আধুনিক সভ্যতায় তথ্য-প্রযুক্তির ভূমিকা প্রবন্ধ রচনা – আজকের পর্বে আধুনিক সভ্যতায় তথ্য-প্রযুক্তির ভূমিকা প্রবন্ধ রচনা আলোচনা করা হল।
আধুনিক সভ্যতায় তথ্য-প্রযুক্তির ভূমিকা
আধুনিক সভ্যতায় তথ্য-প্রযুক্তির ভূমিকা
সূচনা
বিদ্যুৎ আবিষ্কারে সারা পৃথিবীতে ঘটে গেল যুগান্তকারী বিপ্লব। ঊনবিংশ শতাব্দীতে নবজাগরণ বা রেনেশাসের প্রধান কারণ ছিল যন্ত্র-শিল্পে বিপ্লব এবং তার অভূতপূর্ব পরিবর্তন এল বৈদ্যুতিক যন্ত্র আবিষ্কারের ফলে। দূর হয়ে গেল নিকট, সারা বিশ্ব এখন ধরা দিল মানুষের কাছে। এক সময় টেলিফোন, রেডিও প্রভৃতিকে মনে করাহত বিলাসিতা মাত্র। এখন মোবাইল, কম্পিউটার-ইন্টারনেট প্রভৃতি নিত্যপ্রয়োজনীয় বস্তু বলে বিবেচিত হচ্ছে। বর্তমান প্রজন্মের কাছে তথ্যপ্রযুক্তি এখন আর অপরিচিত নয়, তথ্যপ্রযুক্তি বা ‘ইনস্পেটেক’ দৈনন্দির জীবনে অপরিহার্য অঙ্গ।
ইন্টারনেট বলতে কি বোঝায়
ইন্টারনেট হল বিজ্ঞানের এক নবতম সংযোজন যার সাহায্যে বাড়িতে বসে যেকোন খবর বা সংবাদ সংগ্রহ করা যায়। ইন্টারনেট। এমন একটি পরিসেবা যার সাহায্যে দ্রুত তথ্য সংগ্রহ করা যায় এবং এই পরিসেবায় ডটকম, ইউ.আর.এল. এইচ.টি.পি. ডব্লিউ ডব্লিউ, কমপ্যাক্ট ডটকম প্রভৃতি পরিভাষা ব্যবহার করা হয়। এই পরিসেবার ওয়েব সাইটের প্রথমে লেখা হয় http এবং এর পরে তার নাম। এই প্রযুক্তি খুব জটিল পক্রিয়া নয় ও অল্প প্রচেষ্টায় শেখা সম্ভব এবং ই-মেল, ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়। যেমন www (world wide web) দ্বারা সমস্ত সাইট খুঁজে পাওয়া যায় এবং টাইপ করলে পৃথিবীর সমস্ত তথ্য খুঁজে পাওয়া সম্ভব।
ইন্টারনেট ও পোর্টাল
পোর্টাল ইন্টারনেটের একটি অভিনব সংযোজন। এর সাহায্যে প্রতিদিনের সংবাদ, যেমন আইনি পরামর্শ, জমি কেনাবেচা, আবহাওয়ার সংবাদ এমনকি পুস্তক, পাত্র-পাত্রীর খবর ও পাওয়া যায়। এখানে সবধরনের খবর জমা থাকে।
মানবজীবনে তথ্যপ্রযুক্তির গুরুত্ব
এখন তথ্যপ্রযুক্তি মানবজীবনের প্রতি ক্ষেত্রে গুরুত্ব পাচ্ছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে মুহূর্তের মধ্যে সংবাদ প্রেরণ সম্ভব বলে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে চাকুরির বিজ্ঞাপন প্রথা চালু হয়েছে এবং আমাদের দেশে ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে চাকুরির দরখাস্ত গ্রহণের ব্যবস্থা রয়েছে এবং কর্মপ্রার্থী ওয়েব সাইটে নিজের জীবনপঞ্জী দিয়ে রাখতে পারে। যেকোন সংস্থা তার থেকে প্রয়োজনীয় কর্মচারী নিয়োগ করতে পারে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে রেলের টিকিট থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রকার প্রয়োজনীয় বস্তুর অর্ডারও দিতে পারে। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে ও এই তথ্যপ্রযুক্তির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিল্প সমস্ত ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির ভূমিকা অপরিহার্য। শুধু কম্পিউটার নয় টেলিফোন, মোবাইল, রেডিও, টেলিভিশন প্রভৃতি একই ধরনের প্রযুক্তি।
উপসংহার
ভারতে যখন প্রথম কম্পিউটার প্রচলনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় তখন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারা ভাবছিলেন এর ফলে ম্যান পাওয়ার বা কর্মচারীর সংখ্যা কমে যাবে। কারণ, দৈহিক শ্রমের শূন্যস্থান পূরণ করবে কম্পিউটার। ফলে বাড়বে বেকার সমস্যা। নদীতে ভাটার পরে জোয়ার আসার পূর্বে স্রোতের স্থিতাবস্তার সৃষ্টি হয় যে একথা ঠিক। নতুন তথ্যপ্রযুক্তির সূচনার ক্ষেত্রে যতদিন এই বিষয়ে ব্যবহারকারীর সম্যক জ্ঞান অর্জন সম্ভব হয়নি ততদিন কর্মক্ষেত্রে কিছু বাধা বিপত্তি আসতে পারে। কিন্তু এখন সেই বাধা আর নেই। তাই বিজ্ঞান তথ্যপ্রযুক্তির উদ্ভাবনের মাধ্যমে পৃথিবীতে যে নতুন যুগের সূচনা করেছে তা সকলেই মনে করেন।
আরও পড়ুন – আধুনিক জীবনে ইন্টারনেটের গুরুত্ব
2 thoughts on “আধুনিক সভ্যতায় তথ্য-প্রযুক্তির ভূমিকা প্রবন্ধ রচনা 400+ শব্দে”