ঊনবিংশ শতকের মহিলা কবিদের অবদান সম্বন্ধে আলোচনা করো

ঊনবিংশ শতকের মহিলা কবিদের অবদান সম্বন্ধে আলোচনা করো

ঊনবিংশ শতকের মহিলা কবিদের অবদান সম্বন্ধে আলোচনা করো
ঊনবিংশ শতকের মহিলা কবিদের অবদান সম্বন্ধে আলোচনা করো

মহিলা কবি

আধুনিক যুগের সূচনায় বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের জগতে যেমন নতুন চিন্তার সূত্রপাত হয়েছিল তেমনই বাংলা সাহিত্য বেশ কয়েকজন মনস্বী নারীকে লাভ করেছিল। এই অসামান্য নারীদের মধ্যে সর্বপ্রথম উল্লেখযোগ্য হলেন গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী। এ ছাড়াও ছিলেন কামিনী রায়, মানকুমারী বসু, স্বর্ণকুমারী দেবী প্রমুখ মহিলা কবি।

গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী

বাড়ির পরিচিত মহলের মধ্যেই শিক্ষার্জন এবং ব্যক্তিগত জীবনের শোক, জ্বালা, দুঃখযন্ত্রণা থেকেই গিরীন্দ্রমোহিনী দাসীর কাব্যরচনার সূত্রপাত। বৈধব্য জীবন, পুত্রকন্যা পরিবেষ্টিত ঘরোয়া জীবনের ছবিই তাঁর কবিতায় দেখা যায়। তাঁর রচিত কাব্যগুলি হল- ‘ভারত-কুসুম’ (১৮৮২), ‘অশ্রুকণা’ (১৮৮৭), ‘আভাস’ (১৮৯০), ‘অর্ঘ্য’ (১৯০২) ইত্যাদি।

কামিনী রায়

মহিলা কবিদের মধ্যে সর্বাধিক পরিচিত ও সর্বশ্রেষ্ঠ কবি কামিনী রায়। ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত ও রবীন্দ্র পরিমণ্ডলের মধ্যে থেকেও নিজস্ব বৈশিষ্ট্যে তিনি ছিলেন স্বতন্ত্র। তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা-‘আলো ও ছায়া’ (১৮৮৯), ‘মাল্যনির্মাল্য’ (১৯১৩), ‘অশোক সঙ্গীত’ (১৯১৪), ‘দীপ ও
ধূপ’ (১৯২৯)।

মানকুমারী বসু

মানকুমারী বসু ছিলেন গিরীন্দ্রমোহিনী দাসীর কাব্যধারায় অনুপ্রাণিত। মধুসূদনের ভ্রাতুষ্পুত্রী মানকুমারী বসু রচিত ‘প্রিয়প্রসঙ্গ’ (১৮৮৪), ‘কাব্যকুসুমাঞ্জলি’ (১৮৯৩), ‘বীরকুমারবধ কাব্য’ (১৯০৪) ইত্যাদি কাব্যগুলি বাংলা সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য সম্পদ।

স্বর্ণকুমারী দেবী

রবীন্দ্রনাথের জ্যেষ্ঠা ভগিনী স্বর্ণকুমারী দেবীর সাহিত্যপ্রতিভা বিকশিত হয়েছিল ঠাকুরবাড়ির পরিমন্ডলে। তাঁর কাব্যরচনায় অক্ষয়চন্দ্র চৌধুরী ও বিহারীলালের প্রভাব সুস্পষ্ট। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলি হল-‘গাথা’ (১৮৯০), ‘কবিতা ও গান’ (১৮৯৫) প্রভৃতি। তাঁর ‘গাথা’ কাব্যে চারটি কবিতা সংকলিত হয়েছিল।

আরও পড়ুন – বই কেনা প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর

একাদশ শ্রেণির কলা বিভাগের যে কোনো প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন। কোনো উত্তর না পেলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানান।

Leave a Comment