ঊনবিংশ শতাব্দীর সামাজিক, ধর্মীয় ও শিক্ষা সংস্কার আন্দোলন (Marks 2, 3, 5) | একাদশ শ্রেণি 2nd Semester WBCHSE

সূচিপত্র

ঊনবিংশ শতাব্দীর সামাজিক, ধর্মীয় ও শিক্ষা সংস্কার আন্দোলন (Marks 2, 3, 5) | একাদশ শ্রেণি 2nd Semester WBCHSE

ঊনবিংশ শতাব্দীর সামাজিক, ধর্মীয় ও শিক্ষা সংস্কার আন্দোলন
ঊনবিংশ শতাব্দীর সামাজিক, ধর্মীয় ও শিক্ষা সংস্কার আন্দোলন

ঊনবিংশ শতাব্দীর সামাজিক, ধর্মীয় ও শিক্ষা সংস্কার আন্দোলন (Marks 2)

১. ‘নবজাগরণের কাল’ হিসেবে কোন্ সময়কালকে চিহ্নিত করা হয়?

উত্তর: উনিশ শতকে পাশ্চাত্য শিক্ষা সংস্কৃতির অভিঘাতের ফলে বাঙালির চেতনাজগতে এবং কর্মকান্ডে যে পরিবর্তন আসে, সেই সময়কালকেই নবজাগরণের সূচনাকাল বলা হয়ে থাকে। আর মোটামুটি রামমোহন রায়ের সময় (১৭৭৫-১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দ) থেকে রবীন্দ্রনাথের মৃত্যু (১৯৪১ খ্রিস্টাব্দ) পর্যন্ত সময়কালকে নবজাগরণের সময় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

২. নবজাগরণের প্রভাবে বিজ্ঞান বিষয়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা এবং নারীশিক্ষার জন্য তৈরি হওয়া দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম ও তাদের প্রতিষ্ঠাকাল উল্লেখ করো।

উত্তর: নবজাগরণের প্রভাবে বিজ্ঞান বিষয়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার জন্য যে- সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলি বাংলাদেশে তৈরি হয়েছিল তার মধ্যে অন্যতম ছিল অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অব সায়েন্স (১৮৭৬)।

• নারীশিক্ষার প্রসারে প্রতিষ্ঠিত উল্লেখযোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেথুন কলেজ (১৮৭৯)।

৩. হিন্দু কলেজের বর্তমান নাম কী? এর প্রতিষ্ঠাকাল লেখো।

উত্তর: হিন্দু কলেজের বর্তমান নাম প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় (১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে এর নাম হয় প্রেসিডেন্সি কলেজ এবং ২০১০ খ্রিস্টাব্দে একে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা দেওয়া হয়)।

• হিন্দু কলেজের প্রতিষ্ঠাকাল ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দ।

৪. বর্তমান স্কটিশ চার্চ কলেজের পূর্বতন নাম কী ছিল? করে এই কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়?

উত্তর: বর্তমান স্কটিশ চার্চ কলেজের পূর্বতন নাম ছিল জেনারেল অ্যাসেম্বলিজ ইন্সটিটিউশন।

• এই কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে।

৫. ন্যাশনাল কাউন্সিল অব এডুকেশন কবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল? এর বর্তমান নাম কী?

উত্তর: ন্যাশনাল কাউন্সিল অব এডুকেশন ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

• এর বর্তমান নাম যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।

৬. ক্যালকাটা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, শিবপুর করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল? এর বর্তমান নাম কী?

উত্তর: ক্যালকাটা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, শিবপুর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে।

• ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে এই প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন হয়ে রাখা হয় বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। এর বর্তমান নাম ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি।

৭. নবজাগরণের প্রভাবে উনিশ শতকে যে-সমস্ত সামাজিক প্রথা রদ করা সম্ভব হয়েছিল তা উল্লেখ করো।

উত্তর: নবজাগরণের চেতনায় আলোকদীপ্ত বাঙালি মনীষীরা ঔপনিবেশিক শাসকদের সহযোগিতায় এবং উপনিষদের মূলসূত্রগুলিকে অবলম্বন করে বিভিন্ন অন্ধসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াই করেন। তার ফলে সতীদাহ, নদীবক্ষে সন্তান-বিসর্জন, বহুবিবাহ, বাল্যবিবাহ ইত্যাদি রদ করা সম্ভব হয়। জাতপাত, বর্ণভেদ, অস্পৃশ্যতা ইত্যাদির বিরুদ্ধেও মানুষ সরব হয়।

৮. ডিরোজিও কে ছিলেন? তাঁর দুজন অনুগামী বন্ধু- শিষ্যের নাম লেখো।

উত্তর: ডিরোজিও ছিলেন হিন্দু কলেজের অধ্যাপক এবং ‘ইয়ং বেঙ্গল’ আন্দোলনের প্রবক্তা।

• ডিরোজিওর অনুগামী বন্ধু-শিষ্যদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুজন হলেন কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রামগোপাল ঘোষ।

৯. ডিরোজিও প্রতিষ্ঠিত আন্দোলনটির নাম কী? এর লক্ষ্য কী ছিল?

উত্তর: হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও প্রতিষ্ঠিত আন্দোলনটির নাম ছিল ইয়ং বেঙ্গল আন্দোলন।

• এই আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল সমাজে যুক্তিবাদের বিস্তার এবং অন্ধ ধর্মীয় আচার ও সংস্কারের বিরোধিতা।

১০. ‘একাডেমিক অ্যাসোসিয়েশন’ কে প্রতিষ্ঠা করেন? এর লক্ষ্য কী ছিল?

উত্তর: হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দে ‘একাডেমিক অ্যাসোসিয়েশন’ প্রতিষ্ঠা করেন।

• এই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ছিল বিভিন্ন সামাজিক, নৈতিক এবং ধর্মীয় বিষয় নিয়ে যুক্তিপূর্ণ আলোচনা করা।

১১. ‘পার্থেনন’ পত্রিকা কারা প্রকাশ করেছিলেন? এই পত্রিকায় তাঁরা কী ঘোষণা করেছিলেন?

উত্তর: ‘পার্থেনন’ পত্রিকা হিন্দু কলেজের ছাত্ররা প্রকাশ করেছিলেন।

• এই পত্রিকায় তাঁরা ঘোষণা করেছিলেন যে, জন্মসূত্রে হিন্দু হলেও শিক্ষায় ও আচার-আচরণে তারা ইউরোপীয় মনোভাবের অনুসারী।

১২. মধ্যযুগে ব্রাহ্মধর্ম আন্দোলনের দুজন নেতার নাম লেখো। তাঁরা কীভাবে ধর্মের অন্ধত্ব ও গোঁড়ামি থেকে মুক্তি ঘটিয়েছিলেন লেখো।

উত্তর: মধ্যযুগে ব্রাহ্মধর্ম আন্দোলনের দুজন উল্লেখযোগ্য নেতা ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং কেশবচন্দ্র সেন।

• তাঁরা প্রাচীন বৈদান্তিক এবং ঔপনিষদিক ধর্মের নতুন মূল্যায়নের মাধ্যমে মধ্যযুগীয় ধর্মান্ধতা ও গোঁড়ামি থেকে মুক্তি ঘটিয়েছিলেন।

১৩. উনিশ শতকের বাংলা সাহিত্যের বৈপ্লবিক ঘটনা কী কী?

উত্তর: উনিশ শতকের বাংলা সাহিত্যের বৈপ্লবিক ঘটনা বলতে গেলে দুটি বিষয়ের উল্লেখ করতে হয়-প্রথমত, ছাপাখানার প্রতিষ্ঠা; দ্বিতীয়ত, সাহিত্যের বাহন হিসেবে বাংলা গদ্যের আত্মপ্রকাশ।

ঊনবিংশ শতাব্দীর সামাজিক, ধর্মীয় ও শিক্ষা সংস্কার আন্দোলন (Marks 23)

১. পাশ্চাত্য শিক্ষা-সংস্কৃতির অভিঘাত বাঙালি জীবনে কী প্রভাব বিস্তার করেছিল লেখো।

উত্তর: উনিশ শতকে পাশ্চাত্য শিক্ষা-সংস্কৃতির যে অভিঘাত বাংলাদেশে এসেছিল, তা উচ্চশিক্ষিত মানুষের মধ্যেই আপাতভাবে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু সেই শহুরে শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যে নবচেতনার যে জাগরণ ঘটে তা শেষপর্যন্ত আপামর বাঙালিজীবনকে প্রভাবিত করে। বাঙালি দীর্ঘদিনের প্রচলিত প্রথার প্রতি প্রশ্ন করতে যেমন সাহসী হয়, তেমনই দীর্ঘকালের সামাজিক মূল্যবোধগুলিও নতুন করে বিচারবিবেচনার বিষয় হয়ে ওঠে। এককথায় গতানুগতিকতা থেকে মুক্ত হয়ে বাঙালি আত্মসচেতন হয় এবং যুক্তিনিষ্ঠ দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিষ্টা করতে বাঙালি সমাজের একাংশ তৎপর হয়ে ওঠে।

২. নবজাগরণের প্রভাবে শিক্ষাপ্রসারে বাংলার শিক্ষাজগতে যে-সমস্ত ঘটনাগুলি ঘটেছিল সেগুলি উল্লেখ করো।

উত্তর: নবজাগরণের প্রভাবে শিক্ষাজগতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হয়, প্রধানত নারীশিক্ষা এবং পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারের জন্য নতুন নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরি হয়। বিজ্ঞাননির্ভর উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার জন্য বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়। এসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংস্কৃত কলেজ (১৮২৪), জেনারেল অ্যাসেম্বলিজ ইন্সটিটিউশন (১৮৩০), মেডিকেল কলেজ (১৮৩৫), মতিলাল শীল ফ্রি স্কুল অ্যান্ড কলেজ (১৮৪২), প্রেসিডেন্সি কলেজ (১৮৫৫), ক্যালকাটা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, শিবপুর (১৮৫৬), কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (১৮৫৭), বিদ্যাসাগর কলেজ (১৮৭২), হিন্দু মহিলা বিদ্যালয় (১৮৭৩), অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অব সায়েন্স (১৮৭৬), বেথুন কলেজ (১৮৭৯), রিপন কলেজ (১৮৮৪), ন্যাশনাল কাউন্সিল অব এডুকেশন (১৯০৬, বর্তমানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়), আশুতোষ কলেজ (১৯১৬) ইত্যাদি।

৩. নবজাগরণের প্রভাবে সমাজের যে বৌদ্ধিক জাগরণ ঘটেছিল, তার লক্ষণ কী কী ছিল?

উত্তর: নবজাগরণের প্রভাবে মানুষের মধ্যে যে বৌদ্ধিক জাগরণ বা চেতনাগত পরিবর্তন ঘটে তার প্রভাব সমাজের নানা ক্ষেত্রে পড়েছিল। প্রথমত, অন্ধবিশ্বাস ও সংস্কারের বিরুদ্ধে মানুষ রুখে দাঁড়ায়। যে কারণে সতীদাহ, নদীবক্ষে সন্তান-বিসর্জন, বহুবিবাহের মতো ঘৃণ্য প্রথা চিরকালের মতো রদ হয়ে যায়। দ্বিতীয়ত, পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসার শুরু হয় এবং উচ্চশিক্ষা, বিজ্ঞানচেতনা ও নারীশিক্ষার প্রসারে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরি হয়। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রেসিডেন্সি কলেজ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, বেথুন কলেজ, মেডিকেল কলেজ ইত্যাদি। ধর্ম, জাতপাত, সমাজে নারীর অবস্থান বিষয়ে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়। নতুন চেতনায় সমৃদ্ধ মানুষেরা সেই সমস্ত প্রশ্নের সঠিক উত্তর খুঁজতে থাকে, যা নারী অধিকারের প্রতিষ্ঠা করে এবং সমাজের অভিমুখ বদলে দেয়।

ঊনবিংশ শতাব্দীর সামাজিক, ধর্মীয় ও শিক্ষা সংস্কার আন্দোলন (Marks 5)

১. উনিশ শতকের নবজাগরণের ক্ষেত্রে ডিরোজিওর ভূমিকা আলোচনা করো।

উত্তর: উনিশ শতকে নবজাগরণের কালে সমাজে যে যুক্তিবাদ এবং বিজ্ঞানমনস্কতা প্রকাশ পাচ্ছিল, ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষিত হচ্ছিল, তার পথপ্রদর্শক ছিলেন হিন্দু কলেজের শিক্ষক লুই হেনরি ভিভিয়ান ডিরোজিও। ডিরোজিও সূচনা করেছিলেন ইয়ং বেঙ্গল আন্দোলনের, যার লক্ষ্য ছিল ভারতীয় যুবকদের মধ্যে পাশ্চাত্য শিক্ষা, যুক্তিবাদ এবং আধুনিকতা প্রচার করা। ইয়ং বেঙ্গল-এর আদর্শে বিশ্বাসীরা জাতিগত বৈষম্য, লিঙ্গ বৈষম্য, বাল্যবিবাহ এবং সতীদাহ প্রথার মতো সামাজিক প্রথাকে চ্যালেঞ্জ করেছিল। ডিরোজিয়ানরা বিশ্বাস করত স্বাধীনতা, সাম্য এবং ভ্রাতৃত্বের আদর্শে। ডিরোজিওর প্রতিষ্ঠিত অ্যাকাডেমিক অ্যাসোসিয়েশন (১৮২৮ খ্রিস্টাব্দ) বিভিন্ন সামাজিক, নৈতিক এবং ধর্মীয় বিষয় নিয়ে যুক্তিপূর্ণ আলোচনার সভা হিসেবে স্মরণীয় হয়ে আছে। প্রগতিশীলতার প্রচারে হিন্দু কলেজের ছাত্ররা ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশ করেছিল ‘পার্থেনন’ পত্রিকা। ডিরোজিওর প্রভাবেই ছাত্রদের মধ্যে প্রচলিত রীতিনীতির প্রতি অনাস্থা, দেবদেবীদের প্রতি অশ্রদ্ধা, ব্রাহ্মণ পুরোহিতদের প্রতি অভক্তি এবং খাদ্যাভ্যাসে মুক্তচিন্তা ও বিদেশীয় চালচলনের অনুসরণের প্রবৃত্তি গড়ে ওঠে।

২. উনিশ শতকের ধর্মীয় ও সামাজিক আন্দোলনের পটভূমিকায় ব্রাহ্মসমাজের অবদানের কথা আলোচনা করো।

উত্তর: ব্রাহ্ম আন্দোলনের নেতারা প্রাচীন বৈদান্তিক এবং ঔপনিষদিক ধর্মের নতুন মূল্যায়ন করেন। মধ্যযুগীয় ধর্মান্ধতা এবং গোঁড়ামি থেকে মুক্ত এক নতুন ভাবধারার জন্ম দিয়েছিলেন তাঁরা। তাঁদের একেশ্বরবাদ নতুন ধর্ম ভাবনার প্রতিষ্ঠা করে। প্রাচীন আচারসর্বস্ব ধর্মব্যবস্থার রক্ষণশীল আবহে এই একেশ্বরবাদ সমাজকে আলোড়িত করে। পরবর্তীকালে বহু ব্রাহ্ম আন্দোলনের নেতাকে স্বাধীনতা সংগ্রামেও অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়।

৩. সাহিত্যে নবজাগরণের প্রভাব কাদের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছিল তা আলোচনা করো।

উত্তর: ১৮৫৭-র মহাবিদ্রোহের পরবর্তীকালে সাহিত্যেও নবজাগরণের প্রভাব দেখা যায়। রামমোহন রায় এবং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের নাম ভিত্তিরচয়িতা হিসেবে অবশ্যই উল্লেখযোগ্য। পরবর্তীকালে বঙ্কিমচন্দ্র, শরৎচন্দ্রের মতো কথাসাহিত্যিকের লেখায়, মোঃ শহিদুল্লাহ, অক্ষয় কুমার দত্তের মতো প্রাবন্ধিকের রচনায় আধুনিকতার রূপ ফুটে উঠল। কবিতার নানা ধরনের প্রবর্তনা, নাটকের নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা, প্রবন্ধে নানা সমাজ ও সমস্যার দিকে আলোকপাত ইত্যাদির মধ্য দিয়ে আধুনিকতার নতুন দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ ঘটতে থাকে। এক্ষেত্রে নবজাগরণের প্রভাবকে কোনোভাবেই অস্বীকার করা যায় না।

আরও পড়ুন – বই কেনা প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর

একাদশ শ্রেণির কলা বিভাগের যে কোনো প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন। কোনো উত্তর না পেলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানান।

Leave a Comment