আধুনিক বাংলা কাব্যে সমর সেনের অবদান লেখো

আধুনিক বাংলা কাব্যে সমর সেনের অবদান লেখো

আধুনিক বাংলা কাব্যে সমর সেনের অবদান লেখো
আধুনিক বাংলা কাব্যে সমর সেনের অবদান লেখো

ভূমিকা: নাগরিক কবি সমর সেন (১৯১৬-১৯৮৭) আধুনিক বাংলা কবিতার জগতে এক স্বতন্ত্র পথের পথিক। ভালো না লাগার ক্লান্তি ও বিরক্তিবোধ থেকে তাঁর কবিতার উৎপত্তি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধোত্তর পৃথিবীর যন্ত্রণা ও সংশয় তাঁর কবিতায় ফুটে উঠেছে।

কাব্যগ্রন্থসমূহ: ‘কবিতা’ পত্রিকায় তাঁর কবিতা প্রথম প্রকাশিত হয়। কবির লেখা কাব্যগুলি হল- ‘কয়েকটি কবিতা’ (১৯৩৭), ‘গ্রহণ’ (১৯৪০), ‘নানাকথা’ (১৯৪২), ‘তিনপুরুষ’ (১৯৪৪)।

কবিতা আলোচনা: সমর সেনের কবিতায় সবথেকে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে শহুরে জীবন অর্থাৎ নাগরিক জীবনের দুঃখদুর্দশা, যন্ত্রণা, অসহায়তার কথা।

যান্ত্রিক সভ্যতা মানুষের সাময়িক স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যবস্থা করলেও তা যে চিরস্থায়ী যন্ত্রণার পথ তৈরি করছে, সেটি তাঁর কাব্যে বারবার ফুটে উঠেছে-

"বাতাসে ফুলের গন্ধ 
আর কিসের হাহাকার।"

প্রেম সম্পর্কে তিনি ছিলেন জৈবিক। তবে রবীন্দ্রভাবনাকে তিনি তাঁর কাব্যে বারবার ভেঙেছেন বিপরীত শব্দের আঘাতে—

"এখানে কি কোনদিন বসন্ত নামবে 
সবুজ উদ্দাম বসন্ত।”

কাব্যবৈশিষ্ট্য: শহুরে জীবনের ব্যস্ততা, স্বাচ্ছন্দ্য, যন্ত্রণার ছবি ফুটে উঠেছে সমর সেনের কবিতায়। তাঁর কাব্যে ক্ষণবাদী প্রেম গুরুত্ব পেয়েছে। সমকালীন নানান সমস্যা ফুটে উঠেছে তাঁর কবিতায়।

মূল্যায়ন: সমকালীন জীবনের দুঃখযন্ত্রণাকে তিনি কবিতার ভাষায় তুলে ধরে নিজস্ব ছন্দ ও ভাষার প্রয়োগে যে পথ তৈরি করেছিলেন, বাংলা কবিতায় তা উত্তর কবিদের সমৃদ্ধ করেছিল।

আরও পড়ুন – নুন কবিতার নামকরণের সার্থকতা

একাদশ শ্রেণির কলা বিভাগের যে কোনো প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন। কোনো উত্তর না পেলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানান।

Leave a Comment