সমাজজীবনে কর্মযোগের উপযোগিতা কী
সামাজিক জীবনে কর্মযোগরে উপযোগিতা
কর্মযোগ মানুষকে পরহিতার্থে কর্মের শিক্ষা দেয়। সমাজে বসবাসকারী মানুষের পরস্পর সাম্যের মাধ্যমেই একটি সুস্থ সমাজ গড়ে ওঠে। সামাজিক জীবনের উপর কর্মযোগের প্রভাবগুলি নিম্নরূপ-
পরোপকারের শিক্ষা দেয়
মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। পারস্পরিক সহযোগিতা, সহমর্মিতা ও সহাবস্থানের ফলে একটা সমাজ গড়ে ওঠে। কর্মযোগ মানুষকে পরোপকার করার শিক্ষা দেয়। ব্যক্তিকে তার নিজের জন্য নয় অপরের জন্য, সমগ্র মানবজাতির কল্যাণের জন্য পরহিতার্থে কাজ করার শিক্ষা দেয়। তার ফলে সমাজের সামগ্রিক কল্যাণ সাধিত হয়।
সৎ চরিত্র গঠনে সহায়তা করে
কর্মযোগ যেহেতু মানুষের সৎ চরিত্র গঠনের সহায়ক তাই কর্মযোগ পরোক্ষভাবে উন্নত সমাজ গঠনের সহায়ক। কেন-না যে সমাজে সৎ চরিত্রবান মানুষের সংখ্যা যত বেশি হবে সেই সমাজের তত অগ্রগতি হবে।
নিজ কর্তব্য সম্পাদনে সহায়তা করে
প্রত্যেক সমাজব্যবস্থা কর্ম বিভাজন নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত। কর্মযোগ শিক্ষা দেয় যে, এই সমাজের অন্তর্গত প্রতিটি ব্যক্তির নিজ নিজ প্রকৃতি ও যোগ্যতা অনুসারে সমাজে একটি নির্দিষ্ট স্থান রয়েছে এবং তার নির্দিষ্ট ও নিজস্ব কর্তব্যও আছে। প্রতিটি ব্যক্তি যদি তাদের নিজ নিজ কর্তব্য যথাযথভাবে সম্পাদন করে তাহলে সমগ্র সমাজই সমৃদ্ধশালী হবে।
নিষ্কলুষ সমাজ গঠন
কর্মযোগ প্রতিটা মানুষকে সৎ কর্ম করতে উৎসাহিত করে -এর ফলে সমাজ থেকে অসৎ কর্ম ধীরে ধীরে কমতে কমতে একটা সময়ে সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে যাবে এবং ফলতই একটা নিষ্কলুষ সমাজের জন্ম হবে।
আরও পড়ুন – যুক্তিবিজ্ঞানের প্রকৃতি – অবরোহ এবং আরোহ