চৈতন্য ও চৈতন্যজীবনী
১। গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্মের প্রবর্তক ছিলেন-
(ক) চৈতন্যদেব
(খ) নিত্যানন্দ
(গ) শ্রীনিবাস আচার্য
(ঘ) বলভদ্র।
২। শ্রীচৈতন্যদেবের জন্ম হয়েছিল কবে?
(ক) ১৪৮৪ খ্রিস্টাব্দে
(খ) ১৪৮৪ খ্রিস্টাব্দে
(গ) ১৪৮৬ খ্রিস্টাব্দে
(ঘ) ১৪৮৭ খ্রিস্টাব্দে।
৩। চৈতন্যদেবের মাতার নাম হল-
(ক) বিষ্ণুপ্রিয়া
(খ) লক্ষ্মীপ্রিয়া
(গ) শচীদেবী
(ঘ) যশোদা।
৪। চৈতন্যদেব কোন্ পূর্ণিমায় জন্মগ্রহণ করেন?
(ক) বুদ্ধ
(খ) দোল
(গ) মাঘী
(ঘ) কোজাগরী।
৫। কাটোয়ায় চৈতন্যদেব যার কাছে দীক্ষা গ্রহণ করেছিলেন-
(ক) কেশবভারতী
(গ) ঈশ্বরপুরী
(খ) শ্রীনিবাস আচার্য
(ঘ) নিত্যানন্দ আচার্য।
৬। গয়ায় চৈতন্যদেব যার কাছে দীক্ষা গ্রহণ করেছিলেন –
(ক) নিত্যানন্দ আচার্য
(খ) কেশবভারতী
(গ) অদ্বৈত আচার্য
(ঘ) ঈশ্বরপুরী।
৭। চৈতন্যদেবের মৃত্যু হয়েছিল-
(ক) ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে
(খ) ১৫৩৩ খ্রিস্টাব্দে
(গ) ১৪৮৬ খ্রিস্টাব্দে
(ঘ) ১৫৮৬ খ্রিস্টাব্দে।
৮। চৈতন্যদেব প্রচার করেছিলেন-
(ক) ভক্তিধর্ম
(গ) পঞ্চরস
(খ) বাৎসল্যরস
(ঘ) কোনোটিই নয়।
৯। কাকে অবলম্বন করে বাংলা সাহিত্যে প্রথম জীবনী সাহিত্যের সূত্রপাত ঘটে?
(ক) শ্রীকৃষ্ণ
(খ) শ্রীরাধা
(গ) শ্রীচৈতন্যদেব
(ঘ) শ্রীনিবাস আচার্য।
১০। বাঙালির হিয়া অমিয় মথিয়া নিমাই ধরেছে কায়া-চৈতন্য সম্পর্কে এই উক্তিটির বক্তা হলেন-
(ক) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(খ) নজরুল ইসলাম
(গ) জীবনানন্দ দাশ
(ঘ) সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত।
১১। চৈতন্যদেবের লীলাকথার প্রকাশ ঘটেছে বৈঘ্নব পদাবলির কোন্ বিষয়ক পদগুলিতে?
(ক) অভিসার
(খ) মিলন
(গ) উৎপ্রেক্ষা
(ঘ) গৌরাঙ্গ বিষয়ক।
১২। অমৃতাভ’ কাব্যের রচয়িতা-
(ক) গিরিশচন্দ্র ঘোষ
(খ) শিশিরকুমার ঘোষ
(গ) নবীনচন্দ্র সেন
(ঘ) সমর সেন।
১৩। শিশিরকুমার ঘোষের গদ্যজীবনীগ্রন্থ হল-
(ক) শ্রীচৈতন্যলীলা
(খ) অমৃতাভ
(গ) অমিয়-নিমাই চরিত
(ঘ) জীবনচরিত।
১৪। ‘শ্রীচৈতন্যলীলা নাটকটির রচয়িতা হলেন-
(ক) গিরিশ ঘোষ
(গ) দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
(খ) অমৃতলাল বসু
(ঘ) দীনবন্ধু মিত্র।
১৫। শ্রীচৈতন্য প্রচারিত গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্মের দার্শনিক ও তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা দিয়েছেন-
(ক) সনাতন গোস্বামী
(খ) অদ্বৈত আচার্য
(গ) নিত্যানন্দ
(ঘ) শ্রীনিবাস আচার্য।
১৬। চন্ডালোহপি দ্বিজশ্রেষ্ঠ হরিভক্তি পরায়ণ-কথাটির অর্থ হল-
(ক) দ্বিজের থেকে শ্রেষ্ঠ
(খ) হরিভক্তিহীন দ্বিজের থেকে শ্রেষ্ঠ
(গ) হরিভক্ত চণ্ডাল হরিভক্তিহীন দ্বিজের থেকে শ্রেষ্ঠ
(ঘ) চণ্ডাল হরিভক্তিহীন দ্বিজের থেকে শ্রেষ্ঠ।
১৭। কালের দিক থেকে বৈষ্ণব পদাবলির ধারাকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়?
(ক) এক ভাগে
(খ) দুই ভাগে
(গ) তিন ভাগে
(ঘ) চার ভাগে।
১৮। বাংলার বৈষ্ণব পদাবলি সাহিত্যের আত্মপ্রকাশ প্রধানত কোন্ সময় ঘটে?
(ক) চতুর্দশ শতাব্দী
(খ) পঞ্চদশ শতাব্দী
(গ) ষোড়শ শতাব্দী
(ঘ) সপ্তদশ শতাব্দী।
১৯। বাংলার বৈষ্ণব পদাবলি সাহিত্যের বিস্তার ঘটে কোন্ সময়পর্ব পর্যন্ত?
(ক) চতুর্দশ শতাব্দী
(খ) পঞ্চদশ শতাব্দী
(গ) ষোড়শ শতাব্দী
(ঘ) সপ্তদশ শতাব্দী।
২০। পুরাণনির্ভর বৈষ্ণবধর্মের প্রভাব লক্ষ করা যায় কার রচনায়?
(ক) চণ্ডীদাস
(খ) জ্ঞানদাস
(গ) গোবিন্দদাস
(ঘ) যদুনন্দন।
২১। চৈতন্যদেবের আগমনের পর বৈষ্ণব পদাবলিতে যে রসপর্যায়ের সংযোজন ঘটে
(ক) নিবেদন
(খ) অভিসার
(গ) রূপানুরাগ
(ঘ) গৌরাঙ্গ বিষয়ক পদ ও গৌরচন্দ্রিকা।
২২। প্রাকৃচৈতন্য যুগের বৈষ্ণব কবিদের রচনায় গুরুত্বপূর্ণ ছিল –
(ক) বিশ্বপৃথিবী থেকে মোক্ষলাভের বাসনা
(খ) বিশুদ্ধ সাহিত্যসৃষ্টির বাসনা
(গ) রাধাপ্রেম তন্ময়তা
(ঘ) কৃয়প্রেম বিভোরতা।
২৩। চৈতন্য পরবর্তী যুগে বৈষ্ণব কবিদের রচনায় প্রধান হয়ে উঠেছিল-
(ক) সখীভাবে ভাবিত হয়ে রাধাকৃষ্ণলীলারস আস্বাদনের আকাঙ্ক্ষা
(খ) বিশুদ্ধ সাহিত্যসৃষ্টির বাসনা
(গ) বিশ্বপৃথিবী থেকে মোক্ষলাভের বাসনা
(ঘ) কৃষ্ণপ্রেম তন্ময়তা।
২৪। চৈতন্যোত্তর যুগের পদাবলিতে ঈশ্বরের প্রতি যে ভক্তি পরিলক্ষিত হয়-
(ক) জ্ঞান ভক্তি
(খ) বৈধী ভক্তি
(গ) অহৈতুকী ভক্তি
(ঘ) মধুরা ভক্তি।
২৫। প্রাচৈতন্য যুগের বৈবসাহিত্যে অভিন্ন ছিলেন –
(ক) কৃষ্ণ-বিষ্ণু-বাসুদেব
(খ) ব্রহ্মা-বিয়ু-মহেশ্বর
(গ) দুর্গা-কালী-মহামায়া
(ঘ) কূর্ম-বুদ্ধ-বরাহ।
২৬। প্রাক্চৈতন্য যুগের বৈষ্ণবধর্মে যে ভক্তিবাদ তা হল-
(ক) মধুরা ভক্তি
(খ) বৈধী ভক্তি
(গ) অহৈতুকী ভক্তি
(ঘ) জ্ঞান ভক্তি।
২৭। গৌড়ীয় বৈষ্ণবতত্ত্বের ভক্তিবাদ হল-
(ক) রাগানুগা ভক্তিবাদ
(খ) বৈধী ভক্তিবাদ
(গ) অহৈতুকী ভক্তিবাদ
(ঘ) মধুরা ভক্তিবাদ।
২৮। প্রাক্চৈতন্য যুগে কৃষ্ণের মাধুর্যভাবের সঙ্গে যে ভাবের মিশ্রণ ছিল-
(ক) রৌদ্রভাব
(খ) প্রেমভাব
(গ) ঐশ্বর্যভাব
(ঘ) বাৎসল্যভাব।
২৯। মুরারি গুপ্তের কড়চা যার লেখা-
(ক) মুরারি সেন
(খ) মুরারি গুপ্ত
(গ) মুরারি দত্ত
(ঘ) মুরারি শীল।
৩০। ‘চৈতন্যমঙ্গল কাব্য রচনা করেন-
(ক) বৃন্দাবনদাস
(খ) লোচনদাস
(গ) চণ্ডীদাস
(ঘ) বলরামদাস।
৩১। চৈতন্যলীলার ব্যাস’ হলেন-
(ক) বৃন্দাবনদাস
(খ) গোবিন্দদাস
(গ) বলরামদাস
(ঘ) চণ্ডীদাস।
৩২। চৈতন্যভাগবতের –
(ক) দুটি খণ্ড, একান্নটি অধ্যায়
(খ) চারটি খণ্ড, বাহান্নটি অধ্যায়
(গ) তিনটি খণ্ড, একান্নটি অধ্যায়
(ঘ) দুটি খণ্ড, বাহান্নটি অধ্যায়।
৩৩। ‘গৌরাঙ্গবিজয় লিখেছেন –
(ক) জয়ানন্দ
(খ) বৃন্দাবনদাস
(গ) চূড়ামণি দাস
(ঘ) প্রেমদাস।
৩৪। নরহরি সরকারের সুযোগ্য শিষ্য হলেন-
(ক) লোচনদাস
(খ) ধর্মদাস
(গ) বিপ্রদাস
(ঘ) কৃষ্ণদাস।
৩৫। গৌরাঙ্গবিজয়’ গ্রন্থটির অপর নাম
(ক) কৃষ্ণমঙ্গল
(খ) ভুবনমঙ্গল
(গ) চৈতন্যমঙ্গল
(ঘ) শ্রীকৃয়বিজয়।
আরও পড়ুন – ধর্ম ও কুসংস্কার রচনা