ভারতে সহজ সংখ্যাগরিষ্ঠ পদ্ধতিটি উদাহরণ-সহ আলোচনা করো
ভারতে সহজ সংখ্যাগরিষ্ঠ পদ্ধতির উদাহরণ ও বৈশিষ্ট্য
ভারতে সহজ সংখ্যাগরিষ্ঠ পদ্ধতি বা FPTP-র একটি উদাহরণ হিসেবে 1984 খ্রিস্টাব্দের লোকসভা নির্বাচনের কথা তুলে ধরা হয়। 1984 খ্রিস্টাব্দে লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস দল লোকসভার 543টি আসনের মধ্যে একাই 415টি আসন পেয়ে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার অধিকারী হয়েছিল। কিন্তু এই নির্বাচনে মোট ভোটের শতকরা হিসাবের অনুপাত বিশ্লেষণ করে দেখা যায় কংগ্রেস দল মোট ভোটের মাত্র 48 শতাংশ পেয়েছে। অর্থাৎ, কংগ্রেস দলকে ভোট দেয়নি এমন ভোটারের ভোটের সংখ্যা 52 শতাংশ। কিন্তু তা সত্ত্বেও কংগ্রেস দল লোকসভায় 543টি আসনের ৪০ শতাংশ (415টি আসন) নিজেদের দখলে রেখেছে।
শুধু 1984-র লোকসভা নির্বাচনে নয়, আরও অন্যান্য নির্বাচনেও এমনটা ঘটতে দেখা গেছে। যেমন- 2019 খ্রিস্টাব্দের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি লোকসভার 543টি আসনের মধ্যে 303টি আসন পেলেও লোকসভা নির্বাচনের মোট ভোটের মাত্র 37.3 শতাংশ পেয়েছিল। এমনটা কেন হয়? এর উত্তরে বিশেষজ্ঞরা সহজ সংখ্যাগরিষ্ঠ পদ্ধতি বা FPTP-র তিনটি বৈশিষ্ট্যকে দায়ী করেছেন।
এই বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে রয়েছে- [1] সারা দেশে 543টি নির্বাচন কেন্দ্রে ভোটদানের ব্যবস্থা। [2] প্রতিটি নির্বাচন কেন্দ্রে 1 জন প্রার্থীর নির্বাচনের ব্যবস্থা। [3] নির্বাচনে যে প্রার্থী অন্যসব প্রার্থীর চেয়ে বেশি ভোট পাবেন তাঁকে বিজয়ী ঘোষণার ব্যবস্থা।
এই বৈশিষ্ট্যগুলিকে সামনে রেখে 1984 খ্রিস্টাব্দের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, কংগ্রেস দল যত শতাংশ ভোট পেয়েছে।
(48 শতাংশ) তার চেয়ে তারা অনেক বেশি আসন (415টি) নিজেদের দখলে রেখেছে। লোকসভার মোট আসনের (543) অনুপাতে তারা 80 শতাংশ আসন দখলে রেখেছে। পরিসংখ্যানবিদরা দেখিয়েছেন, বহু নির্বাচন কেন্দ্রে বিপক্ষ দলগুলির মধ্যে ভোট ভাগাভাগির সুযোগে 50 শতাংশেরও কম ভোট পেয়ে কংগ্রেস দল জিতে গেছে।
আরও পড়ুন – বই কেনা প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর