মহাকাব্য বলতে কী বোঝো? মহাকাব্যের লক্ষণ বা বৈশিষ্ট্য লেখো
মহাকাব্য: আদি-মধ্য-অন্ত্যসমন্বিত যে বীররসাত্মক আখ্যানকাব্যে কোনো নায়কের জীবনকাহিনি অখণ্ডরূপে এবং বীরোচিত ছন্দে কীর্তিত হয়, তাকে মহাকাব্য বলে।
বৈশিষ্ট্য: প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের আলংকারিকদের মতানুসারে মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্যগুলি হল-
অখণ্ড কাহিনি: মহাকাব্যের প্রধান আখ্যানটি হবে আদি-মধ্য-অন্ত্য মিলিয়ে নাট্যগুণান্বিত একটি অখণ্ড আখ্যান এবং তাকে ঘিরে থাকবে ছোটো-বড়ো বহু উপকাহিনি।
সর্গ সংখ্যা: মহাকাব্যের সর্গ সংখ্যা হবে ৯ থেকে ৩০-এর মধ্যে এবং প্রতিটি সর্গে থাকবে পরবর্তী সর্গের সূচনা।
নায়কের বৈশিষ্ট্য: মহাকাব্যের নায়ক হবেন বীর, সদ্বংশজাত, ক্ষত্রিয়, ধীরোদাত্ত প্রভৃতি গুণের আধার এবং সেই বীরের যুদ্ধবিগ্রহ, জয়পরাজয়ের কাহিনিই মহাকাব্যে বর্ণিত হয়।
প্রধান রস: মহাকাব্যের প্রধান রস হবে-বীররস। তবে কোনোসময় শৃঙ্গার বা শান্তরসও প্রধান রস হতে পারে।
আখ্যানবস্তু: মহাকাব্যের আখ্যানবস্তু হবে ঐতিহাসিক বা পৌরাণিক। দেব-দৈত্য-মানুষের দ্বন্দ্ব এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
ভাষা: মহাকাব্যের ভাষা হবে ওজস্বী, গাম্ভীর্যপূর্ণ, ছন্দবদ্ধ ও অলংকারমণ্ডিত। গোটা মহাকাব্য একটি মাত্র ছন্দে লেখা হবে।
আরও পড়ুন – বই কেনা প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর