ফটিক, তোর মাকে আনতে পাঠিয়েছি-বক্তা কে? ফটিকের মাকে আনতে পাঠানো হয়েছিল কেন

ফটিক, তোর মাকে আনতে পাঠিয়েছি-বক্তা কে? ফটিকের মাকে আনতে পাঠানো হয়েছিল কেন

ফটিক, তোর মাকে আনতে পাঠিয়েছি-বক্তা কে? ফটিকের মাকে আনতে পাঠানো হয়েছিল কেন
ফটিক, তোর মাকে আনতে পাঠিয়েছি-বক্তা কে? ফটিকের মাকে আনতে পাঠানো হয়েছিল কেন

বক্তা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘গল্পগুচ্ছ’ প্রথম খণ্ডের অন্তর্গত ‘ছুটি’ গল্পে ফটিকের কলকাতায় বসবাসকারী মামা যিনি ফটিককে কলকাতায় নিয়ে গিয়েছিলেন, তিনিই আলোচ্য অংশটির বক্তা।

মা-কে আনতে পাঠানোর কারণ

পুলিশের লোকেরা ফটিককে বিশ্বম্ভরবাবুর বাড়িতে দিয়ে যাওয়ার পর ফটিকের জ্বর অনেক বেড়ে যায়। সমস্ত রাত্রি সে প্রলাপ বকতে থাকে। রক্তবর্ণ চোখে হতবুদ্ধিভাবে কড়িকাঠের দিকে তাকিয়ে ফটিক মামার কাছে জানতে চায়-“মামা, আমার ছুটি হয়েছে কি।” বিশ্বম্ভরবাবু ফটিকের প্রশ্নের উত্তর দিতে না পেরে ফটিকের শীর্ণ হাতখানি নিজের হাতের উপর তুলে নিয়ে কাছে এসে বসলেন। ফটিক তখনও বিড়বিড় করে তার মায়ের কথা বলতে লাগল।

পরের দিনেও ফটিকের শারীরিক অবস্থার বিন্দুমাত্র পরিবর্তন লক্ষ করা গেল না। ফটিক কিছুক্ষণের জন্য সচেতন হয়ে আবার কারোর প্রতীক্ষায় ঘরের চারদিকে ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে রইল। কিন্তু তার প্রত্যাশিত ব্যক্তিটিকে না দেখে আবার নীরবে দেয়ালের দিকে মুখ করে পাশ ফিরে শুয়ে থাকল। শারীরিক ও মানসিকভাবে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত ফটিক মার কাছে যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে উঠেছিল। বিশ্বম্ভরবাবু চিকিৎসককে নিয়ে এলেন, কিন্তু চিকিৎসকও চিন্তিত বিমর্ষ মুখে জানিয়ে গেলেন-‘অবস্থা বড়োই খারাপ।’ বিশ্বম্ভরবাবু আর দেরি করলেন না। ফটিকের মনের ও শরীরের অবস্থা বুঝে তিনি মনে মনে স্থির করলেন ফটিকের এই শেষ সময়ে তাকে মায়ের সান্নিধ্য পেতে দিতে হবে। বিশ্বম্ভরবাবু আর দেরি না করে সত্যিই ফটিকের মাকে অবিলম্বে কলকাতার বাড়িতে আসার জন্য খবর পাঠান।

আরও পড়ুন – ভারতে প্রচলিত ভাষা পরিবার MCQ

Leave a Comment