ছন্দ ও কবিতা কী? গদ্যকবিতা ও কাব্যিক গদ্য কাকে বলা হয়, উদাহরণ-সহ লেখো
ছন্দ: ছন্দ হল শ্রুতিমধুর শব্দের শিল্পময় বিন্যাস। কবি কবিতার ধ্বনিগুলিকে যে সুশৃঙ্খল বিন্যাসে বিন্যস্ত করে তাতে এক বিশেষ ধ্বনিসুষমা দান করেন, যার ফলে পাঠক কবিতাটি পড়ার সময় ধ্বনিমাধুর্য উপভোগ করেন-ধ্বনির সেই সুশৃঙ্খল বিন্যাসকেই ছন্দ বলা হয়।
কবিতা: বিশ্বজগতের রূপ-রস-শব্দ-ঘ্রাণ-স্পর্শ যখন কবিমনের কল্পনার মাধ্যমে ছন্দবদ্ধ ও শিল্পসম্মত অবয়ব লাভ করে তখনই জন্ম হয় কবিতার। ‘সাহিত্যদর্পণ’ রচয়িতা বিশ্বনাথের মতে, শব্দ ও অর্থের সংশ্লেষে তৈরি হয় কবিতা। রসতাত্ত্বিক কুস্তকের মতে, কবিতা হচ্ছে এমন এক রচনা যাতে থাকে শব্দ ও অর্থ, ধ্বনি ও ব্যঞ্জনার সাহসী, দ্বান্দ্বিক সমাহার।
গদ্যকবিতা ও কাব্যিক গদ্য: কবিতা প্রধানত ছন্দবদ্ধ আবেগ ও কল্পনার বাণীরূপ। অন্যদিকে, গদ্য বলতে ছন্দবর্জিত যুক্তিনিষ্ঠ প্রকাশমাধ্যমকে বোঝায়। কল্পনা ও অনুভবসমন্বিত কোনো বিষয় যখন গদ্যের মাধ্যমে কবিতার আকারে এবং যুক্তিনির্ভর কোনো ভাবনা পদ্যের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়; তখন তাকে ‘গদ্যকবিতা’ এবং ‘কাব্যিক গদ্য’ বলা হয়।
যেমন-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ছেলেটি’, ‘বাঁশি’, ‘সাধারণ মেয়ে’ প্রভৃতি গদ্যকবিতা। জয় গোস্বামীর ‘যারা বৃষ্টিতে ভিজেছিল’, জীবনানন্দ দাশের গল্পগুলি কাব্যিক গদ্য।
আরও পড়ুন – বই কেনা প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর