ব্যক্তিজীবনে কর্মযোগের উপযোগিতা কী
ব্যক্তিজীবনে কর্মযোগের উপযোগিতা
ব্যক্তিজীবনে কর্মযোগের বিশেষ উপযোগিতা লক্ষণীয়। সেগুলি নিম্নরূপ-
সৎচরিত্র গঠনে সহায়তা করা
কর্মযোগ ব্যক্তিমানুষের সৎ চরিত্রগঠনের সহায়ক। সৎ কর্মের দ্বারা সৎ চরিত্র গঠিত হয়। সৎ চরিত্রবান ব্যক্তিই শক্তিশালী দেহ ও মনের অধিকারী হয় এবং সৎ চরিত্রবান ব্যক্তির পক্ষেই জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে সাফল্য লাভ করা সম্ভব।
আত্মার পরিশুদ্ধিতে সহায়তা করা
কর্মযোগের দ্বারাই মানুষ উপলব্ধি করতে পারে যে প্রকৃতি ও যোগ্যতা অনুসারে মানুষ সমাজের বিভিন্ন স্তরে অবস্থান করা সত্ত্বেও কোনো মানুষই হীন নয়, আর কোনো কাজই অসম্মানের নয়। সবাই সমান এই অর্থে যে আমরা সবাই একই পরমাত্মার অংশ। কর্মবাদ মানুষের মধ্যে পারস্পরিক বিদ্বেষ তথা সকল প্রকার অসৎ প্রবৃত্তির বিনাশ ঘটিয়ে মানুষকে, তার অন্তরকে পরিশুদ্ধ করে তোলে।
আত্মত্যাগের শিক্ষা দেয়
কর্মযোগ মানুষকে অন্য মানুষের কল্যাণের জন্য ভাবতে শেখায় ও অপরের কল্যাণের উদ্দেশ্যে কাজ করার শিক্ষা দেয়। কর্মযোগের দ্বারা মানুষের অন্তর পরিশুদ্ধ হওয়ায় সে অপরের কল্যাণে আত্মত্যাগ করতে শেখে।
সর্বকাজে সমদৃষ্টি প্রদানে সহায়তা করা
কর্মযোগের দৃষ্টিভঙ্গিতে কোনো কাজই ছোট, বড়ো, হীন বা অমর্যাদার নয়। যে মানুষটা রাস্তা পরিস্কার করে ঝাঁটা দিয়ে আর যে মানুষটা অধ্যাপনার কাজ করে ছাত্র পড়ায় কর্মযোগের দৃষ্টিতে এরা দুজনেই সমমর্যাদার যেহেতু তারা উভয়েই নিজ নিজ কর্তব্য সম্পাদন করে।
নিরাসক্তির শিক্ষা দেয়
কর্মবাদ মানুষকে শেখায় কীভাবে কর্মের ফলের প্রতি নিরাসক্ত থেকে কর্মকে কর্তব্য মনে করে সম্পাদন করতে হয়। কর্মের পরিণামের প্রতি অনাসক্ত থাকার কারণে কর্মজনিত সুখ-দুঃখ তাকে অর্থাৎ কর্মের কর্তাকে স্পর্শ করে না। তার কাছে কর্মসম্পাদন করাটাই কর্তব্য।
আরও পড়ুন – যুক্তিবিজ্ঞানের প্রকৃতি – অবরোহ এবং আরোহ