নীলদর্পণ নাটকের নাট্যকার ও ইংরেজি অনুবাদকের নাম লেখো। নাটকটির প্রভাব উল্লেখ করো
নাট্যকার: ‘নীলদর্পণ’ নাটকের নাট্যকার হলেন দীনবন্ধু মিত্র। ইংরেজি অনুবাদক: দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীলদর্পণ’ নাটকটি, প্রাচ্য বিশারদ এবং শিক্ষাবিদ জেম্স লঙ (‘বাই এ নেটিভ’ বেনামে স্বরচিত ভূমিকা-সহ) ইংরেজিতে অনুবাদ করেন। লঙ, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ট্রায়াল কোর্টে অনুবাদকের নাম প্রকাশ করতে অস্বীকার করেছিলেন। ফলে, পরে মাইকেল মধুসূদন দত্তকে অনুবাদক হিসেবে ধরা হলে বিতর্ক রয়ে যায়।
প্রভাব: দীনবন্ধু মিত্র রচিত ‘নীলদর্পণ‘ নাটকটি নীলচাষিদের উপর নীলকর সাহেবদের অত্যাচারের নিষ্ঠুর সত্যকে প্রতিফলিত করে। বাংলার চাষিরা সেই সময় নীলকর সাহেবদের ভয়ে ভীত থাকত। নীলকর সাহেবদের বীভৎস নিষ্ঠুর অত্যাচারের বিরোধিতা করে এই নাটকটি লেখেন দীনবন্ধু। তাই বাংলার ইতিহাসে ১৮৬০ সালে রচিত ‘নীলদর্পণ’ নাটকটির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। ‘নীলদর্পণ’ তৎকালীন সাধারণ মানুষকে তাদের দুরবস্থার বিষয়ে সচেতন করেছিল।
এই নাটকের বৈপ্লবিক আদর্শ মানুষকে নীলকর সাহেবদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে উদ্বুদ্ধ করে।
‘নীলদর্পণ’ নাটকের তোরাপ, রাইচরণ, পদী ময়রানী, আদুরি এইসব চরিত্ররা বাস্তব চরিত্র। তাই কাহিনির সত্য ঘটনা পাঠককে যেমন সচেতন করেছিল তেমনই ইংরেজ শাসককেও ভীত করেছিল।
আরও পড়ুন – মানস মানচিত্র অবলম্বনে প্রবন্ধ রচনা