“হঠাৎ একদিন তেলেনাপোতা আপনিও আবিষ্কার করতে পারেন”- কোন্ পরিস্থিতিতে এমনটি সম্ভব বলে লেখক মনে করেছেন?
অথবা, তেলেনাপোতা আবিষ্কার করতে হলে কী কী শর্ত পালন করতে হবে?
তেলেনাপোতা আবিষ্কারের শর্তসমূহ: বাংলা সাহিত্যের প্রখ্যাত গল্পকার প্রেমেন্দ্র মিত্র রচিত ‘তেলেনাপোতা আবিষ্কার’ গল্পে লেখক তেলেনাপোতা আবিষ্কারের বিশেষ পন্থার কথা ব্যক্ত করেছেন। কাজেকর্মে হাঁফিয়ে উঠে শহরজীবনের ব্যস্ততা থেকে মুক্তির অবকাশ পাওয়া যায়, যদি দু-দিনের ছুটি পাওয়া যায় তবে শনি বা মঙ্গলবার তেলেনাপোতায় যাত্রার একটা সুযোগ হতে পারে। আবার যদি কেউ হঠাৎ এসে প্ররোচনা দেয় যে, তেলেনাপোতার এক আশ্চর্য সরোবরে পৃথিবীর সরলতম মাছেরা তাদের জলজীবনে প্রথম বড়শিতে বিদ্ধ হওয়ার অপেক্ষায় রত, তাহলে তেলেনাপোতা আবিষ্কারের একটি অছিলা পাওয়া যেতে পারে। আবার, ইতিপূর্বে যদি পুঁটি ছাড়া অন্য কোনো মাছ ধরার সুযোগ না হয়ে থাকে তাহলে হঠাৎ কোনোদিন তেলেনাপোতা আবিষ্কার অভিযানে যাওয়া যায়। অত্যন্ত কষ্টকল্পিত পথে ভাদ্র মাসের বিকেলবেলায় পড়ন্ত রোদে গরমে-ঘামে-ধুলোয় চটচটে শরীর নিয়ে জিনিসে-মানুষে ঠাসাঠাসি বাসে রাস্তার ঝাঁকানি এবং মানুষের গুঁতোয় ক্লান্ত হয়ে ঘণ্টা দুয়েক যাত্রা করে রাস্তার মাঝখানে নেমে পড়তে হবে। সেখানে ঘন অন্ধকার জঙ্গলের ভ্যাপসা জলা গন্ধে মনে হবে যেন ‘ক্রুর কুন্ডলিত অভিশাপ ধীরে ধীরে ফণা তুলে উঠে আসছে।’ এই রহস্যময় পরিবেশই তেলেনাপোতার অন্দরমহলে প্রবেশের আমন্ত্রণ জানাবে।
আরও পড়ুন – আগুন নাটকের বড়ো প্রশ্ন উত্তর