রবীন্দ্রনাথের নৃত্যনাট্যের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও

রবীন্দ্রনাথের নৃত্যনাট্যের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও

রবীন্দ্রনাথের নৃত্যনাট্যের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও
রবীন্দ্রনাথের নৃত্যনাট্যের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও

নৃত্যনাট্য রচনার প্রেক্ষাপট: নৃত্যকে নাট্যের প্রকাশভঙ্গিরূপে ব্যবহারের অভিপ্রায় থেকেই রবীন্দ্রনাথ নৃত্যনাট্যগুলি রচনা করেছিলেন। যেমন গীতিনাট্য দিয়ে নাট্যরচনার সূচনা তেমনই নাটকের সমাপন পর্বে তিনি নৃত্যনাট্য প্রণয়নে মনোনিবেশ করেন। ‘বলাকা’ পর্ব থেকেই রবীন্দ্রনাথ যে গতিময়তাকে জীবনের পরমধর্ম বলে মনে করেছেন, সেই রূপকে প্রকাশ করার জন্যই তিনি আশ্রয় গ্রহণ করেছেন নৃত্যের। তাঁর নৃত্যনাট্যগুলির মধ্যে মণিপুরি, কথাকলি, কথক, বাউল ও বিদেশি লোকনৃত্যের আংশিক রূপ প্রকাশ পায়।

রবীন্দ্র নৃত্যনাট্যগুলির তিনটি প্রধান অংশ- নৃত্য, নাট্য ও গীত। তাঁর নৃত্যনাট্যগুলির মধ্যে উল্লেখ্য-‘নটীর পূজা’, ‘শাপমোচন’, ‘চিত্রাঙ্গদা’, ‘চণ্ডালিকা’, ‘শ্যামা’।

‘নটীর পূজা’ : ‘পূজারিণী’ নামক কবিতা অবলম্বনে ‘নটীর পূজা’ নৃত্যনাট্যটি রচিত। সংক্ষিপ্ত পরিসরের মধ্যে বৌদ্ধশক্তি ও বৌদ্ধবিরোধী শক্তির যে প্রবল সংঘাত দেখানো হয়েছে, তা বিশেষভাবে প্রশংসনীয়।

‘চিত্রাঙ্গদা’, ‘চণ্ডালিকা’, ‘শ্যামা’: প্রধানত ‘মণিপুরি’ নৃত্যপদ্ধতির উপর গড়ে উঠেছিল ‘চিত্রাঙ্গদা’ নৃত্যনাট্য। পরবর্তী সময়ে অর্জুনের নাচে কথাকলি নৃত্যরীতিরও প্রয়োগ দেখা যায়। কাব্যনাট্য ‘চিত্রাঙ্গদা’ অপেক্ষা নৃত্যনাট্য ‘চিত্রাঙ্গদা’ আকারে অনেক ছোটো।

আবার মণিপুরি ও কথাকলি নৃত্যরীতির উপর ভিত্তি করেই রবীন্দ্রনাথের নৃত্যনাট্য ‘চণ্ডালিকা’ রচিত। বৌদ্ধ ভিক্ষু আনন্দের জন্য প্রকৃতির আকুতি এবং তার আশা-নিরাশার দ্বন্দ্বই প্রাধান্য পেয়েছে এই নাটকে। ‘শ্যামা’ নৃত্যনাট্যের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। ঘটনার চমৎকারিত্ব ও গতিশীলতা যেমন এই নাটকে সর্বাধিক তেমনই হৃদয়াবেগের তীব্রতা, প্রণয়ের আকুতি ও মর্মান্তিক ব্যর্থতা এই নৃত্যনাট্যে প্রবল রূপ লাভ করে।

আরও পড়ুন – মানস মানচিত্র অবলম্বনে প্রবন্ধ রচনা

একাদশ শ্রেণির কলা বিভাগের যে কোনো প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন। কোনো উত্তর না পেলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানান।

Leave a Comment