আধুনিক বাংলা কাব্যধারায় নজরুল ইসলামের ভূমিকা আলোচনা করো

আধুনিক বাংলা কাব্যধারায় নজরুল ইসলামের ভূমিকা আলোচনা করো

আধুনিক বাংলা কাব্যধারায় নজরুল ইসলামের ভূমিকা আলোচনা করো
আধুনিক বাংলা কাব্যধারায় নজরুল ইসলামের ভূমিকা আলোচনা করো

ভূমিকা: রবীন্দ্রকাব্য থেকে রসাস্বাদন করে বাংলা সাহিত্যে নিজ স্থান সুনির্দিষ্ট করেছেন রবীন্দ্র স্নেহধন্য কবি কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৮- ১৯৭৬)।

কবির প্রকাশ: নজরুল গ্রাম্য কবি হওয়ায় তাঁর উপর সমসাময়িক কবিদের সাহিত্যধারা এমনকি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রভাবও সূচনা পর্বে বিশেষভাবে পড়েনি। শিশুকালে লেটোগানের দলে তাঁর কবিত্বের সূচনা ঘটে। তারপর তিনি দরিদ্র জীবনের বিভিন্ন বাস্তব অভিজ্ঞতাকেই কবিত্বশক্তির মাধ্যমে সাহিত্যে রূপ দেন। ১৯১৯ সালে তাঁর প্রথম কবিতা ‘মুক্তি’ প্রকাশিত হয়। তবে ১৯২১ সালে ‘বিজলী’ পত্রিকায় প্রকাশিত ‘বিদ্রোহী’ কবিতার মধ্য দিয়েই বাংলার সাহিত্যজগতে কবির সোচ্চার প্রবেশ ঘটে।

পত্রিকা সম্পাদনা: নজরুল ‘ধূমকেতু’ ও ‘লাঙল’ নামে দুটি পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। এই সময়ে আশীর্বাদস্বরূপ কবিগুরুর স্নেহ লাভ করেছেন তিনি। নবীন প্রাণের বাণীবাহক নজরুলের প্রতি রবীন্দ্রনাথের প্রশ্রয় ছিল যথেষ্ট।

রচনাসমূহ: তাঁর রচিত কাব্যগুলি হল- ‘অগ্নিবীণা’ (১৯২২), ‘বিষের বাঁশী’ (১৯২৪), ‘সাম্যবাদী’ (১৯২৫), ‘সর্বহারা’ (১৯২৬), ‘ফণি-মনসা’ (১৯২৭) ইত্যাদি। নজরুলের অসামান্য কৃতিত্ব তাঁর সংগীত। তাঁর উল্লেখযোগ্য সংগীতগ্রন্থগুলি হল- ‘দোলনচাঁপা’ (১৯২৩), ‘ছায়ানট’ (১৯২৫), ‘পূবের হাওয়া’, ‘সিন্ধু হিন্দোল’ (১৯২৮), ‘চক্রবাক’ (১৯২৭) ইত্যাদি।

মূলসুর: কবিতায়, গানে তিনি যেমন কখনও অহিংসবাদী নাস্তিক, আবার কখনও তিনি সশস্ত্র সংগ্রামের বার্তাবাহক, চূড়ান্ত আস্তিক। তিনি বাঁধভাঙা জীবনের কবি। কবিতায় আরবি-ফারসি শব্দবাহুল্যের পাশাপাশি হিন্দু দেবদেবীর নামের উল্লেখ রয়েছে সর্বত্রই। নজরুল-ই বাংলা সাহিত্যের এমন একজন কবি, যিনি হিন্দু-মুসলিমের ঐক্যের বাণীকে বীজমন্ত্র হিসেবে গ্রহণ করে ধর্মের ঊর্ধ্বে গিয়ে সাম্যের জয়গান গেয়েছেন। তাঁর কবিতাতেই প্রথম স্পষ্টভাবে স্বাধীনতাকামী রাজনৈতিক চেতনার সঙ্গে রোমান্টিকতার প্রকাশ ঘটেছে।

আরও পড়ুন – নুন কবিতার নামকরণের সার্থকতা

একাদশ শ্রেণির কলা বিভাগের যে কোনো প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন। কোনো উত্তর না পেলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানান।

Leave a Comment