শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিদ্যা প্রশ্ন উত্তর ক্লাস 12 চতুর্থ সেমিস্টার শিক্ষাবিজ্ঞান

সূচিপত্র

শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিদ্যা প্রশ্ন উত্তর ক্লাস 12 চতুর্থ সেমিস্টার শিক্ষাবিজ্ঞান | Educational Technology Question Answer | Class 12 Semester 4th Education

শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিদ্যা প্রশ্ন উত্তর
শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিদ্যা প্রশ্ন উত্তর

১। জে ব্লুমার (১ Bloomer, 1973)-এর মতে, শিক্ষাপ্রযুক্তি কী? শিক্ষাপ্রযুক্তির বৈশিষ্ট্য লেখো।

জে ব্লুমার (J Bloomer, 1973): শিক্ষাপ্রযুক্তি হল শিক্ষা সম্পর্কিত বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞান, যা বাস্তব শিখন পরিস্থিতিতে প্রয়োগ করা হয়।

বৈশিষ্ট্য:

শিক্ষা প্রযুক্তিবিজ্ঞানের সংজ্ঞাগুলি বিশ্লেষণ করলে শিক্ষা প্রযুক্তিবিজ্ঞানের কতকগুলি বৈশিষ্ট্যের সন্ধান পাওয়া যায়। যেমন-

[1] তাত্ত্বিক ও ব্যাবহারিক : শিক্ষা প্রযুক্তিবিজ্ঞানে কেবল তাত্ত্বিক বিষয় নয় বা কেবল ব্যাবহারিক বিষয় নয়, তাত্ত্বিক ও ব্যাবহারিক উভয় বিষয় নিয়েই আলোচনা করে।

[2] শিক্ষা প্রক্রিয়া: শিক্ষা প্রযুক্তিবিজ্ঞান শিক্ষাবিদ ও মনোবিদ এবং প্রযুক্তিবিদদের ধারণার সমন্বয়। সাধারণত প্রযুক্তিবিদদের ধারণা শিক্ষা প্রক্রিয়াকে সহায়তা করে।

[৩] শিক্ষণ যন্ত্র (Teaching Machine): শিক্ষাক্ষেত্রে যে-কোনো ধরনের প্রযুক্তিগত শিক্ষণ যন্ত্র (Teaching Machine) এবং তার যান্ত্রিক কৌশলগুলি জ্ঞানের স রক্ষণ, সঞ্চালন, প্রসার ও উন্নয়নের সমস্ত পর্যায়ে সহায়তা করে।

[4] কারিগরি কৌশল : শিক্ষণ-শিখন প্রক্রিয়াতে কারিগরি শিক্ষার প্রয়োগ হয় শিক্ষাপ্রযুক্তির মাধ্যমে।

[5] ব্যাবহারিক কৌশল : যে-কোনো ধরনের প্রযুক্তিগত যন্ত্র এবং তার ব্যবহার কৌশলগুলির সক্রিয় সমন্বয়। যেমন- শিক্ষার উপযোগী বিভিন্ন শিক্ষণ সহায়ক উপকরণগুলির (Teaching Aids) উদ্ভাবন ও তার ব্যবহার।

২। শিক্ষাপ্রযুক্তির উদ্দেশ্যগুলি উল্লেখ করো।

শিক্ষাপ্রযুক্তির উদ্দেশ্যাবলি

(i) ম্যাক্রো স্তরের উদ্দেশ্যাবলি : ম্যাক্রো স্তর অর্থাৎ ব্যাপক শিক্ষামূলক লক্ষ্যের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা প্রযুক্তির উদ্দেশ্যগুলি হল-

  • শিক্ষার কৌশল ও কাঠামো স্থির করা।
  • মূল্যবোধ ও বিজ্ঞানের সঙ্গে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া অনুযায়ী, পাঠক্রম নির্ধারণ করা।
  • শিক্ষণ-শিখন প্রক্রিয়ার উন্নতির জন্য বিশেষ শিক্ষণ মডেল তৈরি করা।
  • শিখন পরিবেশের বিভিন্ন বাধাগুলি চিহ্নিত করা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

(ii) মাইক্রো স্তরের উদ্দেশ্যাবলি: মাইক্রো স্তর অর্থাৎ বিশেষ শ্রেণি শিক্ষণের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষাপ্রযুক্তির উদ্দেশ্যগুলি হল-

  • শিক্ষার্থীর শিক্ষামূলক চাহিদা ও বৈশিষ্ট্যগুলিকে চিহ্নিত করা ও সেগুলি বিশ্লেষণ করা।
  • শ্রেণিকক্ষের বিশেষ উদ্দেশ্যগুলি স্থির করা।
  • শিক্ষণীয় বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ করা ও সেগুলিকে ক্রমানুযায়ী বিন্যস্ত করা।
  • শিক্ষণ-শিখন উপকরণ ও সম্পদগুলির চিহ্নিতকরণ।

৩। শিক্ষাপ্রযুক্তির পরিধি উল্লেখ করো।

শিক্ষাপ্রযুক্তির পরিধি:

(i) সাধারণ শিক্ষাগত পরিচালনা ও প্রশিক্ষণের প্রযুক্তি।
(ii) অভীক্ষা ও মূল্যায়নের জন্য প্রযুক্তি।
(iii) নির্দেশনা প্রদান সম্পর্কিত প্রযুক্তি।

শিক্ষা প্রযুক্তিবিদ্যার পরিধি হিসেবে রাওনত্রা (Rowntra 1973) নিম্নলিখিত কিছু ক্ষেত্রের কথা উল্লেখ করেছেন। যেমন-

  • শিক্ষার লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যগুলিকে চিহ্নিত করা।
  • শিক্ষামূলক পরিবেশের পরিকল্পনা করা।
  • শিক্ষামূলক বিষয়বস্তুর বিশ্লেষণ ও তার কাঠামো গঠন করা।
  • উপযুক্ত শিক্ষণ কৌশল এবং শিখনের মাধ্যম সঠিকভাবে নির্বাচন করা।
  • শিক্ষণ পদ্ধতির উপযুক্ততা নির্ণয় করার জন্য মূল্যায়নের ব্যবস্থা করা।
  • মূল্যায়নের ভিত্তিতে ভবিষ্যতে উত্তম শিখন পরিবেশ গড়ে তোলা।

এ ছাড়া শিক্ষণ মডেল, শিক্ষণ-তত্ত্ব, তথ্যপ্রযুক্তি ইত্যাদিও শিক্ষাপ্রযুক্তির পরিধির মধ্যে পড়ে। আরও কতকগুলি বিষয় শিক্ষা প্রযুক্তিবিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত। যেমন-শিখন-শিক্ষণ প্রক্রিয়া, সাইবারনেটিক মডিউল, মুক্তশিক্ষা, দূরশিক্ষা, আচরণমূলক প্রযুক্তি ইত্যাদি।

৪। শিক্ষা প্রযুক্তিবিদ্যার সুবিধাগুলি আলোচনা করো।

শিক্ষাপ্রযুক্তির হাত ধরে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসাবাণিজ্য প্রভৃতি সকল ক্ষেত্রই এগিয়ে চলেছে। শিক্ষা প্রযুক্তিবিদ্যার সুবিধাগুলি হল-

সক্রিয়তা সৃষ্টি: শিক্ষা প্রযুক্তিবিদ্যা শিক্ষার্থীকে সক্রিয় করে, যা তাদের সাফল্যলাভে সাহায্য করে।

অনুশীলনের সুযোগ: প্রযুক্তিবিদ্যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অনুশীলনের সুযোগ পায়। ফলে শিক্ষণীয় বিষয়টি তারা যথাযথভাবে আয়ত্ত করতে পারে।

ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যভিত্তিক শিক্ষাদান: সাধারণ পাঠদানের ক্ষেত্রে অনেকসময়ই ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যভিত্তিক শিক্ষাদান সম্ভব হয় না। কিন্তু প্রযুক্তিবিদ্যার সাহায্যে এই শিক্ষাদান সম্ভব হয়।

সমস্যাসমাধান : প্রযুক্তিবিদ্যার সাহায্যে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাক্ষেত্রের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে পারে।

প্রেষণা সঞ্চার: প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা ইতিবাচক মনোভাব গঠনের সহায়ক। এতে শিক্ষার্থীর মধ্যে উৎসাহ, উদ্দীপনা বৃদ্ধি পায়, প্রেষণার সঞ্চার ঘটে।

অনুশীলনের সুযোগ : প্রযুক্তিবিদ্যা তথা কম্পিউটারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অনুশীলনের সুযোগ পায়। শিক্ষার্থীরা প্রয়োজন অনুসারে, নিজস্ব সময় অনুযায়ী অনুশীলন করতে পারে, ফলে শিক্ষণীয় বিষয় অধিক ত্রুটিমুক্ত হয়।

৫। শিক্ষায় প্রযুক্তিবিজ্ঞানের অবদান বা গুরুত্ব সংক্ষেপে আলোচনা করো।

শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিজ্ঞানের অবদান:

শিক্ষাক্ষেত্রে প্রযুক্তিবিদ্যাকে বিভিন্নভাবে কাজে লাগানো হয়। এর অবদান বা গুরুত্ব হল-

শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ : ব্যক্তি ও সমাজের চাহিদা অনুযায়ী, শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণে প্রযুক্তিবিদ্যা বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

পাঠক্রম নির্ধারণ: শিক্ষার লক্ষ্য নির্ধারণে, উপযুক্ত পাঠক্রম নির্বাচনে শিক্ষাপ্রযুক্তি বিশেষ দায়িত্ব পালন করে।

বিজ্ঞানসম্মত উপস্থাপন: শিক্ষাকে বিজ্ঞানসম্মত করতে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বহু তথ্য শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপন দ্বারা বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব হয়।

ব্যক্তি ভিত্তিক শিখন শিক্ষাপ্রযুক্তির সাহায্যে প্রত্যেক ব্যক্তি তার নিজস্ব পছন্দ, ক্ষমতা, সামর্থ্য অনুযায়ী, অগ্রসর হতে পারে।

শিক্ষা উপকরণের ব্যবহার : পঠনপাঠনের জন্য বর্তমানে যে-সমস্ত উপকরণ ব্যবহার করা হয়, যেমন-চার্ট, মডেল, স্লাইড, ওভারহেড প্রোজেক্টর ইত্যাদি প্রযুক্তিবিদ্যার অবদান।

মূল্যায়ন প্রক্রিয়া: বর্তমানে শিক্ষাপ্রযুক্তি মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমন- MCQ বা বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নের উত্তরপত্র দেখা, মার্কশিট তৈরি করা, নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশ প্রভৃতি।

সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ : সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটানোর ক্ষেত্রে প্রযুক্তিবিদ্যা বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করেছে।

৬। অনিয়ন্ত্রিত শিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষাগত প্রযুক্তিবিদ্যার ব্যবহার লেখো।

প্রথাগত শিক্ষার বাইরে যা কিছু শেখা হয়, সেগুলিকেই সাধারণত অপ্রথাগত শিক্ষা বলা হয়। অপ্রথাগত শিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রযুক্তির ব্যবহারগুলি হল-

ইনটারনেট: ইনটারনেট থেকে একজন শিক্ষার্থী যে-কোনো তথ্য যে-কোনো সময়ে জানতে পারে।

ওয়েবসাইট: বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে শিক্ষার্থী বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।

ই-মেল: বিভিন্ন ব্যক্তি বা সংস্থার ই-মেল রয়েছে। ই-মেলের মাধ্যমে যেমন বিভিন্ন বিষয়গত শিক্ষা সম্বন্ধে জানা যায়, ঠিক তেমনই বিভিন্ন ধরনের অপ্রথাগত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা যায়।

অনলাইন প্ল্যাটফর্ম: বিভিন্ন ধরনের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম (গুগল, ইয়াহু ইত্যাদি) রয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কোনো বিশেষ ব্যক্তির কোনো বিষয়ে আলোচনা, সেমিনার থেকে অনেক তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব, যেগুলি শিক্ষার্থীর জ্ঞানের ভান্ডার সমৃদ্ধ করতে পারে।

ডিজিটাল শিখন উৎস: অনলাইন লাইব্রেরি, ডাটাবেস ইত্যাদি থেকে বর্তমানে দেশ, বিদেশের এমন অনেক তথ্য সংগ্রহ করা যায়, যেগুলি অপ্রথাগত শিক্ষার অন্তর্ভুক্ত।

মিথস্ক্রিয়ামূলক যন্ত্রপাতি: বর্তমানে যে- কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো বিশেষজ্ঞ ব্যক্তির সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দেশ-বিদেশের সংস্কৃতি, আচার, আচরণ ইত্যাদি আদানপ্রদান করতে পারেন।

ভার্চুয়াল মিউজিয়াম ও ট্যুর: কম্পিউটারের মাধ্যমে ভার্চুয়াল মিউজিয়াম ও ভার্চুয়াল ট্যুর বিভিন্ন অপ্রথাগত শিক্ষাক্ষেত্রে কার্যকরী।

৭। হার্ডওয়্যার (Hardware) প্রযুক্তি বলতে কী বোঝো? এর বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।

হার্ডওয়‍্যার:

শিক্ষায় হার্ডওয়্যার প্রযুক্তি বলতে শিক্ষাক্ষেত্রে যান্ত্রিক বস্তুসামগ্রী ও যন্ত্রপাতির ব্যবহারকে বোঝানো হয়। বিভিন্ন শ্রবণ-দর্শন উপকরণ, যেমন- চার্ট, মডেল, স্লাইড, অডিয়ো ক্যাসেট, কম্পিউটার, টিভি, ভিডিয়ো ইত্যাদি হল হার্ডওয়্যার প্রযুক্তি।

বৈশিষ্ট্য:

হার্ডওয়্যার প্রযুক্তির বৈশিষ্ট্যগুলি হল—

শ্রবণ-দর্শন উপকরণের ব্যবহার : হার্ডওয়্যার প্রযুক্তিতে শ্রবণ-দর্শনভিত্তিক উপকরণ, চার্ট, মডেল, স্লাইড, অডিয়ো ক্যাসেট, নানান সূক্ষ্ম গ্যাজেট, শিক্ষণ মেশিন, কম্পিউটার ইত্যাদির সাহায্যে শিক্ষাকে অতি সহজে শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়।

ব্যক্তি বৈষম্য অনুযায়ী শিখন : এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যক্তিগত বৈষম্য অনুযায়ী শিখন সম্ভব হয়।

স্বল্প খরচ: হার্ডওয়্যার প্রযুক্তির সাহায্যে একসঙ্গে অনেক শিক্ষার্থীকে শিক্ষাদান প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা যায়। তাই এক্ষেত্রে খরচ কম হয়।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রয়োগ: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অভূতপূর্ব উন্নতির ক্ষেত্রে একটি প্রধান প্রয়োগ হল হার্ডওয়্যার প্রযুক্তি।

ফিডব্যাক প্রদান : শিক্ষণ-শিখন প্রক্রিয়ায় এই প্রযুক্তিতে প্রয়োজনীয় feedback সরবরাহ করা হয়।

সাফল্য আনয়ন: এই প্রযুক্তি শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা অনুযায়ী সর্বাধিক সাফল্য অর্জনে সহায়তা করে।

স্বয়ং শিখন: হার্ডওয়্যার প্রযুক্তিতে স্বয়ং শিখনের সুযোগ অনেক বেশি।

৮। ওভারহেড প্রোজেক্টর (OHP) বলতে কী বোঝো? এর সুবিধা লেখো।

OHP-এর সংজ্ঞা:

যে যন্ত্রের সাহায্যে টাংস্টেন হ্যালোজেন আলোক উৎস থেকে আসা আলোকরশ্মি দর্শকের মাথার উপর দিয়ে বিপরীত দিকে কোনো বিশেষ স্বচ্ছ পর্দাতে প্রতিফলিত হওয়ার ফলে, লিখিত বিষয়বস্তুর (চিত্র) যে বিবর্ধিত প্রতিবিম্ব ফুটে ওঠে, সেই বিশেষ ব্যবস্থাপনাকে ওভারহেড প্রোজেক্টর বলা হয়। ফোকাস করার জন্য নব ঘুরিয়ে প্রোজেকশন হেডটি ওঠানামা করিয়ে পর্দায় ফোকাস ঠিক রাখা হয়।

OHP-এর সুবিধা:

কম খরচ : সমস্তরকম প্রোজেকশন থেকে OHP সহজসরল ও কম ব্যয়যুক্ত।

বড়ো করে বিষয়বস্তুর উপস্থাপন : স্বচ্ছ পর্দার মাধ্যমে যে-কোনো লেখা, ম্যাপ, অঙ্কন ইত্যাদিকে অনেক বড়ো করে উপস্থাপন করা যায়।

মুখোমুখি আলোচনা: OHP স্বচ্ছপর্দায় দেখানোর ফলে শিক্ষক-শিক্ষিকা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনা করতে পারেন।

বিভিন্ন শিক্ষণ পদ্ধতি : আলোচনা পদ্ধতি, বক্তৃতা পদ্ধতি ইত্যাদি বিভিন্ন শিক্ষণ পদ্ধতিতে OHP-এর ব্যবহার হয়।

স্বচ্ছপর্দার পুনর্ব্যবহার: স্বচ্ছ পর্দাটি মুছে পুনরায় ব্যবহার করা সম্ভব হয়।

আলোকযুদ্ধে ঘর : ঘর অন্ধকার করে এটি ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই, আলোকিত ঘরেই এটা ব্যবহার করা সম্ভব। বিভিন্ন মানসিক সক্ষমতাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য এটি খুব সহজবোধ্য।

শ্রেণিকক্ষে ব্যবহারের সুবিধা: আগে থেকে স্বচ্ছ পর্দায় ড্রইং করে, স্কেচ করে বা লিখে বিষয়বস্তুকে তৈরি করে রাখা যায়, যার ফলে শ্রেণিকক্ষে দেখাতে সুবিধা হয়।

৯। সফটওয়্যার বলতে কী বোঝো? এর বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।

সফটওয়্যার:

হার্ডওয়্যার মূলত যন্ত্রাংশ এবং এই যন্ত্রাংশগুলিকে বিজ্ঞানসম্মতভাবে কার্যকরী করে ব্যক্তি তথা শিক্ষার্থীদের আচরণধারার পরিবর্তন করার জন্য যে প্রযুক্তিবিজ্ঞান ব্যবহার করা হয়, তাই হল সফটওয়্যার। সফটওয়্যার প্রযুক্তিবিজ্ঞানের উৎস হল আচরণমূলক বিজ্ঞান ও তার ব্যাবহারিক প্রয়োগ, যা শিক্ষামনোবিজ্ঞানের সঙ্গে জড়িত। সফটওয়্যার হল একগুচ্ছ নির্দেশনা, তথ্য বা প্রোগ্রাম, যা হার্ডওয়্যার বা কম্পিউটারকে চালু করে নির্দিষ্ট কাজ করতে পারে। সুতরাং হার্ডওয়্যারের উপাদানগুলিকে যথাযথভাবে কার্যকরী করার জন্য প্রযুক্তিগত কৌশলই হল সফটওয়্যার।

সফটওয়‍্যারের বৈশিষ্ট্যসমূহ:

Software-এর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলি হল-

কার্যকারিতা (Functionality): যে কাজের জন্য সফটওয়্যারটি তৈরি করা হয়েছে তা কতটা সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারছে তাই হল সফটওয়‍্যারের কার্যকারিতা। কার্যকারিতার দিকে যেগুলি বিচার করা হয়, সেগুলি হল- সূক্ষ্মতা (Accuracy), যথাযথতা (Suitability), আন্তঃকার্যক্ষমতা (Interoperability). ইচ্ছাপূরণকারী (Compliance), নিরাপদ (Security)।

নির্ভরযোগ্যতা: যে উদ্দেশ্যে সফটওয়্যারটি তৈরি করা হয়েছে, সেই উদ্দেশ্যটি কতটা সঠিকভাবে কার্যকরী হচ্ছে, তাই হল ওই সফটওয়্যারের নির্ভরযোগ্যতা।

দক্ষতা: সফটওয়্যারটি সঠিক তথ্য দিতে কতটা দক্ষ, সে বিষয়ে জানা যায়।

রক্ষণাবেক্ষণযোগ্যতা: সফটওয়্যারটি রক্ষণাবেক্ষণের পক্ষে কতটা সুবিধাজনক, সেটা বোঝা যায়।

ব্যবহারযোগ্যতা: সফটওয়্যারটি ব্যবহার করা কতটা সহজ বা কঠিন সে বিষয়ে জানা যায়।

১০। ভাষা পরীক্ষাগার কী? এর উদ্দেশ্যগুলি লেখো।

ভাষা পরীক্ষাগার:

শিক্ষাপ্রযুক্তির একটি উল্লেখযোগ্য দিক হল ভাষা পরীক্ষাগার। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে সূচনা হওয়া ভাষা পরীক্ষাগার হল স্বয়ংশিখনের একটি কৌশল। বর্তমানে বিভিন্ন দেশে বিদেশি ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এখানে শিক্ষার্থী টেপরেকর্ডারের সাহায্যে অন্যের বক্তব্য শোনে এবং সেইভাবে বলা অনুশীলন করে। ভাষা পরীক্ষাগারে শ্রবণ এবং কথন উভয় বিষয়ের উপরই গুরুত্ব দেওয়া হয়। ভাষা পরীক্ষাগারের লক্ষ্য হল সঠিক ভাষা ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীকে উৎকর্ষের সঙ্গে যোগাযোগস্থাপনে সক্ষম করা।

উদ্দেশ্য:

  • সঠিক ভাষা ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সর্বোত্তম যোগাযোগ করতে সক্ষম করে তোলা।
  • বিভিন্ন শব্দ উচ্চারণের পার্থক্য বুঝতে শিক্ষার্থীকে সাহায্য করা।
  • নির্ভুলভাবে শিক্ষার্থীদের উচ্চারণ করতে শেখানো।
  • শিক্ষার্থী নিজেই তার ভুল উচ্চারণকে শনাক্ত করে এবং বারবার অনুশীলনের মাধ্যমে সংশোধন করতে পারে।
  • ভাষা ব্যবহারের সঠিক শব্দচয়ন, Idioms এবং Phrase ব্যবহারের ক্ষমতার বিকাশ-এর অন্যতম লক্ষ্য।

১১। শিক্ষাক্ষেত্রে সিস্টেম অ্যাপ্রোচ বলতে কী বোঝো? এর উপাদানগুলি লেখো।

শিক্ষাক্ষেত্রে সিস্টেম অ্যাপ্রোচ:

শিক্ষণ-শিখন প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষাগত প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অগ্রগতির মান উন্নয়ন করার জন্য যে সরল কাঠামো তৈরি করা হয়, তাই হল শিক্ষাক্ষেত্রে সিস্টেম অ্যাপ্রোচ রীতি।

সুতরাং শিক্ষাগত প্রযুক্তির ভিত্তি হল সিস্টেম অ্যাপ্রোচ। এই অ্যাপ্রোচ বলতে এমন একটি রীতিকে বোঝায়, যেখানে যন্ত্র, বিভিন্ন বস্তু, মাধ্যম, পদ্ধতি ও মানবসম্পদ সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগত নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়।

শিক্ষাক্ষেত্রে সিস্টেম অ্যাপ্রোচের উপাদানসমূহ:

শিক্ষাক্ষেত্রে সিস্টেম অ্যাপ্রোচের উপাদানগুলি হল-

[1] শিক্ষার্থী: একজন বা ছোটোদল বা বড়োদলের শিক্ষার্থী।

[2] কোর্সের বিষয়বস্তু: যে বিষয়বস্তু শিক্ষার্থী বা শিক্ষার্থীরা শিখবে।

[3] শেখার অভিজ্ঞতা: ওই বিষয়বস্তু শেখার ক্ষেত্রে তাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা কতটা আছে।

[4] কার্যকর মাধ্যম: Online বা Offline মাধ্যম।

[5] শিখন কৌশল: শিখনের জন্য শিক্ষক ব্যবহৃত পদ্ধতি, যেমন- বক্তৃতা, প্রোজেক্ট, সমস্যাসমাধান ইত্যাদি। শিখন কৌশলের জন্য বিভিন্ন ধরনের শিক্ষাগত প্রযুক্তি, যেমন- চার্ট, মডেল, ইন্টারঅ্যাকটিভ বোর্ড, কম্পিউটার, OHP ইত্যাদি।

[6] মূল্যায়ন: শিক্ষার্থী বা শিক্ষার্থীরা যে শিখন অভিজ্ঞতা অর্জন করল, তার মূল্যায়ন করা দরকার। মূল্যায়নের জন্য রয়েছে- গঠনগত মূল্যায়ন এবং সামগ্রিক মূল্যায়ন। এই দুই ধরনের মূল্যায়নের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের অগ্রগতি সম্পর্কে একটি ধারণা করা যায়।

১২। শিক্ষা প্রযুক্তিবিজ্ঞানে সিস্টেম অ্যাপ্রোচের ভূমিকা লেখো।

শিক্ষা প্রযুক্তিবিজ্ঞানে সিস্টেম অ্যাপ্রোচের ভূমিকা:

শিক্ষা প্রযুক্তিবিজ্ঞানে সিস্টেম অ্যাপ্রোচ শিক্ষাপ্রক্রিয়ার বিশ্লেষণ ও উন্নয়নে সাহায্য করে। সিস্টেম অ্যাপ্রোচ প্রক্রিয়াকে শিক্ষাগত প্রযুক্তি নিম্নলিখিতভাবে সাহায্য করে। যেমন-

বিশ্লেষণ ও উন্নয়ন: শিক্ষা প্রযুক্তিবিজ্ঞান শিক্ষণ-শিখন প্রক্রিয়াকে যথাযথভাবে বিশ্লেষণ করে উন্নয়ন ঘটাতে সাহায্য করে।

নকশাকরণ ও বাস্তবায়ন : পাঠক্রমের নকশা পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রযুক্তিবিজ্ঞানের প্রয়োগ গুরুত্বপূর্ণ।

মূল্যায়ন: শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অগ্রগতি মূল্যায়নে শিক্ষা প্রযুক্তিবিজ্ঞানের ব্যবহার রয়েছে।

স্ব-শিখন: শিক্ষা প্রযুক্তিবিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের চাহিদা, আগ্রহ ও ক্ষমতা অনুযায়ী, শিখনে সাহায্য করে।

নিযুক্তিকরণ : শিক্ষা প্রযুক্তিবিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়, যেমন-বিজ্ঞান, ইতিহাস ইত্যাদি। মানবতামূলক বিষয়সমূহকে বোধগম্য করে তুলতে এবং তাদের বিষয়সমূহে আগ্রহী করে তোলার জন্য বিষয়ে নিযুক্তিকরণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করে।

কার্যকর ক্ষমতা বৃদ্ধি: শিক্ষাপ্রযুক্তি শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উভয়েরই কার্যকর ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

সুতরাং সিস্টেম অ্যাপ্রোচ শিক্ষাপ্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত ক্ষেত্রে কীভাবে শিক্ষাপ্রযুক্তিকে কাজে লাগানো যায়, সে ব্যাপারে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করে।

১৩। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বলতে কী বোঝো? শিক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি:

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (Information and Communication Technology – ICT) হল এমন একটি প্রযুক্তি, যার সাহায্যে তথ্য সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ, সংরক্ষণ, স্থানান্তর এবং আদান-প্রদান করা যায়। এর – মধ্যে রয়েছে- কম্পিউটার, ইনটারনেট, মোবাইল ফোন, সফটওয়্যার, মাল্টিমিডিয়া, ইমেল, ভিডিয়ো কনফারেন্সিং, ই-লানিং ইত্যাদি। ICT কেবল তথ্য ব্যবস্থাপনার জন্য নয়, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা ও প্রশাসনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

শিক্ষাক্ষেত্রে ICT শিক্ষাদান ও শেখার পক্রিয়াকে অধিকতর আকর্ষণীয়, দ্রুত ও কার্যকর করে তোলে। শিক্ষক।CT-এর সাহায্যে মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট তৈরি > করতে পারেন এবং শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে শিক্ষাগ্রহণ করতে পারে। ICT-এর মাধ্যমে দূরশিক্ষা, ভার্চুয়াল শ্রেণিকক্ষ, অনলাইন টেস্ট ও ই-লাইব্রেরি ব্যবস্থাও গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে।

শিক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বৈশিষ্ট্য:

শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি:  শিক্ষণ-শিখন প্রক্রিয়ার উন্নয়নে সাহায্য করে সহযোগিতা, যোগাযোগ ও সম্পদের গ্রহণযোগ্যতার মাধ্যমে। এর বৈশিষ্ট্যগুলি হল-

সহযোগিতা প্রদান: ICT শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ক্লাসের অভ্যন্তরে এবং ক্লাসের বাইরে একসঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে কাজে উৎসাহিত করে। এর মাধ্যমে তারা জ্ঞানের বিনিময় করে এবং বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে।

যোগাযোগ : ICT শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সশরীরে উপস্থিত না থেকেও সরাসরি তথ্যলাভ ও যোগাযোগ করতে সাহায্য করে।

সম্পদের গ্রহণযোগ্যতা: ICT ডিজিটাল তথ্য ও সম্পদকে গ্রহণ করতে পারে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা online বিষয়বস্তুও সংগ্রহ করতে পারে।

ভিন্নভাবে সপ্তম শিক্ষার্থীদের সহায়তা: ভিন্নভাবে সক্ষম শিক্ষার্থীদের শিখনে ICT সাহায্য করে।

মিথস্ক্রিয়া : ICT বহুধামাধ্যমের মধ্যে যোগাযোগ ঘটিয়ে শিক্ষাক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ICT-এর সঙ্গে গ্রাফিক্স, বক্তব্য, শব্দ, চিত্র ইত্যাদির মিথস্ক্রিয়া ঘটিয়ে শিক্ষণকে আকর্ষণীয় করে তোলা যায়।

নমনীয়তা: ICT ব্যবহারের ক্ষেত্রে নমনীয়তা রয়েছে এবং একে বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করা যায়।

প্রেষণা সঞ্চার: ICT শিক্ষার্থীদের শিখনে প্রেষণা জাগায় এবং সেগুলিকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের নতুন ধারণা তৈরিতে উৎসাহিত করে।

১৪। শিক্ষাক্ষেত্রে ICT-র পরিধি / সুযোগগুলি লেখো।

শিক্ষাক্ষেত্রে ICT-র পরিধি / সুযোগ :

ভিত্তিরি শিক্ষাক্ষেত্রে ICT-র বিভিন্ন দিকে ব্যবহার রয়েছে। যেমন-

অনলাইন শিখন : ICT-কে কাজে লাগিয়ে online শিখন সম্ভব। যার মাধ্যমে class note নেওয়া যায়, অ্যাসাইনমেন্ট জমা করা যায়, বিভিন্ন দলগত আলোচনায় অংশগ্রহণ করা যায় ইত্যাদি। online শিখন কখনও কখনও মুখোমুখি শিখনের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে।

রিমোট শিখন:

ICT-র মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন জায়গা এমনকি প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে নির্দেশনা গ্রহণ করতে পারে। দূরাগত শিক্ষা, Part-time শিক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রে ICT ব্যবহার করা হয়।

শিক্ষাগত সম্পদ ব্যবহার: ICT বিভিন্ন বিষয় এবং মাধ্যমের শিক্ষাগত সম্পদ আহরণে সাহায্য করে। ICT গোটা বিশ্বের শিক্ষার্থী, মেন্টর, এক্সপার্ট, গবেষকদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করে।

গবেষণা: গবেষণার ক্ষেত্রে বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করা হয় internet, ভিডিয়ো, অ্যানিমেশন ইত্যাদির মাধ্যমে। ICT-র ব্যবহার গবেষণার মান উন্নয়নে সাহায্য করে।

অন্যান্য সুযোগসুবিধা:

  • ICT-কে দুর্বলতা নির্ণায়ক অভীক্ষা প্রস্তুতে, সংশোধনমূলক শিক্ষণ, মূল্যায়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায়।
  • বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা ।CT-কে কাজে লাগিয়ে অনেক সহজেই তাদের চাহিদা পরিতৃপ্ত করতে পারে।
  • ICT শিক্ষার্থীদের শিখনে প্রেষণা সঞ্চার করে।
  • গঠনগত, সামগ্রিক মূল্যায়নে ICT ব্যবহার করা হয়। গঠনগত মূল্যায়নে পোর্টফোলিও, রিপোর্ট, কেসস্টাডি, অনলাইন আলোচনা ইত্যাদি ক্ষেত্রে ICT-র ব্যবহার অতি গুরুত্বপূর্ণ। সামগ্রিক মূল্যায়নের ক্ষেত্রে গ্রেডিং এবং বিচারকরণের ক্ষেত্রে ICT ব্যবহার করা হয়।
  • বিভিন্ন ধরনের প্রশাসনিক কাজ, যেমন- বিদ্যালয় সংক্রান্ত রিপোর্ট, রেজিস্টার, ডকুমেন্ট সংরক্ষণ ইত্যাদির ক্ষেত্রে ICT ব্যবহার করে প্রশাসনিক কাজ অনেক সহজ হয়েছে।

১৫। শিক্ষাক্ষেত্রে ICT-র ভূমিকা লেখো।

তিনি শিক্ষাক্ষেত্রে। CT-র ভূমিকা: শিক্ষাক্ষেত্রে ICT-এর ভূমিকাগুলি হল-

(I) শিক্ষণ:

শিখন সহায়ক উপকরণ: শিক্ষাক্ষেত্রে বিভিন্ন শিক্ষণ সহায়ক উপকরণ, যেমন- পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন, মাল্টিমিডিয়া, ভিডিয়ো ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।

শিক্ষাদান পদ্ধতি: শিক্ষাক্ষেত্রে বিভিন্ন ICT-কেন্দ্রিক শিক্ষাদান পদ্ধতি তৈরি করা সম্ভব হয়।

স্ব-শিখন: ICT ব্যবহার করে স্ব-শিখন পদ্ধতির উন্নয়ন সম্ভব হয়। ICT ব্যবহার করে Computer Aided Instruction, দূরশিক্ষার উন্নয়ন করা সম্ভব এবং এগুলি স্ব-শিখনে সাহায্য করে।

(II) শিখন

শিখনের উন্নয়ন: শিক্ষার্থীদের শিখনের জন্য ICT ব্যবহার করলে শিক্ষার্থীরা তথ্য সংরক্ষণ করে রাখতে পারে। অর্থাৎ ICT শিখনের উন্নয়নে সাহায্য করে।

কম্পিউটারভিত্তিক শিখন : ICT শিক্ষার্থীদের কম্পিউটারে দক্ষ করে তুলতে পারে, ফলে শিক্ষার্থীরা অনেক সহজে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।

(III) প্রশাসন:

রেকর্ড সংরক্ষণ: বর্তমানে ICT-র মাধ্যমে বিভিন্ন প্রশাসনিক রেকর্ড সংরক্ষণ করা অনেক সহজ হয়।

যোগাযোগ: অভিভাবক, শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিবর্গ, পরিচালক মণ্ডলীর সদস্য প্রমুখদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে ICT সাহায্য করে।

(IV) গবেষণা:

সার্চ ইঞ্জিন: বিভিন্ন ধরনের সার্চ ইঞ্জিন, ই-লাইব্রেরি ইত্যাদি বর্তমানে গবেষণার জন্য বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণে সুবিধা করে দিয়েছে।

অনলাইন সম্পদ: বিভিন্ন অনলাইন সম্পদসমূহ রয়েছে, সেগুলিকে অনলাইন মোডে যে-কোনো অঞ্চলের শিক্ষার্থী বা শিক্ষক বা ব্যক্তিICT-র মাধ্যমে জানতে পারে।

বিশ্লেষণ: অল্প সময়ে গবেষণালব্ধ ফলাফলকে বিশ্লেষণ করতে ICT সাহায্য করে।

প্রকাশনা: ই-বুক প্রকাশে ICT-কে কাজে লাগানো যায়। ই-বুকের ভিডিয়ো, অ্যানিমেশন ইত্যাদির মাধ্যমে যে-কোনো বিষয় শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপিত করা যায়।

মূল্যায়ন: গঠনগত বা সামগ্রিক মূল্যায়নে ICT-কে কাজে লাগানো যায়। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতামূলক মূল্যায়নে online ব্যবস্থার প্রচলন হয়েছে, যা মূল্যায়ন ব্যবস্থাকে অপেক্ষাকৃত সহজে, কম সময়ে ও কম খরচে করা সম্ভব হচ্ছে।

১৬। ভারতে ICT সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের প্রোজেক্টগুলি সম্পর্কে লেখো।

ভারতে ICT সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের প্রোজেক্টসমূহ: ভারতে।CT সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের প্রোজেক্টসমূহ কার্যকরী রয়েছে। সেগুলি হল-

IT @ School Project: কেরলে এই প্রোজেক্ট প্রথম গ্রহণ করা হয়। EDUSAT নেটওয়ার্কের বাস্তবায়নের জন্য এই Projectটি Nodal Agency হিসেবে কাজ করে।

VICTERS (Versatile ICT Enabled Resource for Students): এই চ্যানেলটি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উচ্চমানের শিক্ষাপ্রদানের জন্য বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করে।

সাক্ষাৎ পোর্টাল : এই পোর্টালটি এ পি জে আব্দুল কালামের চালু করা One Stop Education Portal!

স্পোকেন টিউটোরিয়াল: ভারত সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক দ্বারা পরিচালিত শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম প্রযুক্তিগত জ্ঞান বিনা খরচে আহরণের জন্য এটি তৈরি করা হয়েছে।

জ্ঞান দর্শন: এটি বিভিন্ন শিক্ষাস্তরে বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় ও তথ্যসমৃদ্ধ অনুষ্ঠান প্রচার করে, যা IGNOU দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।

জ্ঞানবাণী: এটি একটি শিক্ষামূলক রেডিয়ো FM চ্যানেল, যা IGNOU দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।

ই-জ্ঞানাকোষ: ভারত সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দ্বারা পরিচালিত ই-লার্নিং-এর অগ্রগতি, অভিজ্ঞ শিক্ষকদের শ্রেণিকক্ষের বাইরে শিক্ষণ উপাদান তৈরিতে এটি সাহায্য করে।

ভার্চুয়াল ল্যাবরেটরি: সরাসরি কোনো পরীক্ষা না করেও একজন শিক্ষার্থী পরীক্ষার কাজ সম্পাদন করে যে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবস্থা দ্বারা, তা হল ভার্চুয়াল ল্যাবরেটরি।

ঢ্যাপটিক প্রযুক্তি: যে প্রযুক্তির সাহায্যে ভার্চুয়াল বস্তুকে স্পর্শ করে তাকে বাস্তব বলে মনে করা হয়, তাই হল হ্যাপটিক প্রযুক্তি।

১৭। শিক্ষায় ডিজিটাল বিপ্লব বলতে কী বোঝায়? EDUSAT সম্পর্কে যা জানো লেখো।

ভিত্তির শিক্ষায় ডিজিটাল বিপ্লব: শিক্ষায় ডিজিটাল বিপ্লব হল শিক্ষাদান ও শিক্ষাগ্রহণ প্রক্রিয়ায় ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার, যার মাধ্যমে শিক্ষা আরও সহজলভ্য, দ্রুত এবং ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে। প্রথাগত পাঠদান পদ্ধতির বাইরে এসে এখন অনলাইন লার্নিং, ভার্চুয়াল ক্লাসরুম, ই-বুক, মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপনা, অনলাইন মূল্যায়ন ইত্যাদির মাধ্যমে শিক্ষা নতুন রূপ নিয়েছে। বিশেষ করে কোভিড-19 মহামারির সময়ে ডিজিটাল প্রযুক্তির গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পায়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও সেই সময় শিক্ষাদান চলেছে ভার্চুয়াল মাধ্যমে। এই পরিবর্তন শুধু শহর নয়, গ্রামীণ এলাকাতেও ছড়িয়ে পড়েছে। ডিজিটাল বিপ্লব শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি, শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ক জোরদার এবং নতুন শিক্ষণ কৌশল বাস্তবায়নে সহায়তা করছে। এটি ছাত্রদের 21 শতকের উপযোগী দক্ষতা, যেমন- প্রযুক্তি-ব্যবহার, সমস্যাসমাধান এবং আত্মনির্ভরতা গঠনে সাহায্য করে।

EDUSAT: ভারতে প্রথম স্যাটেলাইটভিত্তিক প্রকল্প হল EDUSAT। শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নকল্পে EDUSAT -এর সাহায্য নেওয়া হয়। EDUSAT প্রকল্পটি Indian Space Research Organisation-এর প্রযুক্তিগত সহায়তায় তৈরি করা হয়েছে। বিদ্যালয় শিক্ষা থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়নে EDUSAT কার্যকরী। EDUSAT-এর পুরো নাম হল Educational Satellite.

এটি শ্রেণিকক্ষ ও স্যাটেলাইটের মাধ্যমে উভমুখী যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে কার্যকরী, গ্রাম ও শহরাঞ্চলের মধ্যে দূরশিক্ষার ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য, শ্রেণিকক্ষের শিক্ষাকে মিথস্ক্রিয়ামূলক এবং তথ্যপূর্ণ করার কাজে ব্যবহার করা হয়।

EDUSAT আবার GSAT নামেও পরিচিত। এই কৃত্রিম উপগ্রহ 2004 সালে 20 সেপ্টেম্বর শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। EDUSAT, 72টি চ্যানেলের সঙ্গে যুক্ত, এদের মধ্যে 56টি চ্যানেল জাতীয় চ্যানেল, যা উচ্চশিক্ষা, বিদ্যালয় শিক্ষা, টেকনিক্যাল শিক্ষা, বয়স্কশিক্ষা ইত্যাদির সঙ্গে যুক্ত।

EDUSAT স্যাটেলাইট 2010 সালের সেপ্টেম্বর – পর্যন্ত কার্যকরী ছিল। EDUSAT-এর কার্যক্ষমতা শেষ হওয়ার পর এর নেটওয়ার্ক যুক্ত করা হয়েছে INSAT-UCR-এর সঙ্গে।

১৮। শিক্ষার উপর ডিজিটাল বিপ্লবের প্রভাব আলোচনা করো।

ডিজিটাল যুগ আমাদের জীবনের কার্যত প্রতিটি ক্ষেত্রে একটি গভীর পরিবর্তনের সূচনা করেছে এবং শিক্ষাও এর ব্যতিক্রম নয়। শিক্ষায়-এর প্রভাবগুলি হল-

ডিজিটাল ক্লাসরুম: ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে সবচেয়ে দৃশ্যমান পরিবর্তনগুলির মধ্যে একটি হল ঐতিহ্যবাহী ইট-মর্টার ক্লাসরুম থেকে ডিজিটাল ক্লাসরুমে রূপান্তর। ল্যাপটপ, ট্যাবলেট ও ইন্টারঅ্যাকটিভ হোয়াইট বোর্ডের মতো ডিজিটাল ডিভাইসের প্রবর্তন শিক্ষার্থীদের শিক্ষামূলক বিষয়বস্তুর সঙ্গে জড়িত হওয়ার পদ্ধতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। শিক্ষা এখন আর বিদ্যালয় বা – বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত সীমানায় সীমাবদ্ধ নয়, এটি যে-কোনো জায়গায়, যে-কোনো সময় ঘটতে পারে। ই-বুকগুলি মাল্টিমিডিয়া, হাইপারলিঙ্ক ও অনুসন্ধান ফাংশনের মতো ইন্টারঅ্যাকটিভ বৈশিষ্ট্যগুলি অফার করে, যা শেখার প্রতি শিক্ষার্থীদের আরও আকৃষ্ট ও দক্ষ করে তোলে।

ব্যক্তিগত শিক্ষা: প্রতিটি ক্লাসে বিভিন্ন একাডেমিক ক্যালিবার এবং শেখার শৈলীর শিক্ষার্থীদের সমন্বয় রয়েছে। প্রযুক্তি ও বিভিন্ন শেখার শৈলী অনুসারে, একই বিষয়বস্তু কাস্টমাইজ করে খেলার ক্ষেত্র সমতল করতে সাহায্য করে। একটি স্মার্ট বোর্ড ভিজ্যুয়াল শিক্ষার্থীদের জটিল ধারণা ও উপপাদ্য বুঝতে সাহায্য করে। যেমন- ইন্টারঅ্যাকটিভ ক্যুইজ ও বিতর্ক শিক্ষার্থীদের মজাদার ও আকর্ষণীয় উপায়ে অভিজ্ঞতা স্মরণ করতে সাহায্য করে। ব্যক্তিগত শিক্ষা শিক্ষার্থীদের একটি বিষয়ে গভীরভাবে অন্বেষণ করার সুযোগ দেয় এবং উদ্ভাবনী চিন্তার পথ প্রশস্ত করে।

ক্লাসরুমের বিশ্বায়ন: ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব বা www তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্য শেখার দিগন্ত প্রসারিত করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির দ্বারা ম্যাসিভওপেন অনলাইন কোর্সের (MOOCs) একটি গেটওয়ে খুলে দিয়েছে।

সহযোগিতামূলক শিক্ষা : টেকনোলজি আজ শিক্ষার্থীদের আরও বেশি সমন্বয়ের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে সক্ষম করেছে। শিক্ষার্থীদের হাতে অনেক ডিজিটাল টুল (Tool) রয়েছে, যা শুধুমাত্র সহযোগিতা করা সহজ করে না, আউটপুটের গুণগত মান উন্নত করার সুযোগও করে দেয়।

শিক্ষকদের ক্ষমতায়নের জন্য ডিজিটাল লাইব্রেরি প্রদান : তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ডিজিটাল ডিভাইডের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি ও শিক্ষকদের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে এবং উচ্চশিক্ষার শিক্ষণ-শিখন প্রক্রিয়া সুনিশ্চিত করতে এই প্রকল্প গৃহীত হয়েছে। ডিজিটাল সাক্ষরতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ প্রোজেক্ট।

ই-বুক এবং ই-জার্নালের ব্যবস্থা: যে-কোনো শিক্ষাব্যবস্থাতেই পাঠ্যপুস্তক, শিক্ষামূলক উপাদান, পত্রিকা, ম্যাগাজিন ইত্যাদির প্রয়োজন। বর্তমানে লাইব্রেরির বিকল্প হিসেবে লাইব্রেরি সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যাসামাধনে ই-লাইব্রেরি গুরুত্বপূর্ণ। এই সমস্যাসমাধানের জন্য e-books ও e-journals -এর ব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষাকে ডিজিটাল করা হয়েছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিনা পয়সায় বিভিন্ন সুযোগসুবিধা পাচ্ছে।

e-content-এর মূল্যায়ন : e-contentগুলির গুণমান যাচাই-এর জন্য, e-contentগুলির গ্রেড প্রদানের জন্য এই প্রকল্প রয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা যাতে সঠিক ই-কনটেন্ট খুঁজে পায়, তার নির্দেশনাও দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন : উচ্চমাধ্যমিক চতুর্থ সেমিস্টার বাংলা প্রশ্ন উত্তর

আরো পড়ুন : উচ্চমাধ্যমিক চতুর্থ সেমিস্টার দর্শন প্রশ্ন উত্তর

আরো পড়ুন : উচ্চমাধ্যমিক চতুর্থ সেমিস্টারের ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর

আরো পড়ুন : উচ্চমাধ্যমিক চতুর্থ সেমিস্টারের ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর

Leave a Comment