রবীন্দ্রকাব্যের পুনশ্চ পর্ব সংক্ষেপে বিবৃত করো

রবীন্দ্রকাব্যের পুনশ্চ পর্ব সংক্ষেপে বিবৃত করো

রবীন্দ্রকাব্যের পুনশ্চ পর্ব সংক্ষেপে বিবৃত করো
রবীন্দ্রকাব্যের পুনশ্চ পর্ব সংক্ষেপে বিবৃত করো

‘পুনশ্চ পর্ব’

‘সন্ধ্যাসঙ্গীত’-এ রবীন্দ্রনাথ যে যাত্রার সূচনা করেছিলেন ‘মহুয়া’-তে এসে কবি সেই কাব্যধারার পরিসমাপ্তি ঘটান। এরপর ‘পুনশ্চ’ কাব্য থেকে শুরু হয় কবির নতুন কাব্যরীতির যাত্রা। ‘পুনশ্চ’ (১৯৩২), ‘বিচিত্রিতা’ (১৯৩৩), ‘শেষ সপ্তক’ (১৯৩৫), ‘বীথিকা’ (১৯৩৫), ‘পত্রপুট’ (১৯৩৬), ‘শ্যামলী’ (১৯৩৬) কাব্যগ্রন্থগুলি রবীন্দ্রনাথের কাব্যধারায় ‘পুনশ্চ পর্ব’-এর কাব্য।

কাব্যপরিচয়

এই পর্বে কবি তাঁর কবিতায় গদ্যছন্দের প্রচলন করেছেন এবং তা নিয়ে বহু পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়েছেন। বিষয়বৈচিত্র্যেও কাব্যগুলি অভিনব। ‘পুনশ্চ’-র ‘ছেলেটা’, ‘ক্যামিলিয়া’, ‘সাধারণ মেয়ে’ কবিতায় বাস্তব জীবন ও প্রেমচেতনা স্থান পেয়েছে।

মূলসুর

বলাকা পর্বে প্রবহমান পয়ার ছন্দকে নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। এই পর্বে ‘গদ্যছন্দ’-এর অভিনব প্রকরণে আধুনিক বাংলা কবিতার বিপুল সম্ভাবনা উন্মোচিত হয়। পুনশ্চ পর্বে বিষয়বস্তুর ক্ষেত্রে অভিনবত্ব এসেছে। সাধারণ মানুষের দুঃখবেদনাকে কবি এই কাব্যের বিষয়ীভূত করতে চেয়েছেন। এর বাইরে আছে ক্ষুদ্র কাহিনি, সর্বত্র বিজড়িত রয়েছে কবিমানসের সহানুভূতি।

আরও পড়ুন – বই কেনা প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর

একাদশ শ্রেণির কলা বিভাগের যে কোনো প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন। কোনো উত্তর না পেলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানান।

Leave a Comment