নুন কবিতার প্রশ্ন উত্তর (Marks 2, 3) | একাদশ শ্রেণি 2nd Semester WBCHSE
নুন কবিতার প্রশ্ন উত্তর (Marks 2)
“আমরা তো অল্পে খুশি;”-কারা, কেন অল্পে খুশি হয়?
উত্তর: সমাজের নিম্নবিত্ত মানুষেরা অল্পে খুশি হয়।
• ‘সাধারণ ভাতকাপড়ে’ অতিবাহিত জীবনে অতিরিক্ত চাহিদা বা সুখভোগের কোনো সুযোগ নেই। অল্পে খুশি থাকাটা তাই তাদের জীবনের একধরনের বাধ্যবাধকতা।
“….কী হবে দুঃখ করে?”-দুঃখ করে কোনো লাভ নেই কেন?
উত্তর: কবি জয় গোস্বামীর মতে নিম্নবিত্ত মানুষদের জীবনে দুঃখ করে কোনো লাভ নেই, কারণ অভাব আর অসুখের নিত্য সহাবস্থানে অতিবাহিত তাদের যে জীবন সেখানে সুখের কোনো সম্ভাবনাই নেই।
“আমাদের দিন চলে যায় সাধারণ ভাতকাপড়ে।”- কাদের কথা বলা হয়েছে? এর মধ্য দিয়ে কোন্ সত্য প্রকাশিত হয়?
উত্তর: উল্লিখিত অংশে সমাজের নিম্নবিত্ত মানুষদের কথা বলা হয়েছে।
মন্তব্যটির মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হয়েছে হতদরিদ্র নিম্নবিত্ত মানুষদের কায়ক্লেশে কোনোরকমে দিনযাপনের কথা।
“চলে যায় দিন আমাদের…”-কীভাবে দিন চলে যায়?
উত্তর: নিম্নবিত্ত পরিবারের দিন অতিবাহিত হয় অসুখ এবং ধারদেনার মধ্য দিয়ে। অনতিক্রম্য সমস্যার সেই জীবনে রাত্রিতে ‘দু-ভাই’ মিলে গঞ্জিকাতে টান দিয়ে যেন অসহনীয় বাস্তব থেকে নিষ্ক্রমণ খোঁজে।
“রাত্তিরে দু-ভাই মিলে টান দিই গঞ্জিকাতে”-এখানে ‘দু-ভাই’ কারা? এই আচরণ কী ইঙ্গিত করে?
উত্তর: ‘দু-ভাই’ শব্দের স্পষ্ট ব্যাখ্যা কবি দেননি। হতে পারে তারা সহোদর, আবার পরে অন্য প্রসঙ্গে ‘বাপব্যাটা দু-ভাই’-এরও উল্লেখ আছে।
• বাস্তবের জীবনযন্ত্রণাকে ভুলে থাকার জন্য মানুষ নেশার ঘোরে আত্মনিমজ্জন করে। আর তখন যন্ত্রণাক্লিষ্ট মানুষগুলোর জীবনে সামাজিক সম্পর্কগুলোর অবস্থানও এলোমেলো হয়ে যায়। এই ইঙ্গিত উল্লিখিত অংশে পাওয়া যায়।
“সব দিন হয় না বাজার,..”-উদ্ধৃতাংশটির তাৎপর্য কী?
উত্তর: নিম্নবিত্ত হতদরিদ্র মানুষদের জীবনে অভাব নিত্যসঙ্গী। ‘অল্পে খুশি’ থাকা তাদের জীবনের নিয়তি। ফলে প্রতিদিন বাজার করা তাদের কাছে বিলাসিতামাত্র।
“…হলে, হয় মাত্রাছাড়া”-কীসের কথা বলা হয়েছে? ‘মাত্রাছাড়া’ কথাটির মাধ্যমে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?
উত্তর: নিম্নবিত্ত মানুষদের প্রতিদিনের বাজার করার কথা বলা হয়েছে।
• নিম্নবিত্ত মানুষেরা অভাবের কারণে প্রতিদিন বাজার করতে পারে না। কিন্তু যেদিন তারা সুযোগ পায় সেদিন মাত্রাছাড়া বাজার করে, যা তাদের বেহিসাবি এবং অসংযমী জীবন-উচ্ছ্বাসকে প্রতিষ্ঠা করে।
“বাড়িতে ফেরার পথে কিনে আনি গোলাপচারা”-এই গোলাপচারা কিনে আনার তাৎপর্য কী?
উত্তর: নিত্য অভাবের মধ্যেও একজন নিম্নবিত্ত মানুষের যেদিন উপার্জন সম্ভব হয়, সেদিন তাকে দেখা যায় জীবনকে উদ্যাপন করতে। প্রতিদিন যার পক্ষে বাজার করা সম্ভব হয় না তাকেই দেখা যায় ‘মাত্রাছাড়া’ বাজার করতে এবং বাড়িতে ফেরার পথে গোলাপচারা কিনে আনতে। অনেক অভাবের মধ্যেও যে শখকে সে মনের মধ্যে লালন করে রেখেছিল তা পূরণের স্বপ্ন থাকে এই গোলাপচারা কিনে আনায়।
“কিন্তু পুঁতব কোথায়?”-কীসের কথা বলা হয়েছে? কথকের এই মন্তব্যের কারণ আলোচনা করো।
উত্তর: উল্লিখিত অংশে গোলাপচারার কথা বলা হয়েছে।
নিম্নবিত্ত মানুষজন মনের মধ্যে তার শখকে বাঁচিয়ে রাখে। সেকারণেই সুযোগ পেলে সে গোলাপচারা কিনে আনে। কিন্তু কোনোরকমে মাথা গোঁজার ঠাঁই জোটে যার, তার কাছে গোলাপচারা পোঁতার জন্য জায়গা পাওয়া অসম্ভব। উল্লিখিত মন্তব্যে সেই অসহায়তারই প্রকাশ ঘটেছে।
“ফুল কি হবেই তাতে?”-এই সংশয়ের কারণ আলোচনা করো।
উত্তর: নিম্নবিত্ত মানুষজন তাদের মনের মধ্যে গোপনে লালিত স্বপ্নপূরণের জন্য গোলাপচারা কেনে। কিন্তু তা পোঁতার উপযুক্ত জায়গা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকে। তার সমাধান হলেও সেই গাছের উপযুক্ত পরিচর্যা করার সুযোগ ও সময় মেলে না। ফলে আরও অনিশ্চিত হয়ে যায় গোলাপচারায় ফুল ফোটার বিষয়টি।
“সে অনেক পরের কথা।”-কোন্ ‘কথা’? কবির এই মন্তব্যের কারণ কী?
উত্তর: বহু কষ্টে পোঁতা গোলাপচারায় ফুল হবে কিনা সেই ‘কথা’ প্রসঙ্গে মন্তব্যটি করা হয়েছে।
• মনের মধ্যে গোপনে লালিত সৌন্দর্যবিলাস পূরণের জন্য বহু কষ্টে গোলাপচারা যদিও-বা পোঁতা হয়, কিন্তু প্রতিদিনের বেঁচে থাকার লড়াইয়ে ব্যস্ত মানুষের পক্ষে তাতে ফুল ফুটবে কিনা অর্থাৎ ভবিষ্যতের সুখ বিষয়ে অপেক্ষা করার ধৈর্য বা সুযোগ কোনোটাই থাকে না। এই কারণেই মন্তব্যটি করা হয়েছে।
“মাঝে মাঝে চলেও না দিন…”-এই না চলা কীসের দিকে ইঙ্গিত করে?
উত্তর: হতদরিদ্র ‘নিম্নবিত্ত মানুষ অভাব আর অসুখকে নিত্যসঙ্গী করে দিনযাপন করে। ‘অল্পে খুশি’ থেকে ‘হেসে খেলে কষ্ট করে’ তাদের দিনযাপন হয়। কিন্তু সেখানেও যে নিশ্চয়তা থাকে না তারই স্বীকারোক্তি পাওয়া যায় উল্লিখিত পঙ্ক্তিতে। দুপুররাতে বাড়ি ফেরা অর্থাৎ কঠোর পরিশ্রমও সেই দিনযাপনকে নিশ্চিন্ত করতে পারে না।
“খেতে বসে রাগ চড়ে যায়,…”-বক্তা কখন খেতে বসেন? রাগ চড়ে যাওয়ার কারণ কী?
উত্তর: দুপুর-রাতে বাড়ি ফিরে বক্তা খেতে বসেন।
গভীর রাতে খেতে বসে বক্তার রাগ চড়ে যায়, যখন তিনি দেখেন যে ঠান্ডা ভাতে নুনটুকুও নেই।
“আমি তার মাথায় চড়ি”-কথক কার মাথায় চড়েন? মাথায় চড়ার কারণ কী?
উত্তর: কথক রাগের মাথায় চড়ার কথা বলেছেন।
• গভীর রাতে বাড়ি ফিরে ঠান্ডা ভাতে নুনটুকুও না পেয়ে কবির মানসিক স্থিরতা নষ্ট হয়। তখনই রাগ তাঁর মাথায় চড়ে আর তিনিও রাগের মাথায় চড়েন।
“বাপব্যাটা দু-ভাই মিলে সারা পাড়া মাথায় করি”-এই ‘সারা পাড়া মাথায়’ করার কারণ কী? ‘বাপব্যাটা দু-ভাই’ বিষয়টি ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: গভীর রাতে বাড়ি ফিরে ঠান্ডা ভাতে নুনটুকুও না পেয়ে বাবা এবং ছেলে মিলে সমস্ত পাড়া মাথায় করে।
• অভাবের তীব্র তাড়নায় বাবা এবং ছেলে যেন জীবনযুদ্ধে সহযোদ্ধা হয়ে যায়। সে কারণেই কবি ‘বাপব্যাটা দু-ভাই’ শব্দবন্ধটি ব্যবহার করেছেন।
“করি তো কার তাতে কী?”-কোন্ প্রসঙ্গে এ কথা বলা হয়েছে? এখানে বক্তার মনোভাব কী, তা লেখো।
উত্তর: গভীর রাতে বাড়ি ফিরে ঠান্ডা ভাতে নুনটুকু না পেয়ে ‘বাপব্যাটা দু- ভাই’ মিলে সমস্ত পাড়া মাথায় করে। কিন্তু তা নিয়ে তাদের কোনো ভূক্ষেপ নেই। উল্লিখিত মন্তব্যে সেই মনোভাবই দেখা দিয়েছে।
• আপাতভাবে এই মন্তব্যে ঔদ্ধত্য দেখা গেলেও, যে সমাজ তাদের জীবনযাপনের সামান্যমাত্র নিশ্চয়তা দেয় না কিংবা সহযোগিতা করে না, তার প্রতি একধরনের স্পর্ধা ও প্রতিবাদ যেন এই মন্তব্যে প্রকাশিত হয়েছে।
“আমরা তো সামান্য লোক”-‘সামান্য’ শব্দটি কীসের ইঙ্গিত দেয়? ‘সামান্য লোক’ হিসেবে কথক কী দাবি জানিয়েছেন?
উত্তর: বৈষম্যের সমাজে নিম্নবিত্ত মানুষদের ন্যূনতম অধিকার রক্ষিত না হওয়ায় ক্রোধ এবং অভিমানের প্রতীক হয়ে থাকে এই ‘সামান্য’ শব্দটি।
• সামান্য লোক হিসেবে কথক দাবি জানিয়েছেন যে, তাদের শুকনো ভাতে যেন লবণের ব্যবস্থা হয়।
‘নুন’ কবিতার শেষে কীসের দাবি জানানো হয়েছে? এর তাৎপর্য কী?
উত্তর: ‘নুন’ কবিতার শেষে ‘শুকনো ভাতে’ লবণের ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়েছে।
• প্রতিদিন জীবনসংগ্রামে ব্যস্ত নিম্নবিত্ত মানুষদের কাছে পঞ্চব্যঞ্জন শোভিত অন্ন প্রায় স্বপ্নের মতো। তাদের ভাতের থালায় থাকে শুকনো ভাত। শুধু একটু লবণ হলেই তাদের খাওয়া এবং বেঁচে থাকা সুনিশ্চিত হয়। উল্লিখিত দাবিতে জীবনের সেই রুক্ষ দিকই প্রকাশিত হয়েছে।
নুন কবিতার প্রশ্ন উত্তর (Marks 3)
“আমরা তো অল্পে খুশি:”-এই ‘অল্পে খুশি’ হওয়ার তাৎপর্য কী?
উত্তর: সমাজের নিম্নবিত্ত মানুষদের জীবনে প্রতি পদক্ষেপে যেখানে অনিশ্চয়তা, অভাব আর অসুখ নিত্যসঙ্গী, ‘অল্পে খুশি’ হওয়াটা সেখানে যেন একটা বাধ্যবাধকতা। “আমরা তো অল্পে খুশি/কী হবে দুঃখ করে?”-তাদের সামনে দুঃখ থেকে মুক্তির যেহেতু কোনো পথ নেই, তাই বাধ্য হয়ে নিজেদের ভাগ্যকে মেনে নেয় এই অভাবী মানুষরা। ফলে, ‘চলে যাওয়া’ দিনের এই ‘অল্পে খুশি’ হওয়াই তাদের জীবনের অনিবার্য সত্য এবং ভবিতব্য। ‘অল্পে খুশি’, তাই এই আনন্দের প্রকাশ না, আসলে তা বাস্তবকে মেনে নেওয়া ও তার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার এক হৃদয়বিদারক ইতিহাস।
“কী হবে দুঃখ করে?”- কবির এই মন্তব্যের কারণ কী?
উত্তর: ‘নুন’ কবিতায় কবি জয় গোস্বামী বলেছেন সাধারণ ভাতকাপড়ে আর ‘অসুখে ধারদেনাতে’ যে জীবন নিম্নবিত্ত মানুষ প্রজন্মের পর প্রজন্ম অতিবাহিত করে, সেখানে অভাব আর বঞ্চনাই একমাত্র অবলম্বন। কিন্তু তারা জানে, তাদের জীবনে যতই অপ্রাপ্তি থাকুক না কেন, কিছুতেই তাদের সেই অভাব পূরণ হবে না। তাই, নিতান্ত বাধ্য হয়েই অত্যন্ত সামান্য উপকরণের মধ্যে তারা নিজেদের তৃপ্ত রাখতে শিখে নেয়। দারিদ্র্যপীড়িত জীবনের অপ্রাপ্তি বা যন্ত্রণাকে মানিয়ে নিয়ে দিনযাপনের চেষ্টা করে।
“চলে যায় দিন আমাদের অসুখে ধারদেনাতে”-এই চলে যাওয়ার মধ্য দিয়ে জীবনের কোন্ বিশেষ তাৎপর্যের দিকে কবি ইঙ্গিত করেছেন?
উত্তর: জয় গোস্বামী তাঁর ‘নুন’ কবিতায় এক নিম্নবিত্ত পরিবারের প্রতিদিনকার কষ্টকর জীবনযাত্রার ছবি এঁকেছেন, যেখানে সাধারণ ভাতকাপড়ের সংস্থান করে কোনোক্রমে সেই পরিবারের দিন কেটে যায়। তাদের জীবনে বাহুল্য কিংবা অতিরিক্ত চাহিদার কোনো সুযোগই নেই। দুঃখেরও যেন সেখানে প্রবেশ নিষেধ,-“কী হবে দুঃখ করে?”
ধারদেনা, অসুখ এসবের মধ্য দিয়েই রচিত হয় এই নিম্নবিত্ত মানুষদের বেঁচে থাকার রোজনামচা। এখানে লক্ষণীয় যে, দিন ‘চলে যায়’ কথাটির মধ্যে ভালো থাকার কোনো ইঙ্গিত লক্ষ করা যায় না, পরিবর্তে কোনোরকমে জীবন কাটানোর যে ক্ষতবিক্ষত অভিজ্ঞতা, তাকেই ব্যক্ত করা হয়। নিম্নবিত্তের জীবনের অর্থ যে বেঁচে থাকা নয়, ‘টিকে থাকা’-সেই বাস্তব সত্যই যেন প্রকাশিত হয়েছে প্রশ্নোদ্ভূত অংশে।
“রাত্তিরে দু-ভাই মিলে টান দিই গঞ্জিকাতে”-উদ্ধৃতিটির মধ্য দিয়ে জীবনের কোন্ সত্যের প্রকাশ ঘটেছে?
উত্তর: ‘নুন’ কবিতায় কবি জয় গোস্বামী একটি নিম্নবিত্ত পরিবারের অসহায়ভাবে কোনোরকমে জীবনযুদ্ধে টিকে থাকার কাহিনি বর্ণনা করেছেন। নিতান্ত বাধ্য হয়েই এই পরিবারের লোকেরা সাধারণ ভাতকাপড়েই নিজেদেরকে সন্তুষ্ট রাখতে শিখেছে। অত্যন্ত অল্পেই খুশি হওয়া ছাড়া তাদের অন্য কোনো উপায় নেই। ধারদেনা এবং অসুখের মধ্য দিয়ে কোনোরকমে দিন কেটে যায় তাদের। কিন্তু, কখনো-কখনো তাদের এই দিনযাপনের গ্লানি বা যন্ত্রণা দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। তখন সম্পর্কের অবস্থান ভুলে নেশার মধ্যে আত্মনিমজ্জন চলে। উদ্দেশ্য, নেশায় ডুবে গিয়ে কঠোর বাস্তবতাকে অন্তত কিছুক্ষণের জন্য হলেও ভুলে থাকা।
“সব দিন হয় না বাজার;”-বাজার হয় না কেন? হলে তা কেমন হয়?
উত্তর: জয় গোস্বামী তাঁর ‘নুন’ কবিতায় নিম্নবিত্ত মানুষদের জীবনযাত্রা এবং তাদের অসহনীয় দুঃখকষ্টের বর্ণনা দিয়েছেন। হতদরিদ্র এই মানুষদের দিন অতিবাহিত হয় অসুখে এবং ধারদেনাতে। সাধারণ ভাতকাপড়ে কোনোরকমে কাটানো এই জীবনে সুখস্বাচ্ছন্দ্যের কোনো নিশ্চয়তা থাকে না। আর সে কারণেই সব দিন বাজার করাও তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না।
• কোনোরকমে অতিবাহিত জীবনে নিয়মিত বাজারের নিশ্চয়তা না থাকলেও অতিরিক্ত আয় হলে বাজার হয়ে যায় মাত্রাছাড়া। নিম্নবিত্ত মানুষদের বেহিসাবি জীবনযাপনের প্রবণতাই এখানে স্পষ্ট হয়।
এমনকি মনের মধ্যে গোপনে লালন করা সৌন্দর্যবিলাসকে চরিতার্থ করতে বাজার থেকে গোলাপচারা কিনে আনে তারা।
আরও পড়ুন – ছুটি গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর