একাদশ শ্রেণি দর্শন পাশ্চাত্য নীতিবিদ্যা পর্ব 1

সূচিপত্র

একাদশ শ্রেণি দর্শন পাশ্চাত্য নীতিবিদ্যা পর্ব 1

একাদশ শ্রেণি দর্শন পাশ্চাত্য নীতিবিদ্যা পর্ব 1

একাদশ শ্রেণি দর্শন পাশ্চাত্য নীতিবিদ্যা পর্ব 1

মানুষের দুটি অস্তিত্ব কী?

মানুষের অস্তিত্ব

নীতিতত্ত্বের আলোচনার শুরুতেই আমাদের মনে যে-সমস্ত প্রশ্নগুলি জেগে ওঠে, তাদের মধ্যে অন্যতম হল কীভাবে আমাদের মনে নৈতিকতার ধারণাটি উঠে এসেছে? আমাদের মনে নৈতিকতা সম্পর্কিত মৌলিক প্রত্যয় বা প্রশ্নগুলিই বা কী? ঘটনা সম্পর্কিত অবধারণ এবং মূল্য সম্পর্কিত অবধারণের মধ্যে পার্থক্যই বা কী? ইত্যাদি বিষয়গুলি অত্যন্ত স্বাভাবিকভাবেই আমাদের মনে উঠে আসে। এই সমস্ত প্রশ্নগুলির উত্তর খোঁজার পরিপ্রেক্ষিতে উল্লেখ করা যায় যে, প্রত্যেকটি সামাজিক মানুষের দুটি দিক আছে।

এই দুটি দিকের একটি হল তার জৈবিক অস্তিত্বের দিক (Bio-genesis existence) এবং অপরটি হল তার আদর্শগত মূল্যবোধের দিক (Valued existence)। আমরা যাকে মানুষের জৈবিক অস্তিত্বের দিক বলি, তাকেই বলা হয় সামাজিক মানুষের বাস্তব অস্তিত্ব (Factual existence)। মানুষের এই বাস্তব অস্তিত্বের কথা সবার প্রথমেই ভাবতে হয়। কারণ, মানুষের যদি কোনো বাস্তব অস্তিত্বই না থাকে, তাহলে তার মূল্যগত তথা আদর্শগত দিকের প্রয়োজনই বা কী? মানুষের অস্তিত্ববিহীন আদর্শগত দিক তাই নিরর্থক হয়ে ওঠে। সুতরাং মানুষের বাস্তব অস্তিত্বকে প্রথমেই স্বীকার করে নিতে হয়।

আরও পড়ুন – ঐচ্ছিক ক্রিয়ার বিভিন্ন স্তরগুলি উল্লেখ করো

বাস্তব অবধারণ কী?

বাস্তব অবধারণ

মানুষের বাস্তব অস্তিত্বের পরিপ্রেক্ষিতে যে-সমস্ত অবধারণগুলি গঠন করা হয়, সেগুলিকেই বলা হয় বাস্তব অবধারণ (Factual Judgement), যেমন- মানুষ হল একটি সামাজিক প্রাণী, মানুষ বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন জীব ইত্যাদি। এই ধরনের অবধারণগুলির ক্ষেত্রে আমরা কোনো বিষয় বা ঘটনাকে যেভাবে বাস্তবে প্রত্যক্ষ করি, ঠিক সেইভাবেই সেগুলিকে বচন বা অবধারণের আকারে উল্লেখ করি। বাস্তব ঘটনার ক্ষেত্রে এই ধরনের অবধারণগুলির মিল বা অমিল থাকে। সেকারণেই এই ধরনের অবধারণগুলিকে সত্য অথবা মিথ্যারূপে উল্লেখ করতে পারি। বাস্তবের সঙ্গে যদি অবধারণগুলির মিল দেখা যায় তাহলে সেগুলি সত্যরূপে গণ্য হয়, আর তা যদি না থাকে, তাহলে সেগুলি মিথ্যারূপে গণ্য হয়। বাস্তবসম্মত অবধারণগুলিকে তাই সত্য-মিথ্যার মাপকাঠিতে বিচার করা যায়।

মূল্যগত অবধারণ কী?

মূল্যগত অবধারণ

মানুষের এই বাস্তবসম্মত জৈবিক অস্তিত্বই কিন্তু সব কথা নয়। কারণ, মানুষের এই জৈবিক অস্তিত্ব ছাড়া আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক আছে, যা তার মূল্যবোধ তথা নৈতিকতার আদর্শগত দিকটিকেই উন্মোচিত করে। এই মূল্যবোধের দিকের পরিপ্রেক্ষিতে উল্লেখ করা যায় যে, সমাজে শুধুমাত্র মানুষের অস্তিত্বই সর্বশেষ কথা নয়, মানুষের মূল্যবোধের দিকটিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, মানুষের এই মূল্যবোধই মানুষকে অমর করে রাখে। মানুষ সমাজে যে-সমস্ত কাজ করে, সেগুলিকে আদর্শগত মূল্যবোধের দিক থেকে কতকগুলি অবধারণ বা বচনের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।

এই ধরনের বচনগুলিকেই বলা হয় মূল্যগত অবধারণ (Valued Judgement)। এই সমস্ত মূল্যগত অবধারণগুলিকে মূলত ঔচিত্যের নিরিখে বিচার করা হয়। ঔচিত্যের মাপকাঠিতে বিচার করার জন্য আমরা যে-সমস্ত মানদণ্ডগুলি উল্লেখ করে থাকি, সেগুলি হল ভালো-মন্দ, ন্যায়- অন্যায়, যথার্থ-অযথার্থ ইত্যাদি। এই ধরনের অবধারণগুলিকে তাই কখনই ঘটনাক্রমিকভাবে উল্লেখ করা যায় না এবং এগুলি সত্য অথবা মিথ্যা বলাও যায় না। অবধারণগুলিকে তাই ঔচিত্যের নিরিখে বিচার করা হয় এবং বলা যায় যে, অবধারণগুলি ন্যায়সম্মত অথবা অন্যায়সম্মত, উচিত অথবা উচিত নয় ইত্যাদি। এই ধরনের অবধারণগুলি তাই সবসময়ই মানুষের আদর্শগত মূল্যের দিকটিকে উন্মোচিত করে এবং মানুষের অস্তিত্বকে মহান করে তোলে। এগুলির মাধ্যমেই মানুষ মরেও বেঁচে থাকে। মানুষের এই আদর্শগত মূল্যবোধের মধ্যেই নৈতিকতা তথা নীতিবিজ্ঞানের বীজটি নিহিত।

নৈতিকতার বিষয়টি মানুষের কোন্ বোধ থেকে উঠে আসে?

সামাজিক মানুষের এই মূল্যবোধের দিকটি এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে, এর জন্য মানুষ তার জৈবিক বাস্তব অস্তিত্বকে বিসর্জন দিতে পারে। প্লেটোর ক্রিটো (Crito)- তে সক্রেটিসের প্রাণত্যাগের উদাহরণটিই হল এর সবচেয়ে বড়ো প্রমাণ। এই মূল্যবোধের দিকটি কখনও বা ব্যক্তির মধ্যে মূর্ত হয়ে ওঠে, আবার কখনও তা প্রচ্ছন্নভাবে অবস্থান করে। যাইহোক না কেন, এ কথা ঠিক যে, মানুষকে পরিপূর্ণভাবে জানতে গেলে, মানুষের এই দুটি দিককেই জানতে হবে। একটি মুদ্রা সম্পর্কে সঠিক অবধারণ গঠন করতে হলে, মুদ্রার দুটি দিককেই যেমন জানা প্রয়োজন, তেমনই মানুষের প্রকৃতি সম্পর্কে যথাযথ অবধারণ গঠন করতে হলে তার বাস্তবতার দিকটিকে যেমন জানতে হবে, তেমনই আবার তার মূল্যগত দিকটিকেও জানতে হবে। মানুষের এই মূল্যগত বোধ থেকেই নৈতিকতার বিষয়টি উৎসারিত হয়েছে।

নৈতিকতার প্রশ্নে সক্রেটিসের ভূমিকা কী?

নৈতিকতার প্রশ্নে সক্রেটিসের ভূমিকা

মানুষের মূল্যবোধকে উচ্চতম পর্যায়ে স্থাপিত করেছেন প্রখ্যাত গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিস। তিনি সর্বপ্রথম জীবনের প্রকৃত অর্থকে মূল্যবোধের মাধ্যমে উপস্থাপিত করেছেন। সক্রেটিসের চিন্তাধারাকে তাই নৈতিকতার উৎসরূপে গণ্য করা হয়। তাঁর কারাগার থেকে না-পালানোর দৃষ্টান্তটিকেই নীতিবিজ্ঞানে নৈতিক চিন্তার দৃষ্টান্ত (Example of Ethical thinking)-রূপে গণ্য করা হয়। নীতিবিজ্ঞানী ফ্রাঙ্কেনা (Frankena) তাঁর ‘নীতিবিজ্ঞান’ নামক গ্রন্থে নৈতিকতার উৎস হিসেবে এই বিষয়টির ওপরই সবিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। সক্রেটিসের নৈতিকতা সম্পর্কিত এই দৃষ্টান্তটিকে আমাদের জানা প্রয়োজন। কারণ, এরূপ দৃষ্টান্তের মাধ্যমেই আমরা সহজে অনুধাবন করতে পারব যে, নৈতিকতার বিষয়টি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। বিষয়টি এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে, এর জন্য সক্রেটিস তাঁর মহামূল্য প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন এবং নৈতিকতাকে তার উৎকর্ষতার চরমতম শিখরে পৌঁছে দিয়েছেন। সক্রেটিসের এরূপ দৃষ্টান্তটিকেই নীতিবিজ্ঞানীরা নৈতিকতা তথা নীতিবিজ্ঞানের উৎসরূপে উল্লেখ করেছেন।

সক্রেটিসের নৈতিক চিন্তার দৃষ্টান্তটি কী?

সক্রেটিসের নৈতিক চিন্তার দৃষ্টান্ত

সক্রেটিস অত্যন্ত সৎভাবে জীবনযাপন করতেন। একজন সৎ নাগরিক হিসেবে তিনি যাবতীয় নাগরিক কর্তব্য সম্পাদন করতেন। অন্যায়ের সঙ্গে আপোস করতেন না। তিনি ছিলেন প্রকৃত অর্থেই একজন শিক্ষক। প্রাচীন গ্রিসের যুবকদের তিনি বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষাদান করতেন। সমাজ এবং রাষ্ট্রের প্রকৃত চরিত্র ঠিক কী হওয়া উচিত-সে-সম্পর্কে বিভিন্নরকম অভিমত পোষণ করতেন। এতেই গ্রিসের শাসকবর্গ প্রমাদ অনুভব করলেন। সক্রেটিসকে তাঁরা রাষ্ট্রের পক্ষে বিপজ্জনক বলে মনে করতে লাগলেন। পরিত্রাণের উপায় হিসেবে তাঁরা সক্রেটিসের নামে জুরিদের কাছে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করলেন। দেশদ্রোহিতার অপরাধে তাঁর বিচার চলতে লাগল। রাষ্ট্রীয় মদতপুষ্ট জুরিরা তাঁকে অন্যায়ভাবে দোষী সাব্যস্ত করে প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত করলেন এবং কারারুদ্ধ করার আদেশ দিলেন। তিনি কারারুদ্ধ হয়ে বন্দিদশা ভোগ করতে থাকলেন। বাহাত্তর বছর বয়সের এক সৎ বৃদ্ধের কী করুণ পরিণতি, তা গ্রিসের লোক পর্যবেক্ষণ করল।

নৈতিকতার সমর্থনে সক্রেটিসের যুক্তি কী?

নৈতিকতার সমর্থনে সক্রেটিসের যুক্তি

অসহায় সক্রেটিসের বন্ধুবান্ধব, শুভানুধ্যায়ী ও ছাত্ররা উৎকোচের মাধ্যমে কারারক্ষীদের বশীভূত করে, তাঁকে কয়েদ থেকে পালিয়ে যাওয়ার উপায় বের করলেন। তাঁরা তাঁকে জেল থেকে পালিয়ে গিয়ে অন্য কোনো দেশে আশ্রয় নেওয়ার সফল পরিকল্পনা রচনা করলেন এবং সক্রেটিসকে পালিয়ে যেতে অনুরোধ করলেন। কিন্তু সক্রেটিস সেই সুযোগটি গ্রহণ করলেন না। কারণ, তাঁর মতে, এরূপ বিষয়টি নিন্দনীয় ও অনৈতিক এবং সেকারণেই তিনি এরূপ সুযোগটিকে প্রত্যাখ্যান করলেন।

এরূপ প্রত্যাখ্যান করার পিছনে তিনি যে-সমস্ত যুক্তির উল্লেখ করেছেন, তার সবগুলিই নৈতিকতার আলোকে উদ্ভাসিত। তিনি বলেন রাষ্ট্র বা সরকার হল প্রত্যেকটি নাগরিকের পিতামাতা ও শিক্ষকস্বরূপ। প্রত্যেকটি নাগরিকের উচিত হল পিতামাতা ও শিক্ষকের ন্যায় রাষ্ট্র ও সরকারকে মর্যাদা দেওয়া। রাষ্ট্রীয় বিধান বা নির্দেশসমূহকে তাই মান্য করাই হল নাগরিকের একান্ত কর্তব্য। এরূপ কর্তব্য থেকে বিচ্যুত হওয়া আদৌ উচিত নয়। সুতরাং, তিনি যদি কারাগার থেকে গোপনে পালিয়ে যান, তাহলে তাঁর পিতামাতা ও শিক্ষকস্বরূপ রাষ্ট্রের অমর্যাদা করা হবে এবং একজন সৎ নাগরিক হিসেবে তাঁর মনুষ্যত্ব ও নৈতিকতা কলুষিত হবে।

সুতরাং তিনি এরূপ সিদ্ধান্তে উপনীত হলেন যে, তিনি কারাগার থেকে পলায়ন করবেন না। মানবীয় মূল্যবোধকে মান্যতা দেওয়ার জন্যই তিনি জুরিদের অধ্যাদেশ স্বীকার করে নিয়ে, সুতীব্র হেমলক বিষপান করে, নিজের দৈহিক জীবনের অবসান ঘটালেন। তাঁর দৈহিক জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটলেও, তাঁর মূল্যবোধের জীবনটি কিন্তু অমরত্ব লাভ করেছে। কারণ, এরূপ দৃষ্টান্ত থেকেই জন্ম নিল এক নূতন বিষয়-যা নৈতিকতার বিষয়রূপে গণ্য। এই নৈতিকতার বিষয়ই হল নীতিতত্ত্বের মূখ্য আলোচ্য বিষয়। এরূপ নৈতিকতাতেই আমরা শিক্ষণীয় করে তুলি নীতিতত্ত্বের ক্ষেত্রে। সুতরাং বলা যায় যে, সক্রেটিসের এরূপ নৈতিক চিন্তা থেকেই উৎসারিত হয়েছে নৈতিকতা তথা নীতিতত্ত্বের বিষয়সমূহ।

নীতিবিজ্ঞানের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ কী? এর মৌলিক প্রশ্নগুলি কী?

নীতিবিজ্ঞানের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ

নীতিবিজ্ঞান-এর শব্দগত বিশ্লেষণটিকে এভাবেই উল্লেখ করা যায় যে, নীতি (ঔচিত্য বিষয়ক) + বিজ্ঞান (বিশেষভাবে জ্ঞান) = নীতিবিজ্ঞান। অর্থাৎ বলা যায়, যে বিজ্ঞানে ঔচিত্য তথা নৈতিকতা সম্পর্কিত বিষয়ের আলোচনা করা হয়, তাকেই বলা হয় নীতিবিজ্ঞান। নীতিবিজ্ঞানের ইংরেজি প্রতিশব্দ হল ‘Ethics’। এই ‘Ethics’ শব্দটি উদ্ভূত হয়েছে গ্রিক ‘Ethica’ শব্দটি থেকে, যা আবার গ্রিক ‘Ethos’ শব্দ থেকে নিঃসৃত। এই Ethos শব্দের অর্থ হল- ‘অভ্যাস’, ‘রীতিনীতি’, ‘আচার-আচরণ’ ইত্যাদি। সুতরাং শব্দতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ ও ব্যুৎপত্তিগত অর্থে বলা যায় যে, নীতিবিজ্ঞান হল এমনই এক বিজ্ঞান যা মানুষের আচার-আচরণ, রীতিনীতি ও অভ্যাস প্রভৃতি নিয়ে আলোচনা করে।

নীতিতত্ত্বের মৌলিক প্রশ্নসমূহ

নীতিতত্ত্বের মৌলিক প্রশ্নগুলিকে নৈতিকতার দৃষ্টিভঙ্গিতেই পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করা উচিত। এগুলিকে কখনোই সাধারণভাবে বাস্তবসম্মত ঘটনার মতো উল্লেখ করা উচিত নয়। এই ধরনের মূল প্রশ্নগুলিকে নিম্নোক্তভাবে উল্লেখ করা যায়-

[1] মানুষের নৈতিক চরিত্র বলতে কী বোঝায়?

[2] নৈতিকতা বলতে ঠিক কী বোঝানো হয়?

[3] নৈতিক অবধারণগুলির প্রকৃত স্বরূপ কী?

[4] নৈতিকতা কি জন্মসূত্রেই লভ্য, না কি তাকে অর্জন করতে হয়?

[5] নৈতিকতা রক্ষা করার জন্য পূর্বশর্তগুলি কী?

[6] নৈতিক বচন ও তত্ত্বগুলি তথ্যজ্ঞাপক না মূল্যবোধক?

[7] নৈতিকতা নির্ধারণের বিভিন্ন মানদণ্ডগুলি কী? ইত্যাদি।

নীতিবিজ্ঞানকে নীতিদর্শন বলা হয় কেন?

নীতিবিজ্ঞানকে নীতিদর্শন বলার কারণ

নীতিবিজ্ঞান (Ethics)-কে আবার অনেক সময় নীতিদর্শন (Moral Philosophy) রূপেও উল্লেখ করা হয়। কারণ, ‘Moral’ শব্দটি উদ্ভূত হয়েছে লাতিন ‘Mores’ শব্দ থেকে। এই ‘Mores’ শব্দের অর্থ হল-অভ্যাস, রীতিনীতি বা আচার-আচরণ প্রভৃতি। অর্থাৎ বলা যায় যে, ‘Ethica’ এবং ‘Mores’ শব্দ দুটি একই বিষয়কে সূচিত করে বলে, নীতিবিজ্ঞানকে Ethics অথবা Moral Philosophy বলা হয়। ‘Ethics’ অথবা ‘Moral Philosophy’ যে নামেই অভিহিত করা হোক-না-কেন, এর আলোচনার ক্ষেত্রে মানুষের আচার-আচরণকে যথাযথভাবে উল্লেখ করার জন্য কতকগুলি সার্বিক নৈতিক নিয়মকে (Moral laws) অনুসরণ করা হয়। এই সমস্ত সার্বিক নৈতিক নিয়মগুলি নীতিদর্শন অথবা নীতিবিজ্ঞানের যে-কোনো ক্ষেত্রেই প্রযুক্ত হয় এবং এগুলির আলোকেই সামাজিক মানুষের আচার-আচরণের মূল্যায়ন করা হয়।

একাদশ শ্রেণির কলা বিভাগের যে কোনো প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন। কোনো উত্তর না পেলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানান।

1 thought on “একাদশ শ্রেণি দর্শন পাশ্চাত্য নীতিবিদ্যা পর্ব 1”

Leave a Comment