রবীন্দ্রকাব্যের উন্মেষ পর্ব সংক্ষেপে বিবৃত করো
কাব্যসমূহ
জীবনের সূচনা থেকে অন্তিম মুহূর্ত পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথ কবিতা রচনা করেছেন। ‘হিন্দুমেলার উপহার’ কবিতাটিই তাঁর প্রথম স্বীকৃত কবিতা। তাঁর উন্মেষ পর্বের কাব্যধারা হল- ‘সন্ধ্যাসঙ্গীত’ (১৮৮২); ‘প্রভাত সঙ্গীত’ (১৮৮৩); ‘শৈশব সঙ্গীত’, ‘ছবি ও গান’ (১৮৮৪); ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী’ (১৮৮৪); ‘কড়ি ও কোমল’ (১৮৮৬)।
‘সন্ধ্যাসঙ্গীত’
‘সন্ধ্যাসঙ্গীত’-এর অকারণ বিষণ্ণতা, সংকীর্ণতর চেতনার বেদনা ও আপনার মধ্যে আপনি গুটিয়ে থাকার বিড়ম্বনা যে রোমান্টিক আবহাওয়া সৃষ্টি করেছে, তা কিছুটা পরিমাণে চিরাচরিত রোমান্টিক হতাশার ভূমিকা।
প্রভাত সঙ্গীত’ কাব্যগ্রন্থের ‘নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ’ কবিতাটি কবির হৃদয় অরণ্য থেকে নিঃসৃত হয়ে বিশ্বের সঙ্গে মিলিত হয়ে গিয়েছে।
অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ
বৈষ্ণব পদাবলির ব্রজবুলির ঢঙে কবি লিখলেন ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী’। মাত্র ষোলো বছর বয়সে এমন সমৃদ্ধ রচনা অনেককেই বিস্মিত করেছিল। ‘ছবি ও গান’ কাব্যে কবির প্রতিদিনের জীবনের আনন্দ-বেদনার ছবি প্রকাশিত। আর ‘কড়ি ও কোমল’ কাব্যে তাঁর পরিণত মানসিকতার প্রভাব লক্ষ করা যায়।
মর্ত্যজীবনের প্রতি আকাঙ্ক্ষা
‘মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে’- মর্ত্যজীবনের প্রতি কবির এই আকাঙ্ক্ষা উন্মেষ পর্বের দান। ‘কড়ি ও কোমল’-এর ইন্দ্রিয়ময় জগৎ থেকে মুক্তির সন্ধান করে চারপাশের সীমাবদ্ধ জগৎ থেকে মুক্ত হয়ে এই পর্বে রবীন্দ্রকাব্য উৎকর্ষের অভূতপূর্ব জগতে প্রবেশ করে।
আরও পড়ুন – বই কেনা প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর