ত্রিবিক্রমভট্ট রচিত “আর্যাবর্তবর্ণম্” পাঠ্যাংশে আর্যাবর্ত ও স্বর্গের যে তুলনা করা হয়েছে তা আলোচনা করো

ত্রিবিক্রমভট্ট রচিত “আর্যাবর্তবর্ণম্” পাঠ্যাংশে আর্যাবর্ত ও স্বর্গের যে তুলনা করা হয়েছে তা আলোচনা করো

ত্রিবিক্রমভট্ট রচিত
ত্রিবিক্রমভট্ট রচিত “আর্যাবর্তবর্ণম্” পাঠ্যাংশে আর্যাবর্ত ও স্বর্গের যে তুলনা করা হয়েছে তা আলোচনা করো

ত্রিবিক্রমভট্ট হিমালয় সমন্বিত পুণ্যদেশ আর্যাবর্তের সঙ্গে স্বর্গের তুলনা করেছেন।

স্বর্গের মতো উপভোগ্য স্থান

ভারতবর্ষে আর্যাবর্ত নামে এক দেশ আছে। এই দেশ সমস্ত পৃথিবীর ভোগ্যবস্তুর উপস্থিতিতে, উজ্জ্বল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে এবং শান্তির ক্ষেত্রে যেন স্বর্গের শান্তিকে হার মানায়- “সমানঃ সেব্যতয়া নাকলোকস্য।” প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, গ্রাম-নগরের শোভা, কুল-ললনাদের সতীব্রতা, ধর্মের ও কর্মের আশ্রয়, সৎপুরুষ ও গুরুকুল দ্বারা পরিচালিত হওয়ায় এই দেশে অবস্থানের সুখ স্বর্গসুখকেও হার মানায়। এখানকার প্রজারা সর্বদা প্রসন্নচিত্ত। তাদের সম্পদ দিনে দিনে বৃদ্ধি পায়। তারা বংশ-পরম্পরায় প্রারব্ধ উৎসবগুলিকে সাড়ম্বরে পালন করে। এই দেশের মানুষেরা কুলীন অর্থাৎ অভিজাত বংশোৎপন্ন, কিন্তু স্বর্গবাসী দেবগণ অকুলীন। আর্যাবর্তের মানুষদের মানসম্মান ছিল কিন্তু দেবতাদের তা ছিল না। স্বর্গে আট জন বসুমাত্র আছেন, কিন্তু আর্যাবর্তে বহুধনসমৃদ্ধ মানুষ বাস করে। ফলে ধনধান্যে ভরা সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাসকারী আর্যাবর্তের মানুষ অকুলীন স্বর্গবাসীদের স্বভাবতই উপহাস করে থাকে – “সমুপহসন্তি স্বর্গবাসিনং জনং জনাঃ।”

পুণ্যতমোদ্দেশ

হিমালয় সমন্বিত আর্যাবর্ত পুণ্যতম দেশ। কারণ স্বর্গে উমা (গৌরী), মহেশ (শিব), হরি (বিষ্ণু), ধনদ (কুবের) কেবল একজন, কিন্তু আর্যাবর্তের ঘরে ঘরে স্ত্রীরা, মহান সমৃদ্ধি, শোভাযুক্ত ঘোড়া, ধনদাতা তথা লোকপাল আছে। স্বর্গে দেবতাদের রাজা সুরাধিপ ইন্দ্র আছেন কিন্তু এখানে মদ্যপায়ী রাজা নেই। স্বর্গে বিনায়ক (গণেশ) থাকেন কিন্তু এখানে রাজার বিরুদ্ধাচারী কেউ নেই। তাই এই দেশ মহান।

আরও পড়ুন – ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কবিতার MCQ

Leave a Comment