শনিবারের চিঠি পত্রিকার গুরুত্ব আলোচনা করো

শনিবারের চিঠি পত্রিকার গুরুত্ব আলোচনা করো

শনিবারের চিঠি পত্রিকার গুরুত্ব আলোচনা করো
শনিবারের চিঠি পত্রিকার গুরুত্ব আলোচনা করো

প্রকাশকাল ও সম্পাদক: ‘শনিবারের চিঠি’ পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়েছিল ১৯২৮ সালে। এটির প্রকাশকার্যে পরিচালক ছিলেন সজনীকান্ত দাস এবং সম্পাদক ছিলেন যোগানন্দ দাস। অন্যান্য সম্পাদকের মধ্যে পরিমল গোস্বামী, নীরদচন্দ্র চৌধুরীর নাম উল্লেখযোগ্য। পত্রিকাটির তাত্ত্বিক নেতা ছিলেন মোহিতলাল মজুমদার। এটি প্রথমে সাপ্তাহিকৰূপে প্রকাশিত হলেও পরে মাসিক পত্রিকারূপে প্রকাশিত হয়।

উদ্দেশ্য: এই পত্রিকাপ্রকাশের মূল উদ্দেশ্য ছিল ‘কল্লোল’ বিরোধিতা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং কাজী নজরুল ইসলামের রচনাশৈলী, গ্রন্থ বিষয়ক বহু সমালোচনা, বিরোধমূলক মন্তব্য করা হত এই পত্রিকার পাতায়। বিরোধিতা, সমালোচনা, ব্যঙ্গবিদ্রুপ-উপহাস-এসবই ছিল ‘শনিবারের চিঠি’ পত্রিকার মূল শক্তি। যদিও কুৎসা করার অভিপ্রায়কে পুঁজি করেই এই পত্রিকার দরবারে সাফল্য কড়া নেড়েছিল। শাণিত শ্লেষকেই প্রাধান্য দিয়েছিলেন সজনীকান্ত। তাতেই সাময়িক পত্রের ইতিহাসে স্বতন্ত্র স্থান লাভ করেছে ‘শনিবারের চিঠি’। ১৯২৬-১৯৮৬ পর্যন্ত পত্রিকার যাট বছরের লেখা নিয়ে প্রকাশিত ‘শনিবারের চিঠি গল্প সংকলন’ (১৯৯৪) এবং ‘শনিবারের চিঠি ব্যঙ্গ সংকলন’ গ্রন্থ দুটি সজনীকান্তের পুত্র রঞ্জনকুমার দাস কর্তৃক প্রকাশিত হয়, যা পত্রিকার একটি যথার্থ পরিচয় তুলে ধরে।

আরও পড়ুন – বই কেনা প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর

একাদশ শ্রেণির কলা বিভাগের যে কোনো প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন। কোনো উত্তর না পেলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানান।

Leave a Comment