The Ghost-Brahman Question Answer (Marks 5) | XI WBCHSE 2nd Semester

সূচিপত্র

The Ghost-Brahman Question Answer (Marks 5) | XI WBCHSE 2nd Semester

The Ghost-Brahman Question Answer
The Ghost-Brahman Question Answer

1. What problem did the poor Brahman consider to be ‘the hardest thing in the world’? Why did he think so? How did he overcome the problem? [দরিদ্র ব্রাহ্মণ কোন্ সমস্যাটিকে ‘পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন জিনিস’ বলে মনে করত? কেন সে এমন মনে করত? সে কীভাবে সমস্যাটি কাটিয়ে ওঠে?]

Ans. In ‘The Ghost-Brahman’, the poor Brahman found it ‘the hardest thing in the world’ to get married.

> The poor Brahman held his social position and financial condition responsible for the problem. He found it difficult to marry because he had neither the social prestige of a ‘kulin’ (i.e. the status of belonging to the highest social hierarchy) nor enough money.

> To overcome the problem, he went to the rich people and begged them to give him money to get married. At that time, a large sum of money was needed to give dowry to the parents of the bride and to meet the expenses of the wedding. He begged from door to door, flattered rich people and thereby managed to get enough money to get married.

[‘The Ghost-Brahman’ নামক লোককথায় দরিদ্র ব্রাহ্মণ বিয়ে করাকে ‘পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজ’ বলে মনে করত।

দরিদ্র ব্রাহ্মণ তার সামাজিক এবং আর্থিক অবস্থাকে এই সমস্যার জন্য দায়ী করে। সে বিয়ে করা কঠিন বলে মনে করত কারণ তার না ছিল একটি কুলীনের মতো সামাজিক প্রতিপত্তি (অর্থাৎ সামাজিক শ্রেণিবিন্যাসের শীর্ষ মর্যাদা), না ছিল পর্যাপ্ত অর্থ।

এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠার জন্য সে ধনী লোকদের কাছে যায় এবং নিজের বিয়ের জন্য ভিক্ষা করে। সে সময় কনের বাবা-মাকে যৌতুক দিতে এবং বিয়ের খরচ মেটাতে মোটা অঙ্কের টাকার প্রয়োজন হত। সে দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করে, ধনী লোকদের তোষামোদ করে বিয়ে করার জন্য পর্যাপ্ত টাকা জোগাড় করে।]

2. What problem did the poor Brahman face immediately after his marriage? How did he want to solve the problem? [দরিদ্র ব্রাহ্মণ তার বিয়ের পরপরই কী সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল? সে কীভাবে সমস্যার সমাধান করতে চেয়েছিল?]

Ans. Immediately after his marriage, the poor Brahman found it extremely difficult to maintain his family as he had no means to support his mother and wife.

> He thought of a plan to solve his problem. He told his mother that he must go to far-off countries to earn money by any means. Only after accumulating a good sum would he return home. He wanted to hand over whatever money he had to his mother to maintain the family. On receiving his mother’s blessings, he left home.

[বিয়ের পরপরই দরিদ্র ব্রাহ্মণ দেখে যে তার পক্ষে সংসার চালানো অত্যন্ত কঠিন কারণ মা এবং স্ত্রীর ভরণ-পোষণ করার কোনো উপায় তার কাছে ছিল না।

সে তার সমস্যা সমাধানের জন্য একটি পরিকল্পনার কথা ভাবল। সে তার মাকে বলল যে তাকে যে-কোনো উপায়ে অর্থ উপার্জনের জন্য দূর দেশে যেতে হবে। যতদিন না সে ভালো পরিমাণ টাকা জমা করছে, ততদিন সে বাড়ি ফিরবে না। সংসার সামলানোর জন্য তার যা কিছু ছিল, তার সবটাই সে মায়ের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল। মায়ের আশীর্বাদ পেয়ে সে বাড়ি থেকে বের হয়।]

3. Why did the poor Brahman leave home for a long time? What did the ghost-Brahman do while he left home for a long time? How did the Brahman’s wife and mother react to the arrival of the ghost-Brahman? [দরিদ্র ব্রাহ্মণ দীর্ঘদিনের জন্য বাড়ি ছেড়ে চলে গেল কেন? সে বহুদিনের জন্য ঘর ছেড়ে চলে গেলে ভূত-ব্রাহ্মণ কী করল? ভূত-ব্রাহ্মণের আগমনে ব্রাহ্মণের স্ত্রী ও মায়ের প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল?]

Ans. The poor Brahman left home for a long time to earn a good sum to maintain his family.

> In the evening of the same day of the Brahman’s departure, a ghost, assuming the appearance of the Brahman, entered the house and took charge. As the ghost was exactly like the Brahman, no one doubted his identity. Even neighbours thought that the Brahman had returned from his travels.

> The Brahman’s newly married wife took the ghost- Brahman to be her real husband. Taken aback by his return, she only asked the ghost why he had changed his mind and returned so soon. The ghost replied that that day was not a lucky one and that he had already got hold of some money. The mother too did not doubt the identity of the ghost-Brahman.

[দরিদ্র ব্রাহ্মণ সংসার চালাতে একটি মোটা অঙ্কের অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে দীর্ঘদিনের জন্য বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিল।

ব্রাহ্মণের প্রস্থানের দিন সন্ধ্যায় একটি ভূত, ব্রাহ্মণের রূপ ধারণ করে বাড়িতে প্রবেশ করে এবং সমস্ত দায়িত্ব নিয়ে নেয়। যেহেতু ভূতটি অবিকল দরিদ্র ব্রাহ্মণের মতো ছিল, কেউ তাকে সন্দেহ করেনি। এমনকি প্রতিবেশীরাও ভেবেছিল ব্রাহ্মণ তার ভ্রমণ শেষে ফিরে এসেছে।

ব্রাহ্মণের সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী ভূত-ব্রাহ্মণকে তার প্রকৃত স্বামীই ভেবেছিল। তার প্রত্যাবর্তনে হতবাক হয়ে সে কেবল ভূতকে জিজ্ঞাসা করেছিল কেন সে তার মন পরিবর্তন করল এবং এত তাড়াতাড়ি ফিরে এল। উত্তরে ভূত বলেছিল যে সেই দিনটি তার জন্য সৌভাগ্যজনক নয় এবং সে ইতিমধ্যেই কিছু টাকা পেয়ে গেছে। তার মাও ভূত-ব্রাহ্মণকে সন্দেহ করেননি।]

4. What problem did the Brahman face on returning from his travels? What was his initial reaction? What did he decide to do for justice? [ব্রাহ্মণ ভ্রমণ থেকে ফিরে কোন্ সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল? তার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া কী ছিল? সে ন্যায়বিচারের জন্য কী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল?]

Ans. Upon returning from his travels, the Brahman was surprised to find a lookalike of himself in the house. It was atually a ghost who had taken on the form of that Brahman. Both got involved in an altercation. The ghost claimed the rights over everything-the house, his wife and his mother. Saying that the Brahman’s head had been turned, the ghost drove the real Brahman away from his own house.

> Initially, the Brahman was surprised to see the ghost- Brahman, who was exactly like him. After being driven away, he became mute with wonder.

> Overcoming his shock, the Brahman decided to go to the court of the king and appeal for justice.

[ভ্রমণ থেকে ফিরে ব্রাহ্মণ দেখে তার বাড়িতে তার মতোই দেখতে একজন রয়েছে। সে ছিল ওই ব্রাহ্মণরূপী এক ভূত। দুজনে বাবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। ভূত বাড়ি, তার স্ত্রী এবং তার মা- সব কিছুর উপর তার অধিকার দাবি করে। ব্রাহ্মণের মাথায় গণ্ডগোল আছে এই বলে ভূত প্রকৃত ব্রাহ্মণকে তার নিজের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।

ব্রাহ্মণ তার মতোই দেখতে ভূত-ব্রাহ্মণকে দেখে প্রথমে হতভম্ব হয়ে গিয়েছিল। তাড়িয়ে দেওয়ায় সে বিস্ময়ে নির্বাক হয়ে গিয়েছিল।

এই ধাক্কাটি কাটিয়ে ব্রাহ্মণ রাজার দরবারে যাওয়ার এবং ন্যায়বিচারের জন্য আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।]

5. Why did the Brahman go the court of the king? What did the king do? Who ultimately solved the problem? [ব্রাহ্মণ কেন রাজার দরবারে গেল? রাজা কি করলেন? শেষ পর্যন্ত কে সমস্যার সমাধান করে?]

Ans. After some years of travel in distant countries, the Brahman returned home and was utterly surprised to find another like him in his place. He was driven out of his own house. So he went to the court of the king to regain his rights.

> The Brahman and the ghost’s identical appearance confused the king and he could not decide the quarrel. Every day, he would ask the Brahman to come to the court the next day. But all was in vain. The Brahman returned from the palace weeping and striking his forehead with the palm of his hand daily.

> The neat-herd king ultimately solved the problem.

[কয়েক বছর দূরদেশে ভ্রমণের পর ব্রাহ্মণ বাড়ি ফিরে আসে এবং তার জায়গায় তার মতনই আর-একজনকে দেখে একেবারে অবাক হয়ে যায়। তাকে তার নিজের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। তাই সে তার হারানো অধিকার ফিরে পেতে রাজার দরবারে যায়।

ব্রাহ্মণ ও ভূতের একই চেহারা দেখে রাজা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন এবং বিবাদের মীমাংসা করতে পারেন না। প্রতিদিন তিনি ব্রাহ্মণকে তার পরের দিন দরবারে আসতে বলতেন। কিন্তু সবই বৃথা হয়ে যায়। ব্রাহ্মণকে রোজ কাঁদতে কাঁদতে এবং হাতের তালু দিয়ে কপাল চাপড়াতে চাপড়াতে প্রাসাদ থেকে ফিরতে হত। শেষ পর্যন্ত রাখাল-রাজা সমস্যার সমাধান করে।]

6. How did the neat-herd king solve the case of the Brahman? [কীভাবে রাখাল-রাজা ব্রাহ্মণের সমস্যার সমাধান করে?]

Or, What role does the neat-herd king play in solving the identity crisis in the tale ‘The Ghost-Brahman’? [‘The Ghost-Brahman’ গল্পে পরিচয় সংকট সমাধানে রাখাল-রাজা কী ভূমিকা পালন করে?]

Or, How did the complication arising out of mistaken identity get resolved? [ভুল পরিচয় থেকে উদ্ভূত জটিলতার সমাধান হল কীভাবে?]

Or, How was the identity of the real Brahman established? [আসল ব্রাহ্মণের পরিচয় কীভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?]

Ans. When the Brahman returned home from his travels, he found that another like him had become the owner of the house. He was driven away from his own house. This misfortune made him mute with wonder. He went to the king’s court but the king failed to give him justice. One day, while he was returning from the court in tears, he was stopped by a constable and brought to the neat-herd king. The neat-herd king enquired of his misfortune, listened to his problem and assured to give him back his rights. He advised the Brahman to go to the king to seek his permission in favour of the neat-herd king deciding the case. As the case had greatly puzzled the king, he granted permission. The next morning was fixed for the trial. The neat-herd king showed them a phial and told them whichever of them would enter the phial would be declared the rightful owner of the house. The Brahman did not like the process. So, he raised questions regarding the intellectual ability of the neat-herd king. But the ghost made himself into a small creature and entered into the phial. The neat-herd king immediately corked up the phial so that the ghost could not get out. This is how the neat-herd king played the most significant role in establishing the identity of the Brahman and thereby helping him regain his rights. He then advised the Brahman to throw the phial into the bottom of the sea and to take possession of his house, wife and mother. Complying with the advice, the Brahman lived the rest of his life happily.

[ব্রাহ্মণ যখন ভ্রমণ সেরে বাড়ি ফেরে, তখন সে দেখতে পায় যে তার মতো দেখতে আর-একজন এখন বাড়ির মালিক হয়েছে। তাকে তার নিজ বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এই দুর্ভাগ্য তাকে বিস্ময়ে নির্বাক করে ফেলে। সে রাজার দরবারে গেলেও রাজা তাকে সুবিচার দিতে ব্যর্থ হন। একদিন সে যখন দরবার থেকে অশ্রুসিক্ত হয়ে ফিরছিল, তখন একজন পেয়াদা তাকে থামিয়ে রাখাল-রাজার কাছে নিয়ে আসে। রাখাল-রাজা তার দুর্ভাগ্যের খোঁজখবর নেয়, তার সমস্যার কথা শোনে এবং তাকে তার অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেয়। সে ব্রাহ্মণকে রাজার কাছে গিয়ে রাখাল-রাজা যাতে মামলাটির ফয়সালা করতে পারে, তার অনুমতির চাওয়ার পরামর্শ দেয়। মামলাটি রাজাকে ব্যাপকভাবে বিভ্রান্ত করেছিল বলে তিনি অনুমতি দিয়ে দেন। পরদিন সকালবেলা শুনানির জন্য ধার্য করা হয়। রাখাল-রাজা তাদের একটি ছোট্ট শিশি দেখিয়ে বলে তাদের মধ্যে যে শিশিটিতে প্রবেশ করবে তাকে বাড়ির ন্যায্য মালিক ঘোষণা করা হবে। ব্রাহ্মণ প্রক্রিয়াটি পছন্দ করেনি। তাই সে রাখাল-রাজার বৌদ্ধিক ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। কিন্তু ভূত ছোট্ট আকার ধারণ করে শিশিতে ঢুকে পড়ে। রাখাল-রাজা সঙ্গে সঙ্গে শিশিটির ছিপি এঁটে দেয় যাতে ভূত আর বেরোতে না পারে। এভাবেই রাখাল-রাজা ব্রাহ্মণের পরিচয় প্রতিষ্ঠায় এবং তার অধিকার পুনরুদ্ধারে তাকে সাহায্য করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এরপর সে ব্রাহ্মণকে পরামর্শ দেয় শিশিটিকে সমুদ্রের তলদেশে ফেলে দিতে এবং তার বাড়ি, স্ত্রী ও মায়ের দখল নিতে। উপদেশ মেনে ব্রাহ্মণ তার বাকি জীবনটা সুখে- স্বাচ্ছন্দ্যে কাটায়।]

7. What is irony? What role does it play in the development of the story, ‘The Ghost-Brahman’? [পরিহাস কী? ‘The Ghost-Brahman’ গল্পের বিকাশে পরিহাস কী ভূমিকা পালন করে?]

Ans. Irony is a contradiction (or incongruity) between appearance (or expectation) and reality. In irony, the actual intent expressed in words carry the opposite meaning. This disparity may be manifested in different ways.

> Irony plays a significant role in moulding every turn and twist of the story. At the beginning of the story, the main character is introduced as a poor Brahman who is not a ‘Kulin’ (i.e. of high rank). This status poverty and lower social position made him realize that the most difficult thing in the world is to get married. It is ironic that he manages to collect the money required for getting married by begging. When he reaches his goal and brings his wife home to his mother, he finds it difficult to support the family. It is ironic that the fulfillment of one expectation leads him to the other and he has to go through trials and tribulations as a consequence of his expectations. At a critical juncture of life, the Brahman loses everything in his attempt to gain worldly happiness. In utter helplessness, the Brahman goes to the court of the king for justice but gets no result. It is ironic that solving the identity problem is like a puzzle to the king but an easy deal for the neat-herd king. While the neat-herd king tells both the Brahman and his identical rival that whichever of them would enter into the phial would be declared the rightful owner of the house, the Brahman criticizes the neat-herd king and questions his intellectual power. However, such is the irony of the situation that the Brahman only regains his rights to his house, wife, and mother because of the neat-herd king’s intellectual ability. In fact, irony is the soul of this tale.

[পরিহাস হল বাহ্যিক প্রকাশ (বা প্রত্যাশা) এবং বাস্তবতার মধ্যে একটি দ্বন্দ্ব (বা অসঙ্গতি)। পরিহাসের ক্ষেত্রে শব্দে প্রকাশিত প্রকৃত অভিপ্রায়টি বিপরীত অর্থ বহন করে। এই বৈষম্য বিভিন্নভাবে প্রকাশিত হতে পারে।

গল্পের প্রতিটি মোচড়ে পরিহাস একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গল্পের শুরুতে প্রধান চরিত্রটিকে কুলীন (অর্থাৎ উচ্চপদের) নয় এমন একজন দরিদ্র ব্রাহ্মণ হিসেবে পরিচয় করানো হয়েছে। এই পরিস্থিতি-দারিদ্র এবং নিম্ন সামাজিক অবস্থান-তাকে দিয়ে উপলব্ধি করিয়েছিল যে বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন জিনিস হল বিয়ে করা। এটা পরিহাস যে সে ভিক্ষা করে বিয়ে করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ জোগাড় করে। যখন সে তার অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছোয় এবং তার স্ত্রীকে বাড়িতে তার মায়ের কাছে নিয়ে আসে, তখন তার কাছে পরিবারের ভরণপোষণ করাটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এটা পরিহাস যে একটি প্রত্যাশার পরিপূর্ণতা তাকে অন্যটির দিকে নিয়ে যায় এবং তার প্রত্যাশার ফলস্বরূপ তাকে পরীক্ষা এবং ক্লেশের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। জীবনের এক সংকটময় মুহূর্তে ব্রাহ্মণ পার্থিব সুখ লাভের চেষ্টায় তার সর্বস্ব হারায়। নিরুপায় হয়ে ব্রাহ্মণ বিচারের জন্য রাজার দরবারে গেলেও কোনো ফল হয় না। এটা ব্যঙ্গাত্মক যে পরিচয়ের সমস্যাটি রাজার জন্য একটি ধাঁধাঁ হয়ে দাঁড়ায় কিন্তু রাখাল-রাজার জন্য এটি একটি সহজ কাজ ছিল। যখন রাখাল-রাজা ব্রাহ্মণ এবং ঠিক তারই মতো দেখতে প্রতিদ্বন্দ্বী উভয়কেই বলেছিল যে তাদের মধ্যে যে শিশিতে প্রবেশ করবে সে-ই বাড়ির সঠিক মালিক ঘোষিত হবে, তখন ব্রাহ্মণ রাখাল-রাজার সমালোচনা করে এবং তার বৌদ্ধিক ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। কিন্তু পরিস্থিতির পরিহাস এই যে, রাখাল-রাজার বৌদ্ধিক ক্ষমতার কারণেই ব্রাহ্মণ তার বাড়ি, স্ত্রী এবং মায়ের উপর তার অধিকার ফিরে পায়। আসলে, পরিহাসই এই গল্পটির প্রাণ।]

8. How far does the story maintain the basic principles of storytelling? [গল্পটি গল্প বলার মূল নীতি কতদূর বজায় রাখে?]

Ans. The folktale ‘The Ghost-Brahman‘ follows the basic principles of storytelling and serves its purpose. It has a simple narrative, typical of storytelling. It has a beginning, a middle and an end. It begins in a fantasy time: “Once on a time there lived…”. The place of the setting is left to the imaginative faculty of the listeners or the readers. In the first part, the tale introduces the setting, the main character and his problem. In the middle, the action of the story takes a new turn with the entry of the ghost- Brahman and becomes complicated with the return of the Brahman from his travels. The situation becomes so puzzling that even the king of the country fails to identify the rightful owner. The whole action rises and reaches its climax in the trial scene when the neat-herd king handles the situation very intelligently and tempts the ghost to enter the phial only to be captured by corking the phial. The story presents the conflict between good and evil and through the victory of good over evil, imparts a moral lesson. The ending of the story is also typical of any folktale: “The Brahman did so, and lived happily for many years and begat sons and daughters”. The end does not end there but incorporates the tradition of the ending of a Bengali folktale:

Here my story endeth,

The Natiya-thorn withereth, etc.

The straightforward narrative, typical setting, introduction of a ghost, arrangement of events in order of time- sequence, representation of the conflict between good and evil, simplicity in dramatic structure and language, typical beginning and happy ending, and lucidity in style and diction make ‘The Ghost-Brahman’ an excellent specimen of folktale.

[‘The Ghost-Brahman’ লোককাহিনিটি গল্প বলার মূল নীতিগুলি অনুসরণ এবং যথাযথ উদ্দেশ্য পূরণ করে। এই গল্পটিতে গল্প বলার সাদামাটা ধরনটি রয়েছে। এর সূচনা, মধ্যভাগ এবং সমাপ্তি রয়েছে। এটি একটি কাল্পনিক সময়ে শুরু হয়: “একসময় সেখানে বাস করত…”। গল্পের স্থান-কাল শ্রোতা বা পাঠকদের কল্পনাশক্তির উপর ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রথম অংশ গল্পটির পটভূমি, প্রধান চরিত্র এবং তার সমস্যা উপস্থাপন করে। মধ্যভাগে ব্রাহ্মণ-ভূতের প্রবেশের সাথে সাথেই গল্পের ঘটনাক্রম একটি নতুন মোড় নেয় এবং ব্রাহ্মণের ভ্রমণ থেকে ফিরে আসা নিয়ে জটিল হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি এতটাই বিভ্রান্তিকর হয়ে ওঠে যে রাজাও সঠিক মালিককে শনাক্ত করতে ব্যর্থ হন। পুরো ঘটনাক্রম ঊর্ধ্বমুখী হয় এবং বিচারের দৃশ্যে তার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায় যখন রাখাল-রাজা পরিস্থিতিটি অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সাথে পরিচালনা করে ভূতকে শিশিতে প্রবেশ করতে প্রলুব্ধ করে, শুধুমাত্র শিশির মুখটা আটকে তাকে বন্দি করার জন্য। গল্পটি ভালো এবং মন্দের মধ্যে দ্বন্দ্ব উপস্থাপন করে এবং মন্দের উপর ভালোর জয়ের মাধ্যমে নৈতিক শিক্ষা দেয়। গল্পের সমাপ্তিও যে-কোনো লোককাহিনির মতনই: “ব্রাহ্মণ তাই করেছিল, এবং বহু বছর ধরে সুখে- স্বাচ্ছন্দে বেঁচে অনেক পুত্র-কন্যার পিতা হয়েছিল”। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। গল্পটিতে বাঙালি লোককথার সমাপ্তির ঐতিহ্যকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে:

আমার কথাটি ফুরোল, নটে গাছটি মুড়োল।

সরল আখ্যান, প্রচলিত পটভূমি বিন্যাস, ভূতের ব্যবহার, সময়ের ক্রমানুসারে ঘটনার বিন্যাস, ভালো এবং মন্দের মধ্যে দ্বন্দ্বের উপস্থাপনা, নাটকীয় কাঠামো এবং ভাষার সরলতা, প্রচলিত সূচনা ও সুখী সমাপ্তি এবং শৈলী ও শব্দচয়নের স্পষ্টতা গল্পটিকে লোককথার একটি চমৎকার নিদর্শন করে তোলে।]

Also Read – The Garden Party questions and answers

একাদশ শ্রেণির কলা বিভাগের যে কোনো প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন। কোনো উত্তর না পেলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানান।

Leave a Comment