নিরপেক্ষ ন্যায় – মূর্তি, সংস্থান ও বৈধতা বিচার Class 11

সূচিপত্র

একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিস্টার দর্শন বিষয়ে মোট 40 নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হবে। এই 40 নম্বরের মধ্যে নিরপেক্ষ ন্যায় – মূর্তি, সংস্থান ও বৈধতা বিচার অধ্যায় থেকে মোট 6 নম্বর আসবে। আজকের এই প্রশ্নোত্তর পর্বে একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিষ্টার দর্শন পরীক্ষার জন্য মূর্তি, সংস্থান ও বৈধতা বিচার অধ্যায় থেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তরসহ তুলে ধরা হল।

মূর্তি, সংস্থান ও বৈধতা বিচার

মূর্তি, সংস্থান ও বৈধতা বিচার

পাখিরা দ্বিপদ ও তাদের ডানা আছে। পরিরাও দ্বিপদ ও তাদের ডানা আছে। সুতরাং, পরিরা পাখি।

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

সকল পাখি হয় দ্বিপদ ও ডানাবিশিষ্ট (A)- প্রধান আশ্রয়বাক্য।

সকল পরি হয় দ্বিপদ ও ডানাবিশিষ্ট (A) অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।

সকল পরি হয় পাখি  (A)- সিদ্ধান্ত।

দোষ: অব্যাপ্য হেতুদোষ।

সংস্থান: দ্বিতীয় সংস্থান

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের বৈধতার নিয়মে বলা হয়েছে- হেতুপদটিকে দুটি আশ্রয়বাক্যে অন্তত একবার ব্যাপ্য হতেই হবে। কিন্তু এখানে হেতুপদ ‘দ্বিপদ ও ডানাবিশিষ্ট’ প্রধান এবং অপ্রধান উভয় আশ্রয়বাক্যের A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, A বচন কেবল উদ্দেশ্য পদকে ব্যাপ্য করে, বিধেয়কে নয়। ফলে যুক্তিটিতে অব্যাপ্য হেতুদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, এটি দ্বিতীয় সংস্থানের অন্তর্গত এবং AAA একটি অশুদ্ধ মূর্তি।

বাদুড় নিশ্চয়ই পাখি, কারণ তারা উড়তে পারে এবং সব পাখি উড়তে পারে।

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

সকল পাখি হয় এমন যারা উড়তে পারে (A)- প্রধান আশ্রয়বাক্য। 

সকল বাদুড় হ হয় এমন যারা উড়তে পারে (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।

সকল বাদুড় হয় পাখি (A) – সিদ্ধান্ত।

দোষ: অব্যাপ্য হেতুদোষ।

সংস্থান: দ্বিতীয় সংস্থান

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের বৈধতার নিয়মে বলা হয়েছে-হেতু পদটিকে দুটি আশ্রয়বাক্যে অন্তত একবার ব্যাপ্য হতেই হবে। কিন্তু এখানে হেতুপদ ‘যারা উড়তে পারে’ প্রধান ও অপ্রধান উভয় আশ্রয়বাক্যের A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, এ বচনে বিধেয় পদ ব্যাপ্য নয়। ফলে যুক্তিটিতে অব্যাপ্য হেতুদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি দ্বিতীয় সংস্থানের অন্তর্গত এবং AAA একটি অশুদ্ধ মূর্তি।

এই ন্যায়টি অবশ্যই বৈধ। কেন-না সকল বৈথ ন্যায়ের মতো এটিও তিন পদবিশিষ্ট।

যুক্তিটি একটি সংক্ষিপ্ত ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। এখানে অপ্রধান আশ্রয়বাক্যটি ‘এই ন্যায়টি হয় এমন যার তিনটি পদ আছে’ উহ্য আছে। সেই আশ্রয়বাক্যটি সংযুক্ত করলে সম্পূর্ণ ন্যায় আকারটি হবে-

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

সকল বৈধ ন্যায় হয় এমন যার তিনটি পদ আছে (A)  প্রধান আশ্রয়বাক্য। 

এই ন্যায়টি হয় এমন যার তিনটি পদ আছে (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।

এই ন্যায়টি হয় বৈধ ন্যায় (A) সিদ্ধান্ত।

দোষ: অব্যাপ্য হেতুদোষ।

দ্বিতীয় সংস্থান

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের বৈধতার নিয়মে বলা হয়েছে- প্রতিটি বৈধ ন্যায় অনুমানে হেতুপদটিকে দুটি আশ্রয়বাক্যে অন্তত একবার ব্যাপ্য হতেই হবে। কিন্তু এখানে হেতুপদ ‘এমন যার তিনটি পদ আছে’ প্রধান এবং অপ্রধান উভয় আশ্রয়বাক্যেই এ বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, এ বচন বিধেয়কে ব্যাপ্য করে না। ফলে যুক্তিটিতে অব্যাপ্য হেতুদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি দ্বিতীয় সংস্থানের অন্তর্গত এবং AAA একটি অশুদ্ধ মূর্তি।

সে নিশ্চয়ই সুখী। কারণ, কেবলমাত্র শিক্ষিতরাই সুখী।

যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত সংক্ষিপ্ত ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। এক্ষেত্রে অপ্রধান আশ্রয়বাক্যটি উহ্য আছে। সেই আশ্রয়বাক্যটি যুক্ত করলে সম্পূর্ণ ন্যায় আকারটি হবে:

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

সকল সুখী ব্যক্তি হয় শিক্ষিত (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য। 

সে হয় শিক্ষিত। (A) অপ্রধান আশ্রয়বাক্য। 

সে হয় সুখী ব্যক্তি (A) – সিদ্ধান্ত।

দোষ: অব্যাপ্য হেতুদোষ।

দ্বিতীয় সংস্থান

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত সংক্ষিপ্ত ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের বৈধতার নিয়মে বলা হয়েছে- প্রতিটি বৈধ ন্যায় অনুমানে হেতুপদটিকে দুটি আশ্রয়বাক্যে অন্তত একবার ব্যাপ্য হতেই হবে। কিন্তু এখানে হেতুপদ ‘শিক্ষিত’ প্রধান ও অপ্রধান উভয় আশ্রয়বাক্য A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ এ বচনে বিধেয় পদ ব্যাপ্য নয়। ফলে যুক্তিটিতে অব্যাপ্য হেতুদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং যুক্তিটি দ্বিতীয় সংস্থানের অন্তর্গত এবং AAA একটি অশুদ্ধ মূর্তি।

অনেক সরকারি অফিসারই অধ্যাপক। কেন-না তারা এমএ পাস। আর সকল অধ্যাপক অবশ্যই এমএ পাস।

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

সকল অধ্যাপক হয় এমএ পাস (A)- প্রধান আশ্রয়বাক্য।

কোনো কোনো সরকারি অফিসার হয় এমএ পাস (I) অপ্রধান আশ্রয়বাক্য। 

কোনো কোনো সরকারি অফিসার হয় অধ্যাপক (I)- সিদ্ধান্ত।

দোষ: অব্যাপ্য হেতুদোষ।

দ্বিতীয় সংস্থান

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের বৈধতার নিয়মে বলা হয়েছে- প্রতিটি বৈধ ন্যায় অনুমানে হেতুপদটিকে অন্তত একবার ব্যাপ্য হতেই হবে। কিন্তু এখানে হেতুপদ ‘এমএ পাস’ প্রধানত্মাশ্রয়বাক্য A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, এ বচনে বিধেয় পদ ব্যাপ্য নয়। আবার অপ্রধান আশ্রয়বাক্য । বচন হওয়ায় হেতুপদ ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, I বচন কোনো পদকে ব্যাপ্য করে না। ফলে যুক্তিটিতে অব্যাপ্য হেতুদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি দ্বিতীয় সংস্থানের অন্তর্গত এবং AII একটি অশুদ্ধ মূর্তি।

কোনো কোনো মহিলা অবশ্যই পুরুষ, কেন-না পুরুষদের মতো তারাও ক্রিকেট খেলতে পারে।

যুক্তিটি একটি সংক্ষিপ্ত ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। এখানে প্রধান আশ্রয়বাক্যটি ‘সকল পুরুষ হয় এমন যারা ক্রিকেট খেলতে পারে’ উহ্য আছে। সেই আশ্রয়বাক্যটি সংযুক্ত করলে সম্পূর্ণ ন্যায় আকারটি হবে-

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

সকল পুরুষ হয় এমন যারা ক্রিকেট খেলতে পারে (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য। 

কোনো কোনো মহিলা হয় এমন যারা ক্রিকেট খেলতে পারে (I) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।

কোনো কোনো মহিলা হয় পুরুষ (I)- সিদ্ধান্ত।

দোষ: অব্যাপ্য হেতুদোষ।

দ্বিতীয় সংস্থান

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের বৈধতার নিয়মে বলা হয়েছে- প্রতিটি বৈধ ন্যায় অনুমানের হেতুপদটিকে দুটি আশ্রয়বাক্যে অন্তত একবার ব্যাপ্য হতেই হবে। কিন্তু এখানে হেতুপদ ‘এমন যারা ক্রিকেট খেলতে পারে’ প্রধান আশ্রয়বাক্য A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, এ বচনে বিধেয় পদ ব্যাপ্য নয়। আবার অপ্রধান আশ্রয়বাক্য । বচন হওয়ায় হেতুপদ ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, I বচন কোনো পদকে ব্যাপ্য করে না। ফলে যুক্তিটিতে অব্যাপ্য হেতুদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি দ্বিতীয় সংস্থানের অন্তর্গত এবং AII একটি অশুদ্ধ মূর্তি।

এই ন্যায়টি অবৈধ, কেন-না এটিতে চারটি পদ আছে।

যুক্তিটি সংক্ষিপ্ত ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। এখানে প্রধান আশ্রয়বাক্যটি উহ্য বা অব্যক্ত আছে। সেটি হল, ‘সকল অবৈধ ন্যায় হয় এমন যার চারটি পদ আছে’। এই আশ্রয়বাক্য যুক্ত করলে সম্পূর্ণ ন্যায় আকারটি হবে-

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

সকল অবৈধ ন্যায় হয় এমন যার চারটি পদ আছে (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।

এই ন্যায়টি হয় এমন যার চারটি পদ আছে (A)- অপ্রধান আশ্রয়বাক্য। 

এই ন্যায়টি হয় অবৈধ ন্যায় (A) – সিদ্ধান্ত। 

দোষ: অব্যাপ্য হেতুদোষ।

দ্বিতীয় সংস্থান

বিচার : যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত সংক্ষিপ্ত ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের নিয়মে বলা হয়েছে- প্রতিটি বৈধ ন্যায়ে হেতুপদটিকে অন্তত একবার ব্যাপ্য হতে হবে। কিন্তু এখানে হেতুপদ ‘এমন যার চারটি পদ আছে’ প্রধান ও অপ্রধান উভয় আশ্রয়বাক্যের A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, এ বচনে বিধেয় পদ ব্যাপ্য নয়। ফলে যুক্তিটিতে অব্যাপ্য হেতুদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি দ্বিতীয় সংস্থানের অন্তর্গত এবং AAA একটি অশুদ্ধ মূর্তি।

রোবট মানুষ। কেন-না রোবট কথা বলে এবং যারা কথা বলে তারা মানুষ।

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

সকল মানুষ হয় এমন যারা কথা বলে (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য। 

রোবট হয় এমন যারা কথা বলে (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।

রোবট হয় মানুষ (A) – সিদ্ধান্ত।

দোষ: অব্যাপ্য হেতুদোষ।

দ্বিতীয় সংস্থান

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের নিয়মে বলা হয়েছে- প্রতিটি বৈধ ন্যায়ে হেতুপদটিকে অন্তত একবার ব্যাপ্য হতেই হবে। কিন্তু এখানে হেতুপদ ‘এমন যারা কথা বলে’ প্রধান ও অপ্রধান উভয় আশ্রয়বাক্যে A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, এ বচনের বিধেয় পদ ব্যাপ্য নয়। ফলে যুক্তিটিতে অব্যাপ্য হেতুদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি দ্বিতীয় সংস্থানের অন্তর্গত এবং AAA একটি অশুদ্ধ মূর্তি।

সে নিশ্চয়ই কাপুরুষ, কেন-না অসৎ এবং সব কাপুরুষই অসৎ।

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

সকল কাপুরুষ হয় অসৎ (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য। 

সে হয় অসৎ (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।

সে হয় কাপুরুষ (A) – সিদ্ধান্ত।

দোষ: অব্যাপ্য হেতুদোষ।

দ্বিতীয় সংস্থান

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের বৈধতার নিয়মে বলা হয়েছে- প্রতিটি বৈধ ন্যায় অনুমানের হেতুপদটিকে অন্তত একবার ব্যাপ্য হতেই হবে। কিন্তু এখানে হেতুপদ ‘অসৎ’ প্রধান ও অপ্রধান উভয় আশ্রয়বাক্যের A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। ফলে যুক্তিটিতে অব্যাপ্য হেতুদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি দ্বিতীয় সংস্থানের অন্তর্গত এবং AAA একটি অশুদ্ধ মূর্তি।

কবি মাত্রই ভাবপ্রবণ। তাই সুকান্ত অবশ্যই কবি, কারণ সে ভাবপ্রবণ।

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

সকল কবি হন ভাবপ্রবণ (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য। 

সুকান্ত হন ভাবপ্রবণ (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।

সুকান্ত হন কবি (A) সিদ্ধান্ত।

দোষ: অব্যাপ্য হেতুদোষ।

দ্বিতীয় সংস্থান

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের বৈধতার নিয়মে বলা হয়েছে- প্রতিটি বৈধ ন্যায় অনুমানে হেতুপদটিকে অন্তত একবার ব্যাপ্য হতেই হবে। কিন্তু এখানে হেতুপদ ‘ভাবপ্রবণ’ প্রধান ও অপ্রধান উভয় আশ্রয়বাক্যের A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, এ বচনে বিধেয় পদ ব্যাপ্য নয়। ফলে যুক্তিটিতে অব্যাপ্য হেতুদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি দ্বিতীয় সংস্থানের অন্তর্গত এবং AAA একটি অশুদ্ধ মূর্তি।

গায়করা গলার যত্ন নেয়, বহ্নি কয়াল নিশ্চয়ই গায়ক, কারণ সে গলার যত্ন নিতে সদা ব্যস্ত।

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

সকল গায়ক হয় গলার যত্ন নেওয়া ব্যক্তি (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।

বহ্নি কয়াল হয় গলার যত্ন নেওয়া ব্যক্তি (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।

বহ্নি কয়াল হয় গায়ক (A) – সিদ্ধান্ত

দোষ: অব্যাপ্য হেতুদোষ।

দ্বিতীয় সংস্থান

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের বৈধতার নিয়মে বলা হয়েছে- প্রতিটি বৈধ ন্যায় অনুমানে হেতুপদটিকে দুটি আশ্রয়বাক্যে অন্তত একবার ব্যাপ্য হতেই হবে। কিন্তু এখানে হেতুপদ ‘গলার যত্ন নেওয়া ব্যক্তি’ প্রধান ও অপ্রধান উভয় আশ্রয়বাক্যের A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, এ বচনে বিধেয় পদ ব্যাপ্য নয়। ফলে যুক্তিটিতে অব্যাপ্য হেতুদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি দ্বিতীয় সংস্থানের অন্তর্গত এবং AAA একটি অশুদ্ধ মূর্তি।

সব সুনাগরিকরাই ভোটদাতা, অতএব কোনো কোনো মহিলা সুনাগরিক, কারণ তাদের অনেকেই ভোটদাতা ।

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

সকল সুনাগরিক হয় ভোটদাতা (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।

কোনো কোনো মহিলা হয় ভাের্টদাতা (I) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।

কোনো কোনো মহিলা হয় সুনাগরিক (I) – সিদ্ধান্ত।

দোষ: অব্যাপ্য হেতুদোষ।

দ্বিতীয় সংস্থান

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের বৈধতার নিয়মে বলা হয়েছে- প্রতিটি বৈধ ন্যায় অনুমানে হেতুপদটিকে দুটি আশ্রয়বাক্যে অন্তত একবার ব্যাপ্য হতেই হবে। কিন্তু এখানে হেতুপদ ‘ভোটদাতা’ প্রধান আশ্রয়বাক্য A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, এ বচনে বিধেয় পদ ব্যাপ্য নয়। আবার, অপ্রধান আশ্রয়বাক্য। বচন হওয়ায় হেতুপদ ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, I বচন কোনো পদকে ব্যাপ্য করে না। ফলে যুক্তিটিতে অব্যাপ্য হেতুদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি দ্বিতীয় সংস্থানের অন্তর্গত এবং AII একটি অশুদ্ধ মূর্তি।

প্রশান্তবাবু নিশ্চয়ই প্রগতিশীল, যেহেতু সকল প্রগতিশীলদের মতো তিনিও গণ আন্দোলনে বিশ্বাসী।

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

সকল প্রগতিশীল ব্যক্তি হন গণ আন্দোলনে বিশ্বাসী (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।

প্রশান্তবাবু হন গণ আন্দোলনে বিশ্বাসী (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য ।

প্রশান্তবাবু হন প্রগতিশীল ব্যক্তি (A) – সিদ্ধান্ত।

দোষ: অব্যাপ্য হেতুদোষ।

দ্বিতীয় সংস্থান

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের বৈধতার নিয়মে বলা হয়েছে- প্রতিটি বৈধ ন্যায় অনুমানে হেতুপদটিকে দুটি আশ্রয়বাক্যে অন্তত একবার ব্যাপ্য হতেই হবে। কিন্তু এখানে হেতুপদ ‘গণ আন্দোলনে বিশ্বাসী’ প্রধান ও অপ্রধান উভয় আশ্রয়বাক্যে A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, এ বচনে বিধেয় পদ ব্যাপ্য নয়। ফলে যুক্তিটিতে অব্যাপ্য হেতুদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি দ্বিতীয় সংস্থানের অন্তর্গত এবং AAA একটি অশুদ্ধ মূর্তি।

সকল ছাত্র পরিশ্রমী এবং রহিমও পরিশ্রমী, সুতরাং রহিম ছাত্র না হয়ে পারে না।

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

সকল ছাত্র হয় পরিশ্রমী (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।

রহিম হয় পরিশ্রমী (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।

রহিম হয় ছাত্র (A) – সিদ্ধান্ত।

দোষ: অব্যাপ্য হেতুদোষ।

দ্বিতীয় সংস্থান

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের বৈধতার নিয়মে বলা হয়েছে- প্রতিটি বৈধ ন্যায় অনুমানে হেতুপদকে দুটি আশ্রয়বাক্যে অন্তত একবার ব্যাপ্য হতেই হবে। কিন্তু এখানে হেতুপদ ‘পরিশ্রমী’ প্রধান ও অপ্রধান উভয় আশ্রয়বাক্যে A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, এ বচনে বিধেয় পদ ব্যাপ্য নয়। ফলে যুক্তিটিতে অব্যাপ্য হেতুদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি দ্বিতীয় সংস্থানের অন্তর্গত এবং AAA একটি অশুদ্ধ মূর্তি।

বেশিরভাগ মহিলাই তর্কবিদ্যাসম্মত যুক্তি প্রদর্শন করতে পারে না। যেহেতু ইন্দিরা একজন মহিলা, সেহেতু তর্কশাস্ত্রসম্মত যুক্তি প্রদর্শন করতে পারে না।

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

কোনো কোনো মহিলা নয় তর্কবিদ্যাসম্মত যুক্তি প্রদর্শন করতে পারা ব্যক্তি (O) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।

ইন্দিরা হয় মহিলা (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।

ইন্দিরা নয় তর্কবিদ্যাসম্মত যুক্তি প্রদর্শন করতে পারা ব্যক্তি (E) – সিদ্ধান্ত।

দোষ: অব্যাপ্য হেতুদোষ।

প্রথম সংস্থান

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের বৈধতার নিয়মে বলা হয়েছে- প্রতিটি বৈধ ন্যায় অনুমানে হেতুপদটিকে দুটি আশ্রয়বাক্যে অন্তত একবার ব্যাপ্য হতেই হবে। কিন্তু এখানে হেতুপদ ‘মহিলা’ প্রধান আশ্রয়বাক্য O বচনের উদ্দেশ্য স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, O বচনের উদ্দেশ্য পদ ব্যাপ্য নয়। আবার, অপ্রধান আশ্রয়বাক্যে A বচনের বিধেয় স্থানে হেতুপদ থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, এ বচনে বিধেয় পদ ব্যাপ্য নয়। ফলে যুক্তিটিতে অব্যাপ্য হেতুদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি প্রথম সংস্থানের অন্তর্গত এবং OAE একটি অশুদ্ধ মূর্তি।

কবিরা বাস্তববিমুখ, হরিহরবাবুও বাস্তববিমুখ সুতরাং তিনি কবি।

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

সকল কবি হন বাস্তববিমুখ (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।

হরিহরবাবু হন বাস্তববিমুখ (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।

হরিহরবাবু হন কবি (A) – সিদ্ধান্ত।

দোষ: অব্যাপ্য হেতুদোষ।

দ্বিতীয় সংস্থান

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের নিয়মে বলা হয়েছে- প্রতিটি বৈধ ন্যায় অনুমানে হেতুপদটিকে দুটি আশ্রয়বাক্যে অন্তত একবার ব্যাপ্য হতেই হবে। কিন্তু এখানে হেতুপদ ‘বাস্তববিমুখ’ প্রধান এবং অপ্রধান উভয় আশ্রয়বাক্যের A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, এ বচন বিধেয় পদকে ব্যাপ্য করে না। ফলে যুক্তিটিতে অব্যাপ্য হেতুদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি দ্বিতীয় সংস্থানের অন্তর্গত এবং AAA একটি অশুদ্ধ মূর্তি।

শিশুরা সরল না হয়ে পারে না, রামবাবু সরল সুতরাং রামবাবুও শিশু।

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

সকল শিশু হয় সরল ব্যক্তি (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।

রামবাবু হয় সরল ব্যক্তি (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য। 

রামবাবু হয় শিশু (A) – সিদ্ধান্ত।

দোষ: অব্যাপ্য হেতুদোষ।

দ্বিতীয় সংস্থান

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায়ের বৈধতার নিয়মে বলা হয়েছে-হেতুপদটিকে দুটি আশ্রয়বাক্যে অন্তত একবার ব্যাপ্য হতেই হবে। কিন্তু এখানে হেতুপদ ‘সরল ব্যক্তি’ প্রধান এবং অপ্রধান উভয় আশ্রয়বাক্যের A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, এ বচন কেবল উদ্দেশ্যকে ব্যাপ্য করে, বিধেয়কে নয়। ফলে যুক্তিটিতে অব্যাপ্য হেতুদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি দ্বিতীয় সংস্থানের অন্তর্গত এবং AAA একটি অশুদ্ধ মূর্তি।

সাধারণত ভালো লোকেরা কষ্ট পায়, তাই সে-ও কষ্ট পাবে কারণ, সে ভালো লোক।

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

কোনো কোনো ভালো লোক হয় এমন যে কষ্ট পাবে (I) – প্রধান আশ্রয়বাক্য। 

সে হয় ভালো লোক (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য। 

সে হয় এমন ব্যক্তি যে কষ্ট পাবে (A) সিদ্ধান্ত।

দোষ: অব্যাপ্য হেতুদোষ।

প্রথম সংস্থান

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের বৈধতার নিয়মে বলা হয়েছে- প্রতিটি ন্যায় অনুমানে হেতুপদটিকে দুটি আশ্রয়বাক্যে অন্তত একবার ব্যাপ্য হতেই হবে। কিন্তু এখানে হেতুপদ ‘ভালো লোক’ প্রধান আশ্রয়বাক্য । বচনের উদ্দেশ্য স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, I বচন কোনো পদকে ব্যাপ্য করে না। আবার, অপ্রধান আশ্রয়বাক্য A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, এ বচনে বিধেয় পদ অব্যাপ্য। ফলে যুক্তিটিতে অব্যাপ্য হেতুদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি প্রথম সংস্থানের অন্তর্গত এবং IAA একটি অশুদ্ধ মূর্তি।

তিনি নিশ্চয়ই সম্মানিত, কেন-না তিনি একজন নায়ক এবং শুধুমাত্র নায়কেরাই সম্মানিত।

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

সকল সম্মানিত ব্যক্তি হয় নায়ক (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।

তিনি হন নায়ক (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য। 

তিনি হন সম্মানিত ব্যক্তি (A) – সিদ্ধান্ত।

দোষ: অব্যাপ্য হেতুদোষ।

দ্বিতীয় সংস্থান

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের বৈধতার নিয়মে বলা হয়েছে- প্রতিটি বৈধ ন্যায় অনুমানে হেতুপদটিকে দুটি আশ্রয়বাক্যে অন্তত একবার ব্যাপ্য হতেই হবে। কিন্তু এখানে হেতুপদ ‘নায়ক’ প্রধান এবং অপ্রধান উভয় আশ্রয়বাক্যের A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, এ বচনে বিধেয় পদ অব্যাপ্য। ফলে যুক্তিটিতে অব্যাপ্য হেতুদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি দ্বিতীয় সংস্থানের অন্তর্গত এবং AAA একটি অশুদ্ধ মূর্তি।

হাতির চারটি পা আছে। টেবিলেরও চারটি পা হয়। সুতরাং, টেবিলটিও হাতি।

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

সকল হাতি হয় এমন যার চারটি পা আছে (A)- প্রধান আশ্রয়বাক্য।

সকল টেবিল হয় এমন যার চারটি পা আছে (A)- অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।

টেবিলটি হয় হাতি (A) – সিদ্ধান্ত।

দোষ: অব্যাপ্য হেতুদোষ।

দ্বিতীয় সংস্থান

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের বৈধতার নিয়মে বলা হয়েছে- প্রতিটি বৈধ ন্যায় অনুমানে হেতুপদটিকে দুটি আশ্রয়বাক্যে অন্তত একবার ব্যাপ্য হতেই হবে। কিন্তু এখানে হেতুপদ ‘এমন যার চারটি পা আছে’ প্রধান ও অপ্রধান উভয় আশ্রয়বাক্যে A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, এ বচনে বিধেয় পদ ব্যাপ্য নয়। ফলে যুক্তিটিতে অব্যাপ্য হেতুদোষ ঘটেছে। ভাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি দ্বিতীয় সংস্থানের অন্তর্গত এবং AAA একটি অশুদ্ধ মূর্তি।

কিছু মানুষ প্রভাবশালী। তাই তারা অসাধু। কেবল প্রভাবশালী ব্যক্তিরাই অসাধু হয়।

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

সকল অসাধু ব্যক্তি হয় প্রভাবশালী ব্যক্তি (A)- প্রধান আশ্রয়বাক্য। 

কোনো কোনো মানুষ হয় প্রভাবশালী ব্যক্তি (I) অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।

কোনো কোনো মানুষ হয় অসাধু (I) – সিদ্ধান্ত।

দোষ: অব্যাপ্য হেতুদোষ।

দ্বিতীয় সংস্থান

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের বৈধতার নিয়মে বলা হয়েছে- প্রতিটি বৈধ ন্যায় অনুমানে হেতুপদটিকে দুটি আশ্রয়বাক্যে অন্তত একবার ব্যাপ্য হতেই হবে। কিন্তু এখানে হেতুপদ ‘প্রভাবশালী ব্যক্তি’ প্রধান আশ্রয়বাক্য A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, এ বচনে বিধেয় পদ ব্যাপ্য নয়। আবার অপ্রধান আশ্রয়বাক্য । বচন হওয়ায় হেতুপদ ব্যাপ্য হয়নি। কারণ, I বচন কোনো পদকে ব্যাপ্য করে না। ফলে যুক্তিটিতে অব্যাপ্য হেতুদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং, যুক্তিটি দ্বিতীয় সংস্থানের অন্তর্গত এবং AII একটি অশুদ্ধ মূর্তি।

লোকটি অবশ্যই বৃদ্ধ। কারণ, সে বৃদ্ধদের মতোই দুর্বল।

যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত একটি সংক্ষিপ্ত ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। এক্ষেত্রে অপ্রধান আশ্রয়বাক্যটি উহ্য আছে। সেই আশ্রয়বাক্যটি যুক্ত করলে সম্পূর্ণ ন্যায় আকারটি হবে:

যুক্তিটির যুক্তিবিজ্ঞানসম্মত আকার:

সকল বৃদ্ধ হয় দুর্বল (A) – প্রধান আশ্রয়বাক্য।

লোকটি হয় দুর্বল (A) – অপ্রধান আশ্রয়বাক্য।

লোকটি হয় বৃদ্ধ (A) – সিদ্ধান্ত।

দোষ: অব্যাপ্য হেতুদোষ।

দ্বিতীয় সংস্থান

বিচার: যুক্তিটি অবরোহ অনুমানের অন্তর্গত সংক্ষিপ্ত ন্যায় অনুমানের দৃষ্টান্ত। যুক্তিটি অবৈধ। কারণ, ন্যায় অনুমানের বৈধতার নিয়মে বলা হয়েছে- প্রতিটি বৈধ ন্যায় অনুমানে হেতুপদটিকে দুটি আশ্রয়বাক্যে অন্তত একবার ব্যাপ্য হতেই হবে। কিন্তু এখানে হেতুপদ ‘দুর্বল’ প্রধান ও অপ্রধান উভয় আশ্রয়বাক্য A বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়নি। কারণ A বচনে বিধেয় পদ ব্যাপ্য নয়। ফলে যুক্তিটিতে অব্যাপ্য হেতুদোষ ঘটেছে। তাই যুক্তিটি অবৈধ। সুতরাং যুক্তিটি দ্বিতীয় সংস্থানের অন্তর্গত এবং AAA একটি অশুদ্ধ মূর্তি।

আরও পড়ুনLink
ছুটি গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তরClick Here
তেলেনাপোতা আবিষ্কার বড় প্রশ্ন উত্তরClick Here
আগুন নাটকের বড়ো প্রশ্ন উত্তরClick Here

Leave a Comment