আরও কিছু উপস্তর লক্ষ করা যায়। সেই স্তরগুলির মধ্যে অন্যতম হল উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য। যখনই আমরা ঐচ্ছিক ক্রিয়া সম্পন্ন করি, দেখা যায় যে, কোনো কিছু সম্পর্কে অভাববোধ আমাদের মধ্যে এক অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি করে। অভাববোধ দূর করার উদ্দেশ্য আমাদের ঐচ্ছিক ক্রিয়া সম্পাদনের ক্ষেত্রে প্রবৃত্ত করে।

‘অভিপ্রায়’ শব্দটিও সাধারণত আমাদের ইচ্ছা প্রণোদিত উদ্দেশ্যকে বোঝায়। কিন্তু নীতিবিজ্ঞানীরা অভিপ্রায়কে বিশেষ পারিভাষিক অর্থে ব্যবহার করেন। যখন আমরা উদ্দেশ্য পূরণ করি তখন একটি নির্দিষ্ট উপায় অবলম্বন করি। আর সেই উপায় অবলম্বন করে কিছু ফল লাভ করি।

‘অভিপ্রায়’ বলতে উদ্দেশ্য, উপায় ও ফলাফল এই তিনটিকেই বোঝায়। অর্থাৎ অভিপ্রায়ের মধ্যে উদ্দেশ্যও নিহিত থাকে আবার যেটি বাহ্যস্তর সেই ফলাফলও নিহিত থাকে। দৈহিক স্তরের মধ্যেও উদ্দেশ্যকে পরিসমাপ্তির স্তরে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা নিহিত থাকে। তাই উদ্দেশ্য ও অভিপ্রায় মূলত মানসিক বৃত্তি হলেও মানস স্তরে সীমাবদ্ধ থাকে না। ঐচ্ছিক ক্রিয়ার তিনটি স্তরের মধ্যেই উদ্দেশ্য ও অভিপ্রায় নিহিত থাকে।

নীতিবিদ্যায় ‘ঠিক’ ও ‘ভুল’ বলতে কী বোঝায়?

‘ঠিক’ ও ‘ভুল’ হল এক-একটি নৈতিক বিশেষণ, যেগুলি আমরা নীতিবিজ্ঞানে মানুষের আচরণ সম্বন্ধে ব্যবহার করে থাকি। নীতিবিদ ম্যাকেঞ্জি নীতিবিজ্ঞানের সংজ্ঞা প্রসঙ্গে এই পদগুলি ব্যবহার করেছেন এবং নীতিবিজ্ঞানের মৌলিক প্রত্যয়রূপে এগুলির বিশ্লেষণ করেছেন।

‘ঠিক’ এই শব্দটির ইংরেজি প্রতিশব্দ হল ‘Right’। এই শব্দটি এসেছে ল্যাটিন ‘Rectus’ শব্দ থেকে। যার অর্থ হল সোজা (Straight) বা বিধি অনুযায়ী (According to Rule)। ‘ভুল’ এই শব্দটির ইংরেজি প্রতিশব্দ ‘Wrong’। এই শব্দটি এসেছে ‘Wring’ শব্দ থেকে, যার অর্থ হল ‘মোচড়ানো’ (Twisted) অর্থাৎ যা বিধি বা নিয়ম অনুযায়ী নয়। যখন বলা হয় কাজটি ঠিক বা যথোচিত হয়েছে তখন বুঝতে হবে নীতি বা বিধি অনুসারে কাজটি সম্পন্ন হয়েছে। নৈতিক বিধির সঙ্গে কাজটির সংগতি আছে। আর যে আচরণ ভুল বা অন্যায় সেই আচরণের সঙ্গে নৈতিক নিয়মের সংগতি নেই। নৈতিক নিয়মকে লঙ্ঘন করে কাজটি সম্পন্ন করা হয়েছে।

নীতিবিজ্ঞানে মানুষের আচরণের মধ্যে সেই আচরণকেই ঠিক বলা হয়, যে আচরণ মানুষের পরমকল্যাণ সাধন করতে পারে। এই পরমকল্যাণকে নৈতিক জীবনের চরম আদর্শ বলে মনে করা হয়। নৈতিক নিয়ম বা বিধি এই পরমকল্যাণের নিরিখেই স্থির করা হয়। অর্থাৎ নৈতিক নিয়ম পরমকল্যাণের সাধক। যখন কোনো ব্যক্তি কোনো সেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তখন সেই কাজের দ্বারা মানুষের পরমকল্যাণ সাধিত হয়। তাই তার কাজটি ঠিক। কিন্তু যখন কোনো ব্যক্তি স্বার্থপর হয়ে, অপরের ক্ষতি হয় এমন কাজ করে, যার দ্বারা পরমকল্যাণ সাধিত হয় না সেই কাজ ভুল।

 

নীতিবিদ্যার কয়েকটি মৌলিক প্রত্যয় সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো।

মৌলিক প্রত্যয়

নীতিবিদ্যা বিভিন্ন নৈতিক প্রত্যয়ের সুস্পষ্ট অর্থ নির্ধারণ করে। নীতিবিদ্যার কয়েকটি মৌলিক প্রত্যয় সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হল-

(1) ঠিক ও ভুল (Right and Wrong): নৈতিক বিধি বা নৈতিক নিয়মসম্মত কাজ হল ঠিক কাজ। এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক লিলি (Lillie) বলেছেন, কোনো কাজ কোনো নিয়মের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হলে তবেই সেই কাজকে ‘ঠিক কাজ’ বলা যাবে।

‘ভুল’ হল ‘ঠিক’-এর বিপরীত। অর্থাৎ, যে কাজ নৈতিক বিধি বা নৈতিক নিয়মসম্মত নয়, সেই কাজই ‘ভুল কাজ’। কাজেই, কোনো কাজ ঠিক অথবা ভুল তা আমরা নির্ণয় করি ঐ বিশেষ কাজটি কেমন ফল উৎপন্ন করে তার উপর ভিত্তি করে।

(2) ভালো ও মন্দ (Good and Bad): অধ্যাপক ম্যাকেঞ্জি (Mackenzie) তাঁর ‘A Manual of Ethics’ গ্রন্থে বলেছেন, কোনো কিছুকে সাধারণত তখনই ভালো বলা হবে যখন তা কোনো লক্ষ্যলাভের জন্য মূল্যবান হয়। অর্থাৎ, মানুষের কোনো ঐচ্ছিক ক্রিয়া যদি কোনো লক্ষ্যলাভের জন্য মূল্যবান হয়, তাহলে আমরা তাকে ভালো বলব। আবার অন্যদিকে, যদি কোনো কিছু কোনো লক্ষ্যলাভের জন্য মূল্যবান না হয় বা মূল্যহীন হয়, তাহলে তাকে মন্দ বলা হবে।

উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, বৃক্ষরোপণ কোনো লক্ষ্যলাভের (পরিবেশ সুরক্ষা) জন্য মূল্যবান হয়, তাই বৃক্ষরোপণ করা একটি ভালো কাজ। অন্যদিকে, অপরকে হত্যা করা কোনো লক্ষ্যলাভের জন্য মূল্যবান নয় এবং কখনও হতে পারে না, কেন-না জীবন সর্বদাই মূল্যবান; তাই এটি মন্দ কাজ।

‘Highest Good’ বা পরম শুভ বলতে কী বোঝায়?

নীতিবিদ্যায় যা কিছু ভালো বা কল্যাণকর তাকে আমরা উদ্দেশ্য ও উপায় দুভাবে দেখে থাকি। সুখ যদি লক্ষ্য হয় তাহলে সুখলাভের জন্য ভালো স্বাস্থ্য হল উপায়। আবার স্বাস্থ্যলাভ যদি লক্ষ্য হয় তাহলে শারীরিক ব্যায়াম, পুষ্টিকর খাদ্য, ভালো ওষুধ ইত্যাদি হল স্বাস্থ্য লাভ করার উপায়স্বরূপ, তাই কল্যাণকর। সুতরাং যা কিছু Good বা ভালো সেগুলিকে আমরা দুইভাগে ভাগ করতে পারি- চরম ভালো (Absolute Good) এবং আপেক্ষিক ভালো (Relative Good)। আপেক্ষিক ভালো বলতে বোঝায় এমন কিছু যার মাধ্যমে আমাদের কোনো অভীষ্ট বা উদ্দেশ্য লাভ হয়। যাকে তার নিজের জন্য আমরা কামনা করি না।

এটি অন্য কোনো উচ্চতর যে ভালো সেটিকে লাভের উপায়স্বরূপ। অপরপক্ষে যেটিকে চরম ভালো বলা হয় সেটি হল তাই যাকে তার নিজের জন্যই কামনা করি। এই চরম ভালো অন্য কোনো ভালোর অধীন নয়। এটিকে আর কোনো উচ্চতর ভালোর উপায়রূপে ব্যবহার করা যায় না। এটি নিজের জন্য নিজে ভালো। তাই এটিকে বলা হয় স্বরূপত ভালো বা Intrinsic Good । এই চরম ভালোকে লাভ করার উপায়রূপে যে ভালোগুলি আছে সেগুলিকে বলা হয় Instrumental Good বা সহায়করূপে ভালো। চরম ভালোকে বলা হয় মানুষের শ্রেষ্ঠ কাম্যবস্তু।

লিলি ‘ভালো’ শব্দটির যে চারটি তাৎপর্যের কথা বলেছেন সুেগলি কী কী?

ভালো শব্দের তাৎপর্য

লিলির মতে ‘ভালো’ বা ‘যথোচিত’ এই জাতীয় লৌকিক ধারণা যখন ব্যবহার করা হয়, তখন চারটি তাৎপর্যের যে-কোনো এক বা একাধিক তাৎপর্যের কথা ভেবেই কোনো ব্যক্তি সেগুলিকে ব্যবহার করে।

(1) মূল্য (Value): যখন আমরা বলি ‘এই কাজটি ভালো’ তখন তার দ্বারা আমরা বোঝাতে চাই যে কাজটির একটি মূল্য আছে বা কাজটি করার যোগ্য। আবার অনেকে মনে করেন কাজটি যথোচিত। যেহেতু কাজটি – ভালো ফল উৎপন্ন করে।

(2) বাধ্যতাবোধ (Obligation): অনেক সময় কোনো কাজকে ভালো বলার অর্থ এই যে কাজটি আমাদের কর্তব্য। নৈতিক নিয়ম হল নিঃশর্ত আদেশ যাকে লঙ্ঘন করার অধিকার আমাদের নেই। এই বাধ্যতাবোধ বাইরে থেকে আরোপিত হয় না। এটি আসে ব্যক্তির অন্তর থেকে একে বিবেকের আদেশ বলা হয়।

(3) নৈতিক উপযুক্ততা (Moral Fittingness): কোনো কোনো ক্ষেত্রে কাজটিকে ‘ভালো’ বলার অর্থ হল ঐ কাজটি একটি বিশেষ পরিবেশে সবথেকে বেশি উপযুক্ত। ঐ কাজটি করার ফল শুভ নাও হতে পারে, বা কাজটি করার জন্য কোনো বাধ্যতাবোধ আমার নাই থাকতে পারে তাও কাজটির নৈতিক গুরুত্ব আমরা কোনোভাবে অস্বীকার করতে পারি না। যেমন- ‘সত্য কথা বলা’-কে আমরা অনেক সময় তার নৈতিক উপযুক্ততার দিক থেকে ভালো বলে থাকি।

(4) বস্তুগত বৈধতা বা যৌক্তিকতা (Objective Validity): বেশ কিছু ক্ষেত্রে কোনো কাজকে ‘ভালো’ বলতে বোঝায় ঐ কাজটির বস্তুগত বৈধতা আছে। অর্থাৎ ব্যক্তিগতভাবে শুধু নয় কাজটি বাস্তবে মানে বিষয়গতভাবেও ভালো।

ভালো-মন্দ, ঠিক-ভুল এগুলিকে আদর্শনিষ্ঠ নীতিবিজ্ঞানের ব্যবহৃত ধারণা বলে মনে করা হয় কেন?

নীতিবিজ্ঞানের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে নীতিবিজ্ঞানীরা এটিকে মানুষের আচরণসম্বন্ধীয় আদর্শনিষ্ঠ বিজ্ঞান বলেছেন। কেন-না নীতিবিজ্ঞান মানুষের আচরণের ভালো-মন্দ এবং ঠিক-ভুল ইত্যাদি সম্বন্ধে আলোচনা করে। ভালো-মন্দ, ঠিক-ভুল এগুলিকে আমরা নৈতিক আদর্শ বলে মনে করি। নীতিবিজ্ঞানে বিভিন্ন আদর্শের মাপকাঠিতে মানুষের আচরণের মূল্যায়ন করা হয় এবং সেই আদর্শগুলিকে ভিত্তি করে বিভিন্ন নৈতিকতত্ত্ব গড়ে উঠেছে। এই তত্ত্বগুলির মধ্যে উদ্দেশ্যবাদ এবং কর্তব্যবাদ (Teleological Theory and Deontological View) দুটি পরস্পরবিরোধী তত্ত্ব।

যখন আমরা ভালো বা মন্দের কথা বলি, তখন উদ্দেশ্যবাদী নীতিতত্ত্বের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদর্শের কথা বলি। কেন-না আমাদের কাজের লক্ষ্য বা পরিণতিরূপে আমরা যা কিছু ভালো তাকে অর্জন করতে চাই। তাই এটি উদ্দেশ্যমুখী নীতিতত্ত্বের অন্তর্ভুক্ত। অপরপক্ষে যা কিছু ঠিক, সেই সব কিছু নৈতিক বিধি বা নিয়ম অনুসরণ করে বলে ঠিক। যা কর্তব্যবাদী নীতিতত্ত্বে নৈতিক নিয়মে বলা হয়। তাই ঠিক-ভুল এগুলি কর্তব্যবাদী (Deontology) নীতিতত্ত্বের আদর্শরূপে বিবেচিত হয়।

নৈতিক বিচারের প্রকৃতি কী?

নৈতিক বিচারের মাধ্যমে আমরা আমাদের ক্রিয়া বা আচরণের নৈতিক মূল্য অর্থাৎ ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় ইত্যাদি বিচার করে থাকি। নৈতিক বিচারের প্রকৃতি বিশ্লেষণ করলে নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলি পাওয়া যায়-

  1. নৈতিক বিচার হল একটি মানসিক ক্রিয়া, যার সাহায্যে কোনো কাজের নৈতিক গুণাগুণ বিচার করা যায়।
  2. নৈতিক বিচারের ক্ষেত্রে বিচার-বুদ্ধিশীল ও বিচারে সামর্থ্য বা মানসিক ক্ষমতা আছে এরূপ একজন বিচারকর্তা অবশ্যই থাকে।
  3. নৈতিক বিচারের বিষয় হিসেবে আমাদের কোনো-না-কোনো ঐচ্ছিক ক্রিয়া থাকে।
  4. নৈতিক বিচারের ক্ষেত্রে কোনো-না-কোনো আদর্শ থাকে, যার ভিত্তিতে নৈতিক বিচার করা হয়ে থাকে।

নৈতিক বিচারের বিষয়বস্তু সম্পর্কে আলোচনা করো।

নৈতিক বিচারের বিষয়বস্তু

নৈতিক বিধি বিধানের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ঐচ্ছিক ক্রিয়াগুলি যে নৈতিক বিচারের বিষয় সে বিষয়ে নীতিবিদদের মধ্যে মতপার্থক্য নেই। কিন্তু প্রশ্ন হল, ঐচ্ছিক ক্রিয়ার কোন্ দিকটি, নৈতিক বিচারের বিষয় হবে?

(1) সুখবাদের বক্তব্য: সুখবাদীগণ মনে করেন ঐচ্ছিক ক্রিয়ার বাহ্যিক পরিণাম বা ফলাফল নৈতিক বিচারের বিষয়। উদ্দেশ্য ও অন্যান্য মানসিক অবস্থার সঙ্গে পরিণামের পরিবর্তে মানসিক স্তরকে নৈতিক বিচারের বিষয় বলতে হয়।

(2) স্বজ্ঞাবাদের বক্তব্য: কিন্তু প্রশ্ন হল, মানসিক দিকের উদ্দেশ্য না অভিপ্রায় কোন্টির উপর নৈতিক বিচার আরোপ করা হবে। মার্টিন্যু প্রমুখ স্বজ্ঞাবাদীদের মতে, নৈতিক বিচারের ক্ষেত্রে উদ্দেশ্যের উপর গুরুত্ব আরোপ করা উচিত। তারা উদ্দেশ্যের একটি বিশেষ তালিকা দিয়েছেন, যার সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে ভক্তি এবং সর্বনিম্ন স্থানে রয়েছে প্রতিহিংসা।

(3) উপযোগবাদের বক্তব্য: অন্যদিকে উপযোগবাদীগণ নৈতিক বিচারের ক্ষেত্রে অভিপ্রায়ের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। কেন-না উদ্দেশ্য ভালো হলেও অনেক সময় অভিপ্রায় খারাপ হতে পারে।

(4) উপসংহার: শুধু অভিপ্রায়ের উপর নির্ভর করে নৈতিক বিচার করা যায় না। উদ্দেশ্য ও অভিপ্রায় উভয়ের সমন্বয়ে ব্যক্তির যে চরিত্র গঠিত হয়, তার উপর নৈতিক বিচার করা উচিত।

Also Read – The Garden Party questions and answers

একাদশ শ্রেণির কলা বিভাগের যে কোনো প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন। কোনো উত্তর না পেলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানান।

Leave a Comment